Rituparna Rudra

Tragedy

0.0  

Rituparna Rudra

Tragedy

দুরন্ত গতি প্রজাপতি

দুরন্ত গতি প্রজাপতি

7 mins
677


মোবাইলের শব্দে ঘুম ভেঙে গেলো নিবেদিতার, সবে সকাল সাড়ে সাতটা। কাজের লোক দুদিন ধরে ছুটিতে, রবিবার সকালের আরামের ঘুমটুকু অচেনা নাম্বারের ফোনে নষ্ট হতে বিরক্তি ভরে ওঠে মন।


“হ্যালো, কে বলছেন?”


নীরবতায় ধৈর্যচুতি হয় তার।


“হ্যালো কে বলছেন?”


“আমি বলছি নিতা, প্রসূন।” বিস্ময়ে স্তব্ধ হয়ে যান নিবেদিতা, এতদিন বাদে হঠাৎ তাকে ফোন কেন?


“হ্যাঁ বলো, কি ব্যাপার!”


“নিতা তুমি আজ বাড়িতে থাকবে? আমি কলকাতায় আসছি, আমার ফ্লাইট ঘণ্টা দুএক বাদেই নামবে, ভাবছিলাম একবার যদি”


“আমার বাড়িতে আসবে!!!” কী বলবেন ভেবে পাননা নিবেদিতা।


“তোমার অসুবিধা হলে থাক।”


“না না ঠিক আছে, এসো। আজ আমি বাড়িতেই আছি, দুপুরে খাওয়াদাওয়া করে যেও। কেমন!"


ফোন রেখে উঠে বসেন নিবেদিতা, এতদিন বাদে প্রসূন আসছে কেন, বাড়ি চিনবে কী করে? তারপরেই মনে পড়ে, সঞ্জয়ের বাড়ি না চেনার তো কিছু নেই। রান্না কিছু নেই, দুপুরে খেতে বললেন যখন তাহলে রান্নাবাড়া করতে হয়, প্রসূনের আবার খাওয়াদাওয়ার নিজস্ব পছন্দ আছে। গত কয়েকদিন ঘরবাড়ি তেমন গোছানো হয়নি, দ্রুতহাতে ঘর গোছাতে গোছাতে আপনমনেই হাসেন নিবেদিতা। একসময়ে এই নিয়েই কত অশান্তি হোত। 


ডোভার টেরেসে প্রাসাদোপম বাড়ি ছিলো প্রসূনদের, কাকা জেঠাদের সাথে যৌথ, বনেদি পরিবার। প্রসূনের ঠাকুরদা বরিশাল থেকে দেশভাগের বহু আগে কলকাতায় এসে ব্যবসা শুরু করেন, বাড়িও বানান। তখন দক্ষিণ কলকাতায় জলের দরে জমি পাওয়া যেত। এই বাড়িতেই বৌ হয়ে গেলেন একুশ বছরের নিবেদিতা, উত্তর কলকাতার নিম্নমধ্যবিত্ত ঘটি বাড়ির মেয়ে, এমনিতে হোত না এমন অসম বিবাহ, নেহাত প্রসূন বন্ধুর বিয়েতে গিয়ে এক দেখাতেই কনের বন্ধু নিতার প্রেমে পড়েছিলেন, বাবা মা কারোর কথাই শোনেননি। হ্যাঁ প্রসূনের বাড়ির সবারই এই অসম বিবাহে আপত্তি ছিল, যদিও প্রাপ্তবয়স্ক কলেজের প্রফেসর পুত্রের জেদের কাছে হার মানতেই হয় তাদের।


গুরজনদের কথা শুনলেই প্রসূনের ভালো হোত, বিয়ের পরে প্রতি পদেই দুজনের অমিল হতে লাগলো। দুঘরের ভাড়া বাড়িতে পাঁচ ভাইবোনের সংসার ছিলো তাদের, ঘর গুছিয়ে রাখা, ঘরে ফুল সাজানো, বা জলখাবারকে স্ন্যাক্স বলা শোনেননি কখনই। তিনিও কি বড় অসহিষ্ণু ছিলেন? শিখতে চেষ্টা করতেন, মানানোরও কিন্তু প্রসূনের মা বিভাবতী প্রতি পদে ভুল ধরে, প্রতি কথায় বাঁকা কথা শুনিয়ে, কারণে অকারণে অন্য বৌদের সাথে তুলনা করে প্রসূনের মন বিষিয়ে তুলতেন। নিবেদিতা ভাবতেন কী দেখেছিলেন প্রসূন তার মধ্যে, সাদামাটা মেয়েই তো ছিলেন তিনি। যদিও চেহারাটি ভারি স্নিগ্ধ ছিল তার, কিন্তু রূপসী তো বলা যায় না, বরং প্রসূন খুব রূপবান ছিলেন।


নিবেদিতা যদিও বড্ড জেদি ছিলেন, প্রসূনকে বুঝিয়ে বলার চেষ্টা করেননি কখনও, তার মনে হোত তাকে ভালোবাসলে উনি নিজেই বুঝবেন। সেটা কিন্তু হোত না। তবে সব দোষ বিভাবতীর ছিলো না হয়তো। বিয়ের তিন বছর পরে মারা গেলেন উনি। তারপরেও তাদের জোড় লাগলো কোথায়? ঘরে ধূলোময়লা দেখলে বা অগোছালো থাকলে প্রসূনের মেজাজ গরম হয়ে উঠতো, নিবেদিতা অত পেরে উঠতেন না, শাশুড়ির মৃত্যুর পরে, পুরনো কাজের লোকেরাও ফাঁকি দিতে শুরু করলো, অফিস থেকে ফিরে বই নিয়ে বসতেন প্রসূন, চিরকালই পড়াশোনাই তার কাছে প্রায়োরিটি। বইয়ের তাকে ধূলো দেখলেই মেজাজ বিগড়োত তার। রায়চৌধুরির বাড়ির মেজাজ বিখ্যাত, এত অল্পে এত রাগ এত ক্ষোভ দেখে প্রথমে ভয় পেতেন নিবেদিতা, পরের দিকে তারও জেদ চড়তো। সন্ধ্যেটা অবধারিত ভাবেই কেটে যেত কথা কাটাকাটিতে।


********

বাজার করে ফিরে এসে আধ ঘণ্টার চেষ্টায় ঘরবাড়ি সুন্দর গুছিয়ে ফেললেন নিবেদিতা, এই দু ঘরের ফ্ল্যাটটা সঞ্জয়ের খুব প্রিয় ছিলো, পুব দক্ষিণ খোলা প্রায় হাজার স্কোয়ার ফুটের, আলো হাওয়া প্রচুর। বাড়ির একতলায় এটিএম, ফ্লাওয়ার শপ, কফি শপ। ফোন করে রজনীগন্ধার গুচ্ছ, আর চিজ বলস আনিয়ে নিলেন। কফির সাথে চিজ বলস ভেজে দেবেন। বসার ঘরের ফুলদানিতে ফুল সাজিয়ে একটু রুম ফ্রেশনারও দিলেন, বদলালেন সোফার কাভার, ডিভানের চাদর। সাজানো ঘরের দিকে তাকিয়ে নিজেরই অবাক লাগলো, এত করার কি সত্যিই দরকার ছিলো? 


দুরকমের মাছ এনেছেন বাজার থেকে, পাবদা আর কাতলা। মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, পাবদা মাছের কালোজিরে দিয়ে ঝোল করবেন। আজ প্রায় পঁচিশ বছর প্রসূনের সাথে ছাড়াছাড়ি, তবুও নিবেদিতা অবাক হয়ে দেখলেন তিনি কিচ্ছু ভোলেননি। এই খাওয়া নিয়েও তাদের ঝগড়া লাগতো। শশুরবাড়িতে প্রথমদিকে খেতেই পারতেন না তিনি, সব রান্নায় ঠেসে ঝাল। কালোজিরে দিয়ে পাতলা ঝোল এমন তিনি আগে দেখেননি, তাদের বাড়িতে জিরে বাটা দিয়ে মাছের ঝোল হোত, সব রান্নায় মিষ্টি পড়তো। তিনি নিজের মত রান্না করলেই মা ছেলের সেটা মুখে রুচতো না। আজ বসে বসে প্রসূনের প্রিয় পদ রাঁধেন তিনি, আজ আর সেটা নিয়ে মনে অশান্তি হয় না। 


 বাইরে মুষলধারে বৃষ্টি নেমেছে।



ঠিক এগারোটায় দরজা ঘণ্টি বাজলো। রান্না শেষ করে স্নান করে একটা হাল্কা সবুজ শাড়ি পরে কেমন একটু উৎকণ্ঠা নিয়েই অপেক্ষা করছিলেন নিবেদিতা। এত বছর পরে দেখা, আয়নায় যে মধ্যবয়স্ক মহিলার সাথে রোজ দেখা হয়, প্রসূন কি তাকে চিনতে পারবেন? দরজা খুলে দেখলেন হাসি মুখে প্রসূন দাঁড়িয়ে, সাথে একটা ছোট ব্যাগ। ডান হাতে বিশাল বড় প্লাস্টিকে মিষ্টির প্যাকেট। ধরিয়ে দিলেন তার হাতে। একটা সাদা শার্ট আর ধূসর ট্রাউজার পরে আছেন প্রসূন, চেহারা অনেক পরিবর্তন হয়েছে, একটা গোপন দীর্ঘশ্বাস ফেলেন নিতা, সময় বড্ড তাড়াতাড়ি চলে যায়।


“এয়ারপোর্ট এর কাছে বেশ মিষ্টির হাব হয়েছে, জানো তো? তুমি মিষ্টি ভালোবাসো।”


হেসে ফেললেন নিবেদিতা, “ভালোবাসি ঠিকই, কিন্তু আমার বয়সটা ভুলে গেলে নাকি, আজকাল মিষ্টি খাওয়া ছেড়েই দিয়েছি, এত কে খাবে শুনি? এসো ভেতরে বোসো।”


বাথরুমে ফ্রেশ হয়তে এসে সোফায় আরাম করে বসে চারদিকে তাকাচ্ছিলেন প্রসূন, দেওয়ালে সঞ্জয়ের বিশাল ছবিতে মালা দেওয়া, এছাড়াও কিছু পারিবারিক ছবি।


কিছুক্ষণ কথা খুঁজে পাননা দুজনেই। নিঃস্তব্ধতা ভঙ্গ করে মৃদু স্বরে প্রসূন বললেন


“সঞ্জয়ের কি হয়েছিলো?


সঞ্জয় রায় ছিলেন প্রসূনের কলেজের বন্ধু। যথেষ্ট ঘনিষ্ঠতা ছিলো দুজনের, মাঝেসাঝেই আসতেন তাদের ডোভার টেরাসের বাড়িতে, তবে ঈশ্বর শপথ করে নিবেদিতা বলতে পারেন সেই সময়ে কোনদিন সঞ্জয়ের মনের কথা জানতে পারেননি তিনি। বিয়ের পাঁচ বছরের মাথায় ক্রমশ ডিপ্রেশনে তলিয়ে যাচ্ছিলেন নিবেদিতা। রায় চৌধুরি বাড়ির বিশাল বৈভব, বাড়ির বৌরা বাইরে বেরোয়না খুব একটা। ততদিনে সবার হাঁড়ি আলাদা, যে যার নিজের মত থাকে। অত বড় বাড়িতে একটা কথা বলার লোক ছিলোনা তার।


প্রসূন কাজ থেকে ফিরেই নিজের লাইব্রেরি ঘরে ঢুকে বইপত্র পড়তেন, স্বামী স্ত্রী মুখোমুখি হলেই ঝগড়া কটুকথার ঝড় বইতো, দুজনেই দুজনকে বিদ্ধ করতেন কেবল। শেষে একদিন বাঁধ ভাঙলো, যেদিন প্রসূন তাকে বাড়ি ছেড়ে চলে যেতে বললেন। রাগ করেই বলেছিলেন হয়তো। পরের দিন নিজের সামান্য কটা জিনিস গুছিয়ে বাপের বাড়ি চলে এলেন তিনি। 


“তোমার বন্ধুর স্ট্রোক হয়েছিলো, সেরিব্রাল, অফিসে ছিলো তখন। হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিলো কিন্তু বাঁচানো যায়নি।”


“তোমার মেয়ে কত বড়, কোথায় আছে এখন?”


হাসেন নিবেদিতা, “জাহ্নবী এখন ইউকেতে, এম এস করতে গেলো গত বছর। তোমার খবর বলো, শুনেছিলাম একজন মারঠি বান্ধবী ছিলো, তাকে বিয়ে করেছিলে?”


হাহাহাহা, খুব হাসছেন প্রসূন, “কে তোমাকে এসব খবর দেয়? তোমার ছোড়দা? মারাঠি নয় তামিল মেয়ে শ্রীলক্ষ্মী, আমার গাইডেন্সে রিসার্চ করছিলো। অস্বীকার করবো না, তার সাথে একটা সম্পর্ক হয়েছিলো আমার কিন্তু সেটাকে ঠিক প্রেম বলা যায় না।”


তারপর? তাকে বিয়ে করলে না কেন?” প্রশ্ন করে একটু অস্বস্তি নিয়ে নিতা অনুভব করেন মনের মধ্যে কোথাও সামান্য রাগ রাগ ভাব হচ্ছে তার, কী আশ্চর্য।


“আরে বিয়ে করবো কী , হাঁটুর বয়সী মেয়ে, সেও কিছুটা দুর্বল ছিলো যদিও, আমরা একসাথে ছিলাম মাস কয়েক।”


“তারপর কী হোলো?"

প্রসূন হাসেন, “তারপর রিসার্চ শেষ করে ফিরে গেলো ও, ওখানে গিয়ে একটা চাকরি নিলো, বিয়ে করলো। এখন বছরে দুএকবার শুভেচ্ছা বার্তা পাঠায়, ফ্যামিলির ছবি পাঠায়। ভালোই আছে।”


কফি, চিজ বলস, মিষ্টির সাথে আড্ডা জমে ওঠে। আত্মীয়স্বজন বাদ দিয়ে অধুনা বাংলা সাহিত্য, থিয়েটার, সিনেমা রাজনীতি সবই ঘুরেফিরে আসে। নিবেদিতা খেয়াল করেন প্রসূন আর আগের মত গোঁয়ার নেই। আগে এই নিয়েও মতবিরোধ হোত তাদের। নিবেদিতা কট্টর কংগ্রেসি বাড়ির মেয়ে আর প্রসূনের পরিবার চিরকাল বামফ্রন্ট সরকারের ভক্ত। প্রসূনের কাকা পার্টির উৎসাহী সদস্য ছিলেন একবার বিধানসভার টিকেটও পান। এখন অবশ্য গল্পের ছলে প্রাক্তন সরকারের প্রচুর নিন্দেমন্দ হোলো।


আড্ডায় ছেদ টেনে নিখুঁত করে টেবিল সাজান নিতা। গরম বাসমতী চালের ভাত, ঘি, মাছের মাথা দিয়ে মুগের ডাল, পটল ভাজা, উচ্ছে ভাজা, কাতলা মাছের কালিয়া, পাবদা মাছ কালোজিরে, আলু বড়ি ধনেপাতা কাঁচালংকা দিয়ে, কাঁচা আমের চাটনি, মিষ্টি দই। প্রসূন সামান্য গরম জল খেতে ভালোবাসতেন, তেমনই গরম জল ঢাকা দিয়ে রেখেছেন।


আয়োজন দেখে কিছুক্ষণ চুপ করে থাকলেন প্রসূন। “এত কিছু করেছো!! তোমার সব মনে আছে?” মৃদু হেসে নিতা বলেন, " খেতে বোসো এবার।"


দুজনে একসাথে খান পরম পরিতৃপ্তি ভরে, এটা ওটা জোর করে দেন নিবেদিতা।

হাসি মজা গল্পে কোথায় উড়ে চলে যায় পঁচিশ বছর, আর তার আগের অশান্তি। অবশ্য এর মধ্যে বছর পনেরো আগে একবার তাকে ফোন করেছিলেন প্রসূন। ডোভার টেরাসের বাড়ি ভেঙে ফ্ল্যাট হবার সময়ে। নিবেদিতার কিছু জিনিস পড়ে ছিলো তখনও। সেগুলো নিয়ে যেতে অনুরোধ করেছিলেন। 


প্রসূন বম্বে ইউনিভার্সিটির ছাত্রছাত্রীদের গল্প বলে খুব হাসছেন। নিবেদিতা খেয়াল করেন কত রোগা হয়ে গেছেন তিনি। মাথার সব চুল উঠে টাক এখন, বাকি কটা চুলও সাদা। খাওয়া দেখে মনে হোল বহুদিন পরে এত ভালো করে খেলেন। তাতো হবেই, ওখানকার বাই এর রান্না কি করে কে জানে। নিবেদিতা নিজেও তো যাহোক ঝোল ভাত সেদ্ধ ভাত করে নেন। কোনদিন মুড়ি খেয়ে নেন। আজকাল অম্বলের সমস্যা, নিজের জন্য অত করতে ইচ্ছেও করে না। আজ সব খান পরিপাটি করে। 


খাবার পরে জোয়ান মুখে দিয়ে ডিভানে কাত হন প্রসূন, নিতার একটু অস্বস্তি হয়, বলেন “তুমি শুয়ে নাও, আমি ভিতরের ঘরে আছি।” একদৃষ্টিতে তাকে দেখছেন প্রসূন, মুখে কেমন মুগ্ধতা, “যেওনা নিতা, আমি চলে যাবো পাঁচটা নাগাদ, আটটার ফ্লাইট আছে। এখানে বোসো, আর একটু কথা বলি।”


নিবেদিতারও কথা বলতে ইচ্ছে করছিল, হাসিমুখেই সোফায় বসেন তাই, একটু জোয়ান মুখে দেন। গল্পে গল্পে সময় কেটে যায়, পাঁচটাও বাজে। অগত্যা উঠতেই হয়। যাবার আগে দরজায় দাঁড়িয়ে আলতো করে তার হাত ধরেন প্রসূন, “আজকের দিনটা বড় ভালো কাটলো… খুব মনে পড়তো তোমার কথা, আমার ভুল করে করা রাগ, হয়তো অনেক খারাপ ব্যবহার করেছি কখনো, সেসব মনে রেখো না, কেমন।” 


চোখের কোণে বিন্দু বিন্দু জল আসে নিতার, “সেসব কবেই ভুলে গেছি, এখন তাকিয়ে দেখলে ছেলেমানুষি মনে হয়, তখন বয়স কম ছিলো… ভালো করেছো আজ এসে, বেশ কাটলো দিনটা, একাই তো থাকি।”


ব্যাগটা নিয়ে নেমে যান প্রসূন, বারান্দায় দাঁড়িয়ে আনমনা হয়ে যান নিতা, মনে মনে বলেন আবার এসো, আবার এসো, কেন যে কথাটা মুখে বলা হোল না কে জানে!


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy