নিয়ম ভাঙার খেলা
নিয়ম ভাঙার খেলা
![](https://cdn.storymirror.com/static/1pximage.jpeg)
![](https://cdn.storymirror.com/static/1pximage.jpeg)
-----"আচ্ছা! সকালবেলা এত দেরি করে কোন বাড়ির বউ'টা ঘুম থেকে ওঠে শুনি?"
-----"কেন মা কি হয়েছে, আজ একটু দেরিতে উঠেছি তো? কাল আমার অফিস থেকে ফিরতে ফিরতে একটু দেরি হয়ে গেছিল, তাই ঘুম ভাঙতে দেরি হয়ে গেছে।"
-----"তুমি এত মুখে মুখে তর্ক করো কেন মেয়ে?"
-----"আপনিও বা আমাকে সকাল সকাল কেন বকাবকি করেন?"
এই শুরু হলো সেনবাড়ির চিৎকার-চেঁচামেচি। শাশুড়ি এবং বৌমার মধ্যে কোন মিল নেই। রোজ ঝগড়া। কেউ কারোর থেকে কম যায় না। পান থেকে চুন খসলেই শুরু হয়ে যায় তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ। আর এই শাশুড়ি-বৌমার ঝগড়ার মাঝখানে পাগল হওয়ার মত অবস্থা হয়েছে এই বাড়ির একমাত্র ছেলে রাতুলের। ছোটবেলা থেকেই অনেক কষ্টে তনয়াদেবী আর অখিলবাবু তাদের একমাত্র ছেলেকে বড় করেছে, মানুষের মত মানুষ করেছে। তাঁরা সংসারের অভাব-অনটন রাতুলকে কখনও বুঝতে দেননি। এমনকি অখিলবাবু মারা যাওয়ার পরেও তনয়াদেবী তাঁর সংসারটাকে একইভাবে আগেরমত গুছিয়ে রেখেছেন। রাতুল এখন একটা মাল্টিন্যাশনাল কোম্পানিতে চাকরি করে। মা'র সুবিধার জন্য কাজের লোকও রাখতে চায়, কিন্তু তনয়াদেবী রাজি নন। রাতুল ওর বৌ সিয়া'কেও সব বুঝিয়ে বলেছে ওদের দুঃখের দিনগুলোর কথা, মা'র কষ্টের কথা। সিয়া সবই বোঝে, কিন্তু ও এই ভালো তো, এই খারাপ। মা আর বৌ এর মধ্যে কাকে সাপোর্ট করা উচিত, বা কাউকে সাপোর্ট করা উচিত কিনা, তা রাতুলের মাথাতেই আসেনা। যার হয়ে কথা বলবে, অপরজনের কাছে খারাপ হয়ে যাবে। সেইজন্য সে বেশিরভাগ সময়ই এ বাড়িতে নির্বাক শ্রোতা।
সিয়ার বিয়ে হয়েছে এখনো এক বছর হয়নি, কিন্তু বিয়ের পর এ বাড়িতে আসতে না আসতেই ও সব কিছুতেই নিজের বুঝ ঠিক বুঝে নেয়, তাতে রাতুলের সাথে বা শাশুড়ির সাথে কোমর বেঁধে ঝগড়া করতে হলেও সে করবে। ঝগড়ুটে স্বভাবের হলেও সিয়ার মনটা খুব নরম। যা হয় মুখের ওপর বলে দেয়, তাতে ঝগড়া হয় হোক। শাশুড়ির এত বাছবিচার, বাসি কাপড়ে এটা ছুঁতে নেই, ওটা ছুঁতে নেই, ঋতু বিষয়ে নানারকম আচার-বিচার, এগুলো সিয়া কিছুতেই মানতে চায় না। ও একটু বেশিই আধুনিক, না আধুনিক থাকার চেষ্টা করে ওকে দেখে কিছুই বোঝা যায় না। ওই তো সেদিন রাতুলের সাথে ঝগড়া করে শাশুড়ির ঘরে গিয়ে তার বিছানায় শুয়ে ছিল আর সারারাত ওর কান্না, সিয়ার কান্না থামাতে তো শাশুড়ির নাজেহাল অবস্থা হয়েছিল। এদিকে শাশুড়ির সাথে কথায় কথায় ঝগড়া করে, অথচ বরের সাথে রাগারাগি করে শাশুড়ির কাছে গিয়ে ঘুমিয়ে থাকে।
তনয়াদেবী সারাক্ষণ সংসার নিয়েই ব্যস্ত। ছেলে আর বৌমার জন্য অফিসে যাওয়ার সময় তাদের রান্না করা, টিফিন করা, এমনকি খেতে দেওয়া, সব তিনি একাই করেন। ছেলে বাড়িতে এখন জোর করে একটা কাজের লোক রেখেছে, তবুও তনয়াদেবী তাঁর রান্নাঘর কাউকে ছাড়তে চান না। রাতুলের বিয়ের পর সিয়াকে নিয়ে হয়েছে তার বড় মুশকিল। কিছুতেই তাঁর কোন কথার ও গুরুত্ব দেয় না, মুখে মুখে তর্ক করে, ভালো কথা বললেও মেজাজ! কিন্তু আবার রাগ করে কান্নাকাটি করে শিশুসুলভ আচরণও করে। কি দেখে যে রাতুল ওকে পছন্দ করেছে, তনয়াদেবীর মাথাতেই আসে না। সিয়ার বাপের বাড়ির লোককে দেখে তো বেশ ভালো, বেশ ভদ্র মনে হয়, কিন্তু সিয়া যে কেন এরকম করে!
-----"বাবু আজকে মহালয়ার দিন, সিয়া এখনো ঘুম থেকে ওঠেনি?"
-----"না মা। সিয়ার শরীরটা ভালো নেই।"
ভোরবেলা মা-ছেলেতে বারান্দায় বসে রেডিওতে মহালয়া শুনছে। তাই সিয়ারও খোঁজ পড়েছে। ছেলের কাছে শুনে তনয়াদেবী ঘরে গিয়ে দেখলেন সিয়ার ধুম জ্বর।
-----"এই মেয়ে, তোর এত জ্বর আমাকে জানাস নি তো?
-----"বেশ করেছি, আমি তো আপনার ঝগড়ুটে বৌমা।"
-----"আবার ঝগড়া করছিস?"
সিয়ার সাথে আর কথা না বাড়িয়ে তনয়াদেবী ওকে তড়িঘড়ি করে জলপটি দিলেন। ছেলেকে বলেন সিয়াকে নিয়ে তাড়াতাড়ি ডাক্তারের কাছে যেতে। তনয়াদেবীকে এত ব্যস্ত হতে দেখে সিয়া উনার হাতটা শক্ত করে চেপে ধরে বলল-
-----"মা আপনি এত কিছু সামলান কি করে? আমি আপনার সাথে এত খারাপ ব্যবহার করি, তাও আপনি আমার এত যত্ন নিচ্ছেন!"
-----"পাগলি মেয়ে একটা। আমি তো মা। আমি যেরকম শাসন করতে পারি, আবার ভালোও তো বাসতে পারি।"
দেবীপক্ষ শুরু হতেই সেন বাড়িতে আবার নানান নিয়মকানুনের শুরু। এইকদিন সুস্বাদু নিরামিষ রান্নায় তনয়াদেবীর রান্নাঘর একেবারে পরিপূর্ণ। সিয়া এই কদিন তার শাশুড়ি মা'য়ের সাথে কোন বিষয়ে তর্ক করেনি। হয়তো একজন শাশুড়ির, তাঁর বৌমার জন্য মাতৃস্নেহ ওকে মুগ্ধ করেছিল, ওকে ঝগড়া করা থেকে বিরত রেখেছিল।
-----"তুই তো এইবার প্রথম দেবীবরণ করবি, আমাদের সাথে যাবি কিন্তু।"
-----"হুম, ইচ্ছে তো তাই আছে।"
-----"জানিস, আমাদের সাথে টুম্পা, পৌলোমী ওরাও দেখা করবে বলেছে। পৌলোমী তো কালকের জন্য স্পেশাল লাল পেড়ে সাদা কাঞ্জিভরম শাড়ি কিনেছে, তার সাথে ম্যাচিং গয়না, নতুন ডিজাইনের শাঁখা পলাও কিনেছে। তোকেও এবার শাঁখাপলা পরে, বড় টিপ পরে একদম অন্যরকম লাগবে। কি রে তুই খুব এক্সাইটেড না রে?"
-----"না, ঠিক সেরকম না। এগুলো আমার খুব অস্বস্তি লাগে। সারা বছর শাঁখা-পলা পরিনা, সিঁদুর সিঁথিতে লাগালেও তা আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে আমি নিজেই অনেক সময় দেখতে পাই না। বেশিরভাগ সময়ই তো জিন্স-প্যান্ট, কুর্তি এইসব পরি, তাই আর বড় টিপও পরা হয় না। যদিও পরি, সেটাও খুব ছোট্ট করে। দেবীবরণ করবো বলে এত সেজেগুজে বাঙালির শ্রেষ্ঠতম বৌ সেজে যাওয়া, ছবি তোলা আমার ভালো লাগে না।"
-----"আচ্ছা, যা ভালো বুঝিস। তবে কালকে মন্ডপে কিন্তু আমাদের দেখা হচ্ছে।"
বিয়ের পর সিয়ার প্রথম পুজো, প্রথম দেবীবরণ। তাই রাতুলদের পাড়াতেই থাকা এক বান্ধবীর সাথে ফোনে কথা বলে সিয়া কালকে দেবীবরণের প্ল্যান করছে। সিয়া খুবই সাধারণ ভাবে থাকতে পছন্দ করে, তাই বান্ধবীর জাঁকজমকপূর্ণ কথায় সিয়া মোটেও খুশি নয়।
দেবীবরণের দিন সকাল থেকেই তনয়াদেবীর মনটা খুব খারাপ। প্রত্যেক বছর এই দিনটাতেই তিনি সেজেগুজে লাল-পাড় শাড়ি পরে মাকে বরণ করতে যেতেন, কিন্তু তিন বছর হয়ে গেল তা আর হয়না। অখিলবাবু চলে যাওয়ার পর তনয়াদেবীর রঙিন দিনগুলোও যেন চলে গেছে। পঞ্চমী থেকে নবমী প্রতিদিনই রাতুল আর সিয়া তনয়াদেবীকে ঠাকুর দেখাতে নিয়ে গেছে। কিন্তু দেবীবরণের দিন তনয়াদেবী বাড়ির বাইরে একদম বেরোতে চান না। রাতুল'ও মা'কে এই দিনটাতে আর বাইরে যেতে জোর করে না। কিন্তু সিয়া আজ নাছোড়বান্দা, তার শাশুড়িমাকে পাড়ার প্যান্ডেলে দেবীবরণ করতে নিয়ে যাবে।
-----"আপনি তাড়াতাড়ি এই শাড়িটা পরে রেডি হয়ে নিন। আমরা দেবী মা'কে বরণ করতে যাব"
-----"বোকা মেয়ে একটা! আমি বিধবা মানুষ। আমি কখনো মাকে বরণ করতে পারি? এতবার করে যখন জোর করছিস, তখন আমি তোর সাথে প্যান্ডেলে যাচ্ছি, কিন্তু বরণ আমি করবো না।"
-----"বরণ আপনাকে করতেই হবে মা। আপনি যদি বিধবা হয়ে সংসারের মঙ্গল চাইতে পারেন, আপনি যদি বিধবা হয়ে মা দুর্গার ভক্ত হতে পারেন, তাহলে বরণ করতেও পারেন। আর আপনি যদি আজকে মন্ডপে বরণ করতে না যান, তাহলে আমিও বাড়ি ছেড়ে চলে যাব। আমি আজকে বাজার থেকে দেবী মায়ের বরণের জন্য রাতুলকে দুটো করে সিঁদুর কৌটো, পান পাতা, আর মিষ্টির প্যাকেট আনার কথা বলে দিয়েছি।"
-----"লোকে কি বলবে?"
-----"আমি আজ আপনার কোন কথা শুনবো না। লোকে যা বলে বলুক। আপনি চলুন।"
মন্ডপে শাশুড়ি আর বৌমা দু'জনেই আজ দুর্গা মাকে বরণ করতে গেছে। তনয়াদেবীর হাতে দেবী বরণের থালা দেখেই ঘোষগিন্নী বলে উঠলেন-
-----"ছিঃ ছিঃ। কি অলক্ষুনে কান্ড! এই বয়সেও কোন কান্ডজ্ঞান নেই। রায়গিন্নী'ও ঘোষগিন্নির সাথে একই সুরে সুর মেলালেন-
-----"এইসব মহিলাদের জন্য কলিযুগেও সতীদাহ প্রথা ঠিক ছিল।"
লোকের এত কুকথা, এত অপমানের পর তনয়দেবীর দু'চোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ে। সিয়া আর চুপ করে থাকতে পারেনি, দেবী মায়ের কাছে এসে আরেক মায়ের অপমান সে সহ্য করতে পারেনি। সবার সামনেই সে বলে ওঠে-
-----" আপনাদের যদি কিছু বলার থাকে আমায় বলুন। আমার মা এখানে আসতে চান নি। আমি জোর করে তাঁকে এখানে নিয়ে এসেছি। আমার মা আজ দেবীমা'কে বরণ করবে আর সিঁদুরও খেলবে।"
-----"শোনো বাপু, অত কিছু বুঝি না। সব কিছুর একটা নিয়ম থাকে। রজস্বলা থাকলে পূজার কোনও আয়োজনেই যেমন মেয়েদের স্পর্শাধিকার থাকে না, আবার বিধবা নারীর'ও দেবীবরণ আর সিঁদুরখেলাতে কোন অধিকার নেই।"
সিয়ার আজ ধৈর্য্য'র বাঁধ ভেঙে গেল, তনয়াদেবীর বারণ সত্বেও সে আর চুপ করে থাকলো না-
-----" আচ্ছা, তাঁর স্বামী নেই, এতে তাঁর কি দোষ? দেবীমায়ের জন্য ভক্তি তাঁর স্বামীর সাথে তো আর শেষ হয়ে যায়নি! এটা কি কোনো স্কুল নাকি যে, লাল শাড়ি, শাঁখা-পলা না পরে এলে এখানে প্রবেশ নিষিদ্ধ হয়ে যাবে, দেবীবরণ হবে না, সিঁদুর খেলা বন্ধ হবে? স্বামী আছে বলে আপনারা ভক্ত, আর একজন স্বামী নেই বলে তাঁর ভক্তি মিথ্যা? কোনো বিধবা সিঁদুর খেলা দেখলে আপনারাই বলেন, ‘নজর’ দিচ্ছেন। কিসের নজর? এক দল যৌনজীবনের অধিকারিণী, অপর দল যৌনজীবনবঞ্চিতা। এটাই পার্থক্য তাই না? এগুলো হল অন্ধবিশ্বাস। যে অন্ধবিশ্বাস থেকে বিধবা নারীকে বিয়ের আয়োজন করতে দেওয়া হয় না, দেবীকে বরণ করতে দেওয়া হয় না, সিঁদুর খেলতে দেওয়া হয় না, নিঃসন্তান নারীকে সন্তান-সংক্রান্ত সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রবেশ করতে দেওয়া হয় না। আজকের দিনে, যখন নারীর অধিকার ও সম্মান নিয়ে এত বড় বড় কথা বলা হয়, তখনও, বঙ্গসমাজের বৃহত্তম উৎসবে সধবা নারী বা বিধবা নারীর শ্রেণীবিভাজন বিবিধ প্রশ্ন ও ভাবনার সামনে গোটা সমাজকেই টেনে আনে। আচ্ছা যাঁদের বিবাহবিচ্ছেদ ঘটেছে, তাঁদের কি দেবীবরণ আর সিঁদুরখেলায় অধিকার থাকা উচিত না অনুচিত? আর হ্যাঁ, কে শাঁখা-সিঁদুর পরবেন, কে নয়, তা নিয়ে কারও কিছু বলার থাকে না যতক্ষণ না তার ব্যবহারের যোগ্যতা বা অযোগ্যতা বাধ্যতামূলক না হয়ে ওঠে। আর এইসব বিয়ের চিহ্নায়ণের নিয়ম শুধু মেয়েদের ক্ষেত্রেই কেন, পুরুষদের ক্ষেত্রে নয় কেন, ভেবে দেখেছেন কখনো? এখানে নারীরাই তো নারীদের শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছেন, এই কথা ভাবার সময় কোথায় আপনাদের? এখনো অনেক জায়গায় পশু বলিপ্রথা চালু আছে। কই, সেখানে গিয়ে তো আপনারা প্রতিবাদ করেন না? মৃত্যু শোকাবহ, কিন্তু মৃত্যুশোকপ্রাপ্তি কারও আনন্দোৎসবে যোগদানের ক্ষেত্রে সামাজিক নিষেধ হয়ে উঠবে কেন? অবিবাহিতা মেয়েরা খেলাচ্ছলে বরণ বা সিঁদুর খেলায় অংশ নিলে দোষ নেই। তাহলে যাঁরা সিঁদুরখেলা ভালবাসেন, তাঁরা খেলবে না কেন? আর একজন মা আরেক মা'কে ভক্তি দিয়ে বরণ করবে, এতে আপত্তি কোথায়? সে তো তাঁর পরিবারের মঙ্গলের জন্যই, সকলের খুশির জন্যই দেবীকে বরণ করতে চাইছে, আর সেই মায়ের খুশির জন্য আমরা এইটুকুনি করতে পারবো না? আরে বিধবা হলেও তো সে মা, এটা তো ভুললে চলবে না। একজন মায়ের খুশিতেই তো একটা পরিবার খুশি থাকবে, একটা গোটা সমাজ খুশি থাকবে।"
-----"আমাদের ভুল হয়ে গেছে মা। আমরা এইভাবে কোনোদিন ভেবেই দেখেনি।"
-----"এতদিন ভেবে দেখেননি, এবার ভাবুন।"
তনয়াদেবী ছুটে এসে সিয়াকে বুকে জড়িয়ে শুধু এইটুকুনিই বললেন- " আমার দুর্গা মা।"
সিয়ার আজকের কথাগুলো যেন সমাজের সব ধরনের নারীর প্রতি আহ্বান। এ যেন নতুন এক খেলা ভাঙার খেলায় মত্ত এক নারী!
আবার মন্ডপে ঢাকের বাজনা শুরু হয়ে সকলের মনকে উতলা করে তুলেছে। আকাশে বাতাসে যেন আজ ধ্বনিত হচ্ছে-
"য়া দেবী সর্বভূতেষু মাতৃরূপেণ সংস্থিতা ।
নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমস্তস্যৈ নমো নমঃ ॥"