The Stamp Paper Scam, Real Story by Jayant Tinaikar, on Telgi's takedown & unveiling the scam of ₹30,000 Cr. READ NOW
The Stamp Paper Scam, Real Story by Jayant Tinaikar, on Telgi's takedown & unveiling the scam of ₹30,000 Cr. READ NOW

Turjya Mukherjee

Classics

2  

Turjya Mukherjee

Classics

মধ্যবিত্ত স্বপ্ন বোনে

মধ্যবিত্ত স্বপ্ন বোনে

6 mins
1.7K


মানুষের জীবনটা কী অদ্ভূত না! প্রতিদিন বেঁচে থাকার জন্য লড়াই করে,প্রতিদিন চলতে গিয়ে দিনে-রাতে হোঁচট খায়, প্রতিটা দিন তিলে তিলে মরে,তবুও মরচে পড়া মনের কোণে আশাটাকে ঠিক জিইয়ে রাখে।আর রাখবে নাই বা কেন? এই এক টুকরো আশার আলোতেই তো পথচলা সহজ হয়। গল্পটাও এক মধ্যবিত্ত পরিবারের স্বপ্ন দেখার গল্প।

সরোজ সাধারণ ঘরের ছেলে।পড়াশোনা যতটা করেছে সেইতুলনায় মুদির দোকানে খাতা লেখার কাজটা ওর প্রাপ্য নয়,তবুও মেনে নিতে হয়েছে।একেই বোধ হয় ভাগ্য বলে!সরোজের ছেলে কৃষ্ণেন্দু এখন ক্লাস ফাইভে পড়ে।নামী দামী বেসরকারি স্কুলে পড়ানোর ইচ্ছে থাকলেও উপায় নেই সরোজের।"ছেলে-মেয়েকে ওই স্কুলে পড়ানো কি মুখের কথা!"-বলেছিল পাশের বাড়ির রিন্টুর মা।ওই স্কুলে দিতে হলে বাবা-মা দুজনকেই সার্ভিস করতে হয় নাহলে অতটাকা আসবে কী করে।

প্রথমবারের অ্যাডমিশন ফি ১৫০০০ টাকা,তারপর তো প্রতিবছর বছর একটা খরচ আছেই,সঙ্গে ড্রেস,বই,খাতা,আর অনুষ্ঠান তো লেগেই আছে।

"নাহ্!হবে না"-- ব'লে সরোজ এতোশতো ভেবে বামন হয়ে চাঁদ ছোঁয়ার স্বপ্নটা বাদ দিয়ে সরকারি স্কুলেই ভরতি করেছে ছেলেকে।

কৃষ্ণেন্দুর স্কুল ছুটি হয় তিনটে নাগাদ।ওর মায়ের অতো সময় নেই ওকে স্কুলে দিয়ে-নিয়ে আসার।সংসারে কাজ কী কম!ঘরে বয়স্ক শ্বশুর-শ্বাশুরি আছেন তাদের দেখভাল করা,এছাড়াও ঘরের যাবতীয় কাজও স্বপ্নাকে করতে হয়।কাজের লোক রাখতে চেয়েছিল সরোজ,তবে সে যা মাইনে চায়,তা অনেকটা।তাই স্বপ্না নিজে থেকেই সব কাজ করে নেয় তাই সময় হয়ে ওঠেনা আর কৃষ্ণেন্দুকে আনতে যাওয়ার।সকালের বাসিকাজ,রান্না করা,জল তোলা,তারপরে তো রান্নার পরেও কাজ থাকে ঘর পরিস্কারের...।

কোনোকোনো দিন কৃষ্ণেন্দু স্কুল ছুটির পর বন্ধুদের সঙ্গে আসে,আবার কোনোদিন বন্ধুদের সঙ্গে খেলার কিছু নিয়ে ঝগড়া হলে একাই রাস্তার একপাশ ধরে বাড়ি ফেরে।বাচ্চা ছেলে,বয়স তো আর খুব বেশি নয়।বন্ধুর জিনিস দেখে সেটা নেওয়ার ইচ্ছে ওর-ও হয়।তবে স্বপ্না সেসবে গুরুত্ব দেয়না।খুব সুন্দর ভাবে ওকে বুঝিয়ে দিতে চায়,বাস্তবের সঙ্গে ছোট থেকেই ছেলের পরিচয় করিয়ে দিতে চায় স্বপ্না।

দিন যায়,কৃষ্ণেন্দুও বড়ো হতে থাকে,তার ওপর বাবা মায়ের বয়স হয়েছে,ওষুধ পত্রও কেনার আছে,এতোকিছু ভাবনা একসঙ্গে সরোজকে অনেকখানি দুর্বল করে দেয়।বুঝে উঠতে পারেনা কী করবে।অনেকদিন আগে ওর এক বন্ধু ওকে টিউশনি করতে পরামর্শ দেয়।কিন্তু পড়াশোনাকে নিয়ে ব্যাবসা করার মতো মন মানসিকতা কোনোটাই সরোজের নয়।আজ আর কে শুনবে এই কথা!আজকের এই দুনিয়ায় সবাই টাকা বোঝে। যাকেই বলা হবে,সেই বলবে "আরে ভাই টাকাটাই তো আসল,আসুক না যেভাবে আসবে"....

সরোজও ঠিক করল ফাঁকাসময়ে এবার টিউশনিই করবে।যা হোক একটুতো ছেলেটাকে ভালো করে মানুষ করা যাবে।

সকালে উঠেই সরোজ স্নান, পুজো সেরে পড়াতে বসায় ছাত্রদের।৮ টা বাজতে না বাজতেই যেতে হয় দোকানের কাজে,আবার সন্ধ্যা হলে বাড়ি ফিরে কিছু মুখে গুঁজে পড়াতে বসে।নিজের ভালোলাগার বিষয়টিকেও জলাঞ্জলি দিয়েছে সরোজ। গল্পের বই পড়তে সরোজ ভীষণ ভালোবাসতো।পরীক্ষার আগে বই এর পড়া ছেড়ে কতোবার লুকিয়ে গল্প বই পড়তে গিয়ে মায়ের কাছে মার খেয়েছিল তার হিসেব নেই।আর আজ সংসারের দায় দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নিজের নেশাটাকেও ভাসিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছে।

দেখতে দেখতে বেশ কিছুবছর কেটে যায়।আজ সরোজ টিউশনি করে বেশ নাম করেছে তবুও টাকায় কুলোচ্ছে না।ইচ্ছে গুলো বড়োসড়ো কিন্তু উপায়গুলো বড্ড নড়বড়ে।কৃষ্ণেন্দুও এইবার উচ্চমাধ্যমিক দেবে।এখন পড়ার খুব চাপ। অনেকগুলো মাস্টারের কাছে পড়তে যেতে হয়। আগের বার অনেক বলে স্বপ্না একটা সাইকেল কিনে দিয়েছে।তার আগে খুব একটা তো বেরোতে হয়নি,সরোজই ওকে পড়াত বাড়িতে।

ওদের বাড়িটা বেশ পুরোনোদিনের,এবার আস্তে আস্তে চুন -সড়কি দেখা দিতে শুরু করেছে ।যেই আসছে সেই বলেছে," দাদা বাড়িটা একটু ঠিক কোরো,যা অবস্থা!"।"হ্যাঁ,করাতে হবে প্রত্যেকেই সেকথা বলছে সরোজ,কিন্তু বাড়িতে হাত দিতে গেলে বেশ খরচের ব্যাপার।তাও লাখখানেক।

মাঝে মাঝে নিজের ওপর নিজের খুব অভিমান হয় ,কাউকে বলতে পারেনা।জামার হাত দিয়ে চোখের জলটা মুছে নেয়।কৃষ্ণেন্দু পড়াশোনায় বেশ ভালো হয়েছে।এখন পরীক্ষা বলে বিকেলে খেলতেও আর যায় না,পড়তে বসে বাড়িতেই।

ছেলেটিও আজ স্বপ্ন দেখতে শিখেছে।ওরও ইচ্ছা জেগেছে ডাক্তার হওয়ার।

সরোজও জানে ছেলের ইচ্ছের কথা,তাই আরও চেষ্টা করে কীভাবে আরও টাকা রোজগার করা যায়।আগে সরোজ একটাই সাবজেক্ট পড়াতো, এখন তিনটে সাবজেক্ট পড়ানোর কথা ভেবেছে।

টাকা চায় টাকা,অনেক টাকার দরকার ওর!পাগলের মতো ছুটোছুটি করে।যা টাকা হয় তাতে সব খরচের পর খুব বেশি কিছুই জমে না।

হঠাৎ একদিন সরোজ স্কুল থেকে সবে ফিরেছে, স্বপ্না গেট খুলে দিতে এসেছে,ওদিকে একটা আওয়াজ পাওয়া গেল।সরোজের বাবা বাথরুমে স্লিপ করে পড়ে গেছে।সঙ্গে সঙ্গে হসপিটাল,সেখানে এমারজেন্সি কেস দেখে ভরতি না নেওয়ায় নিয়ে যাওয়া হল কলকতায়।মাথায় রক্ত বেরোনো কিছুতেই বন্ধ হচ্ছে না।এমনিতেই সুগারের রোগী!

সুস্থ হতে অনেকদিন সময় লাগলো ওনার,প্রেসক্রাইব করা ওষুধ গুলোর দামও অনেক।

এরই মধ্যে কৃষ্ণেন্দু উচ্চমাধ্যমিক দিয়ে জয়েন্টের জন্য প্রিপারেশন নিচ্ছে।সপ্তাহে দুদিন ওকে ভোরের ট্রেন ধরে কলকাতায় যেতে হয়।ফিরতে কোনো কোনোদিন রাত্রি আটটাও হয় আবার কোনোদিন দশটা।

সামনের সপ্তাহের রবিবারে পড়েছে জয়েন্টের পরীক্ষা।রবিবারেও তো ছুটি পায়না সরোজ।একাই যাবে কৃষ্ণেন্দু পরীক্ষা দিতে।"আরও তো বন্ধুরা থাকবে নিশ্চয়"সরোজ এই বলে ওকে ট্রেনে তুলে দিয়ে আসে।

বাজার-হাট যা করার তা সরোজ প্রায় যতটা পারে রবিবারেই করে দিয়ে যায়,ওদের ওখানে আবার বৃহস্পতিবারে দোকানপাট সব বন্ধ থাকে।বাজারে গিয়ে দেখা হল অনেকদিনের পুরোনো বন্ধু অখিলের সঙ্গে।বড়োসড়ো ব্যবসায়ী এখন।বেশ নাম ডাকও আছে।"এই সরোজ যে,কেমন আছিস?",সরোজ বলল,"চলে যাচ্ছে,তোমরা কেমন আছো,বৌদি কেমন আছে?"অখিলের বৌকে সরোজ প্রথম থেকেই বৌদিই বলে এসেছে,নাম ধরেতে পারেনি।"সবাই ভালো আছে,তা তোর ছেলে কী করছে,কত বড়ো হল?"হ্যাঁ এইবার জয়েন্ট দিচ্ছে।"অখিল বলল,"জয়েন্ট তো দিচ্ছে ভাই কিন্তু ডাক্তারী পড়াতে তো বেশ খরচ রে"।"চেষ্টা তো করছি "বলে সরোজ কিছুটা আনমনা হয়ে বলল," আসি বুঝলি,পরে কথা হবে"...


অখিলের কথাটাই সরোজকে বিঁধেছে।কিন্তু কথাটা তো সত্যি। সেদিন সারাদিন সরোজ কিছুটা মন মরা থাকল...


স্টেশনে নামতেই ফোনটা বেজে উঠল।পকেট থেকে বের করে দেখল বাড়ির ফোন।"এই তো চলে এসেছি"বলে ফোনটা রেখেই সামনে হাঁটা দিলো।আকাশে মেঘও নেই,বৃষ্টি হওয়ারও কোনো সম্ভাবনা দেখা গেলো না,তবুও কোথা থেকে এক ছাট বৃষ্টি এসে ভিজিয়ে দিল ওর সমস্ত শরীরটা হঠাৎ এক মুহূর্তের ঝড় বয়ে গেল,তারপর প্রকৃতি আবারও শান্ত।পরীক্ষা ভালো হয়েছে তাই বিরক্তি এলো না বৃষ্টির ওপর। রিক্সা চোখে পড়ছে না।দুই একটা টোটো যাওবা চোখে পড়ল তবে তারা যেতে চাইল না। হেঁটেই তবে ফিরতে হচ্ছে বাড়ি।ভেজা জামা শরীরটাকে বারবার চেপে ধরছে।বাড়ি যখন পৌঁছল তখন ঘড়িতে আটটা ।সারাদিনের ক্লান্তিতে শরীর ঝিমিয়ে গেলেও মন কিন্তু তখনও সবল।কতোক্ষনে বাড়ি পৌঁছে পরীক্ষা ভালো হওয়ার কথাটা বাবার কাছে বলবে সেটার জন্য একটা টানটান উত্তেজনা অনুভব করছে ভিতরে।

কোনোরকমে চেঞ্জ করেই বাবার কাছে গিয়ে গল্প শুরু করল আজ সারাদিন কী কী হয়েছে,নতুন কী অভিজ্ঞতা হয়েছে এইসব ।

"আজ আর গল্প করতে হবে না,কাল শুনবো সব"-বাবার কথা কানেই তুলল না।সরোজের মনটাও আজ সকালথেকেই ভালো ছিল না,ওরও তাই ভালো লাগছিল না এতোসব কথা।

অনেক বলার পর কৃষ্ণেন্দু খেয়ে ঘুমোতে গেল।

খাওয়া-দাওয়ার পর্ব মিটেছে সবারই।স্বপ্না রান্নাঘরে বাসনপত্র গোছাচ্ছে,সরোজ গিয়ে বসল কৃষ্ণেন্দুর ঘরে।ঘুমিয়ে পড়েছে এতোক্ষণে।অনেকক্ষণ সরোজ একভাবে ছেলের মুখের দিকে তাকিয়ে থাকল,দেখতে পেল ওর চোখে মুখে একটা রঙিন স্বপ্ন শুকতারার মতো জলজল করছে।ডাক্তার হওয়ার স্বপ্ন,লোকের সেবা করার স্বপ্ন,নার্সিংহোম করার স্বপ্ন।এই দুটো ছোট ছোট চোখে কত বড় বড় স্বপ্ন!

এতো সব স্বপ্ন দেখার সাহস রাখে কী করে ওই মধ্যবিত্তপরিবার থেকে উঠে আসা ছেলেটির দুটিচোখ!

৷ ঘরে ঢুকে স্বপ্না সরোজকে দেখতে না পেয়ে বুঝল কৃষ্ণেন্দুর ঘরে গেছে।পিছন ফিরে বসে ছিল সরোজ তাই স্বপ্নার ঘরে ঢোকাতে টের পায়নি। একেবারে সামনে এসে বলল," কী গো ঘুমোবে না?,রাত যে অনেক হোলো..."

"চলো" বলে সরোজ লাইট টা নিভিয়ে দিয়ে বেরোলো,স্বপ্নাও এলো পিছনে।

স্বপ্নার চোখে পড়েছিল সরোজের আজকের উদাসীনতা,তবে প্রশ্ন করেনি।

৷ আবার রোজকার রুটিনের মতো সকালে ওঠা।আজ আর সরোজের চিন্তা বাইরে প্রকাশ পাচ্ছে না ,বোধহয় কিছু একটা ব্যবস্থার কথা ভেবেছে।

দোকানের কাজে চলে গেল সরোজ ৮ টায় ।কৃষ্ণেন্দুর আজ আর পড়ার চাপ নেই।পরীক্ষা শেষ,এবার অপেক্ষা স্বপ্নপূরণের।দুদিনের জন্য মামারবাড়ি যাবার কথা ঠিক হোলো মা আর ছেলের।কারণ রেজাল্ট আউটের পর আর তেমন ঘোরার সময় হবে না আর এখন সরোজের মা বাবাও গেছে খুড়তুতো বোনের বাড়ি।তাই রাতেই ঠিক হোলো পরের দিনেই রওনা হবে ওরা।,সরোজ যেতে পারছে না,স্বপ্না আর কৃষ্ণেন্দুই ঘুরে আসবে।

সকালে ওদের ট্রেনে তুলে দিয়ে সরোজ ওখান থেকেই ওর সেই বন্ধু অখিলের কাছে গেল।

বড়োসড়ো ব্যবসায়ী মানুষ অখিল, বসে গল্প করার মতো সময় নেই বেশি,তবুও সরোজকে ফিরিয়ে দিতে পারলো না।"আয়,বোস,"বলে ঘরে নিয়ে গেলো।বৌ কে ডেকে আর একবার পরিচয় করিয়ে দিল সরোজের সঙ্গে।অখিলের দুই মেয়ে।একজন ব্যঙ্গালোরে কাজের সূত্রে থাকে, আর অপরজন কলকাতায় ডাক্তারী পড়ছে।ওদের কেউই বাড়ি ছিল না।অখিল সরোজের জন্য কিছু খাবার আনতে বলল ইশারায়। সেই ফাঁকে সরোজ অখিলের কাছে কিছু টাকা সাহা্য্যের কথা তুলল।অনেক করে সরোজ বলল যে পরে শোধ করে দেবে,কিন্তু অখিল অনেক অজুহাত দেখিয়ে,টাকা দিতে চাইল না।অখিলের বৌ ঘরে ঢুকলে ওরা দুজনেই এই আলোচনা থামিয়ে চা বিস্কুট হাতে তুলে নিল। গলা দিয়ে নামছে না সরোজের।তাও কোনপ্রকারে চা-টা শেষ করে অখিলকে বলল,"উঠি তবে,আবার স্কুল আছে তো,পরে না হয় আর একদিন কথা হবে"...অখিল রাস্তা পর্যন্ত এগিয়ে দেওয়ার প্রয়োজনও অনুভব করল না।রেডি হতে শুরু করল যেন সরোজ এতোক্ষণ একটা বাধা হয়ে ছিল।চুলটা আঁচড়াতে আঁচড়াতে গজড়ে উঠল,"মুরোদ নেই,ছেলেকে আবার ডাক্তারী পড়াতে এসেছে!"...।

সরোজ বাড়ি ফিরে এলো বিধ্বস্ত মন নিয়ে। বাড়িতে কেউ নেই।আজ আর চোখের জলকে বাধ মানাতে পারলো না।অনেক জমানো কষ্ট ধুয়ে গেল চোখের জলে।বুঝল কেঁদে সমস্যার সমাধান হতে পারেনা।তাই চেনা পরিচিতি আছে তাদের ফোন করে একই কথা বলতে লাগল, বেশ কিছু টাকার দরকারের কথা।সবাই অস্বীকার করল।

ফোনটা নামিয়ে রেখে এগিয়ে গেল মায়ের ঘরে।ঔষুধের বাক্সটা নামালো নীচে। সরোজের হাত কাপছে,হাতরাতে লাগল ঘুমের বড়ি।খুঁজেও পেল...


"ছেলের স্বপ্নপূরণে ব্যর্থ বাবা" এই গ্লানির হাত থেকে মুক্তির জন্য সরোজ এগিয়ে নিল এক মুঠো ঘুমের বড়ি, মধ্যবিত্ত হয়ে স্বপ্ন দেখা যে কত বড়ো অভিশাপ সে কথা সরোজ এইজীবনে আরও একবার বুঝল....


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Classics