কাটাকুটি
কাটাকুটি
মার্চ মাসের প্রথম সপ্তাহ। বাঁধানো রাস্তা ধরে এসে ঢাকুরিয়া লেকের ধারে সিমেন্টের বেঞ্চটায় বসল তিয়াস। আজ অনেক কথা বলার আছে তার। শ্রোতা এক বছর ধরে একই আছে, লেকের জল। আজ থেকে ঠিক এক বছর আগে একই দিনে সে একটা ঘনীভূত সম্পর্ক থেকে মুক্তি পেয়েছিল। দোষ তাদের দুজনেরই ছিল। তাই শুধু অনিতাকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে তার বিবেকে বাধে। এখন শুধু নিয়ম করে প্রতিবিকেলে লেকের ধারে বসে একদৃষ্টে চেয়ে থাকে জলের দিকে। নদীর তো মিলন হয় প্রতিদিনই সাগরের সাথে, কিন্তু এই লেক কতোটা একাকী, তা-ই সে ভাবে। প্রতিদিন ক্ষয় হয়, ভয় হয় এই বুঝি সব শেষ। কিন্তু না, বাবা-মা-আত্মীয়দের মতো প্রতিদিন অসংখ্য জীবের সুখ-দুঃখ জমা হয় লেকের জলে, বাষ্পরূপে। তার মধ্যে তো তিয়াসেরও কিছু আছে। আসলে জীবনের কিছু কিছু পর্যায় থাকে যেগুলো আবর্জনা ভেবে ফেলে দিলেও, তার দাগ থেকেই যায়। এইভাবে দাগের ওপর দাগ কেটে কেটে তৈরী হয় কাটাকুটির ছক। তাতে কেউ হারে, কেউবা জেতে।