মন্টুদার মহাকাশ যাত্রা (ব্যর্থ)
মন্টুদার মহাকাশ যাত্রা (ব্যর্থ)
মন্টুদার মহাকাশ যাত্রা (ব্যর্থ)
মন্টুদা পাড়ার একজন অতি উৎসাহী কিন্তু অল্পবিদ্যার লোক। একদিন সকালে চায়ের দোকানে খবরের কাগজ পড়তে পড়তে তার চোখে পড়ল মহাকাশ গবেষণা নিয়ে একটা লেখা। ব্যস, আর যায় কোথায়! মন্টুদা ঘোষণা করে দিল, সে নিজেই একটা রকেট বানিয়ে চাঁদে যাবে।
পাড়ার ছেলেরা তো হেসেই খুন। কিন্তু মন্টুদা দমবার পাত্র নয়। সে ভাঙা বালতি, পুরোনো টিনের কৌটো, বাঁশ, আর অনেকগুলো পটকা জোগাড় করে তার বাড়ির ছাদে রকেট বানানোর কাজ শুরু করল। নাম দিল "মন্টু-১"।
কয়েকদিন পর রকেট তৈরি। পাড়ার লোকজনকে ডেকে মন্টুদা তার রকেটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠান করল। একটা লম্বা বাঁশের মাথায় পটকাগুলো বেঁধে সে তার ভাঙা বালতির "ককপিটে" বসল। মাথায় একটা রং করা হাঁড়ি, সেটা নাকি হেলমেট!
কাউнтডাউন শুরু হলো: "তিন...দুই...এক...ফায়ার!"
মন্টুদার সহকারী ন্যাবলা পটকার সলতেতে আগুন দিল। সঙ্গে সঙ্গে কয়েকটা পটকা "ফটাস ফটাস" করে ফেটে গেল। কিন্তু রকেট এক ইঞ্চিও নড়ল না। শুধু মন্টুদার হাঁড়ি-হেলমেটটা ধোঁয়ায় কালো হয়ে গেল আর তার মুখটা ফ্যাকাসে!
একটা পটকা আবার বাঁশ বেয়ে নেমে এসে মন্টুদার প্যান্টের পেছনে ফেটে গেল! মন্টুদা "ওরে বাবা রে!" বলে এক লাফে বালতি থেকে নেমে ছাদের ওপর ডিগবাজি খেতে শুরু করল।
পাড়ার লোক হাসতে হাসতে মাটিতে গড়াগড়ি।
সবচেয়ে মজার ব্যাপার হলো, পরদিন সকালে মন্টুদার স্ত্রী ঝাড়ু দিতে গিয়ে ছাদের এক কোণে একটা মরা ছুঁচো খুঁজে পেলেন। তিনি চেঁচিয়ে বললেন, "ওগো শুনছো, তোমার রকেটের ধাক্কায় একটা এলিয়েন মরে পড়ে আছে!"
মন্টুদা গম্ভীর মুখে বলল, "দেখেছো? আমার রকেট ঠিকই কাজ করেছিল! চাঁদে না গেলেও অন্তত একটা ভিনগ্রহের জীব তো মারতে পেরেছি!"
বাকিরা অবশ্য বুঝেছিল, ওটা পটকার আওয়াজে ভয় পেয়ে হার্টফেল করা কোনো স্থানীয় ছুঁচোই হবে!
