STORYMIRROR

Partha Roy

Romance

2  

Partha Roy

Romance

ধারের খাতা

ধারের খাতা

8 mins
576


আজকাল বাজারে যাবার ব্যাপারে বীরেশ নিজের ভেতরে আগের মত সেই তাগিদ, আনন্দটা অনুভব করে না। অথচ এই কিছুদিন আগেও এটা ওর একটা প্রিয় শখ ছিল। সকাল হলে দুটো বিস্কুট আর চা খেয়ে বাজারের থলি নিয়ে ঘুরে ঘুরে টাটকা শিশিরে ভেজা মুলোর শাক, সদ্য ফোঁটা কপি, যত গোল তত স্বাদের ইলিশ কেনার মজা তারিয়ে তারিয়ে উপভোগ করত। আজ থেকে? সেই কোন ছোট্ট বেলা থেকে বাজার করা শুরু। প্রথমে এক কেজি আলু, পাঁচশ গ্রাম পেঁয়াজ, একটু আদাও আনিস তো- এইভাবেই হাতেখড়ি। পরে আরও একটু পাকা পোক্ত হবার পরে এক কেজি আলু সাড়ে সাতশ গ্রাম, পাঁচশ পেঁয়াজ সাড়ে তিনশ গ্রাম হয়েছে - আর বাড়তি পয়সা দিয়ে বাজারের সত্যপ্রিয় মিষ্টান্ন ভাণ্ডারের গরম জিলিপি, সিঙ্গারা। ধরা কি আর পড়ে নি কখনো সখনও? মায়ের কাছে ধরা পড়েছে। বাবা যেন না জানে এই শর্তে কাঁচুমাচু মুখে স্বীকারও করেছে। মায়ের মৃদু বকুনিতে অনেক বেশী স্নেহের প্রশ্রয় ছিল। মাছের কানকো দেখে, পেট টিপে, আঁশের রুপোলী রঙ থেকে ঠিকরে আসা রোদ্দুরের ঝিলিক দেখে বলে দিতে পারে মাছ কতটা টাটকা, অথবা শীতের বাঁধা কপির গড়ন যুবতী নারীর সরু কোমর ছাড়িয়ে নেমে আসা ভারী নিতম্বের মত যত টাইট হবে তত তার আয়, তত তার স্বাদ। ইয়া বড় হাঁড়ির মধ্যে রুই, কাতলার খলবলানি যত বেশী তত বেশী বীরেশের ভেতরে ছটফটানি। চোখ বন্ধ করে আলুর নাড়ি টিপে বলে দিতে পারে কোনটা জ্যোতি আর কোনটা চন্দ্রমুখী। লাল কুমড়ো দেখলে ওর চোখ দুটোও প্রথম প্রেমিকের মত জ্বল জ্বল করে উঠত। আহা ! ইলিশ মাছের মাথার সাথে সেই কুমড়োর কম্বিনেশন, এক থালা ভাত নিমেষে ভ্যানিশ। খুব দেখে শুনে যত্ন করে রাঙা টুকটুকে পুত্রবধূ আনার মত লাল কুমড়ো এনেছেও – কিন্তু বিধি বাম। সে স্বাদ যেন দূষণ মুক্ত প্রকৃতির মতই হারিয়ে গেছে। আলুতে নাকি মাটি না, একই রকম দেখতে কি সব ক্ষতিকর ক্যেমিক্যাল মাখিয়ে রাখে। দশাসই কাতলাগুলো তো ইনজেকশন খেয়ে খেয়ে নিজেরাই এমন পানসে মেরে গেছে যে ওরা আর রসনার আনন্দ কি জোগাবে? ধুর, ধুর। বাজার থেকে এনে বউকে দিয়ে “হাতির মাথার” মত দেখতে টাটকা মেঘ সাদা ফুলকপির বড়া থেকে চিংড়ী দিয়ে ডালনা হয়ে টিভিতে দেখে শেখা হাল আমলের সব রকম প্রিপারেশন করিয়ে দেখেছে- নাহ! মুখে দিয়ে আবেশে চোখ বন্ধ হয়ে আসেনি অথচ ছোট বেলা নারকেলের চিলু ভাজা, তেজপাতা দিয়ে মায়ের হাতে সেই ফুলকপির ঝোল দিয়ে গরম ভাত মেখে খেতে খেতে শীত কাল মধুময় মনে হত। আসলে মানুষের লোভ যত বেড়েছে শাক সব্জি ফল মাছ তত বেশী দূষিত ও বিস্বাদ হয়েছে।

শুধু কি এই কারণেই বীরেশের বাজার যাবার আগ্রহ হারিয়েছে ? ঠিক ধরেছেন, এটাই একমাত্র কারণ না। আরও বৃহত্তর কারণ একটা আছে বৈকি।

 ইদানিং নিজের ভেতরে দুটো স্বত্বার দ্বন্দ বড় বেশী প্রকট হচ্ছে। ব্যাপারটা খুলে বলি। 

গাড়ী বাড়ি, এসি মেশিন, টিভি, ফ্রিজ থেকে শুরু করে যাবতীয় সুখ আরাম যখন ব্যাঙ্ক লোন নিয়ে মাসে মাসে ইএমআইতে শোধ করে কেনা যায়, তখন বীরেশ “আয় বুঝে ব্যায়” নীতি জাপটে ধরে রেখেছে। বাড়ীতে, অফিসে কথা প্রসঙ্গে সেটা সোচ্চারে বলেও। অফিসে কেউ চুপ করে থাকে, কেউ কেউ আবার বিরোধিতা করে। পরিবারে বিশেষ করে ওর বউ ওকে এই ব্যাপারে সমর্থন করে এসেছে। শুধু একটা ব্যাপার ছাড়া। তখন বলেনি, এখন কথা উঠলে মৃদু অনুযোগ করে। আসলে, এখন যে ফ্ল্যাটটাতে ওরা আছে, তার পাশের ফ্ল্যাটটা আর একটু বড় ছিল।একটা রুমও বেশী ছিল। বছর দশেক আগে হাজার পঞ্চাশেক টাকা বেশী দিলেই ওই ফ্ল্যাটটা প্রমোটার দিতে রাজী ছিল। ব্যাঙ্ক থেকে লোন নিয়ে সেটা করা যেত। ফ্ল্যাটটাতে স্থান সঙ্কুলান হয় না।ছেলে মেয়ে দুটো বড় হয়েছে, ওদের অজস্র বইগুলোই তো একটা দেওয়াল আলমারির পুরোটাই দখল করে রেখেছে। নিজেরই আক্ষেপ হয়, বলেও ফেলে। তখন শিপ্রা বলে, “তুমিই তো একটু উদ্যোগী হলে না। ব্যাঙ্ক লোন না নিলেও, প্রমোটার রঞ্জনবাবুকে আস্তে আস্তে শোধ করে দেবার কথা তো অন্তত বলতে পারতে। এখন আক্ষেপ করে কি হবে?”

বীরেশ মনে মনে বলে, “তুমিও তো সহধর্মিণী হিসেবে আমাকে সাহস যোগাতে পারতে। এসব কথা তখন যদি বলতে,এখন অনুযোগ করছ”। মুখে কিছু বলেনা। এই একটা ক্ষেত্রে সব নীতি বোধ বলুন বা অহং বোধই বলুন পাথর চাপা দিয়ে স্ত্রী মেয়ের মৃদু খোঁচা অম্লান বদনে হজম করে।

এইতো মাস কয়েক আগের কথা, মাছওয়ালা নরেন কত পেড়াপিড়ি করল, “মামা, পয়সার জন্য চিন্তা করবেন না। আস্তে আস্তে দিয়ে দেবেন। এই সাইজের চিতল কিন্তু সব সময় আসে না। মামা, আপনাকে পেটি থেকে দিচ্ছি। আপনার সাথে আমাদের আজকের সম্পর্ক? মায়ের আমল থেকে মাছ কিনছেন”। নরেনের মা আগে মাছ দোকানটা চালাত, হঠাৎ করে অল্প কয়েকদিনের জ্বরে দশাসই স্বাস্থ্যের মহিলা চলে গেল। নরেন তখন মায়ের সাথে থাকা শিক্ষানবিশ।

কেজি পাঁচেকের রূপসী চিতলটা বীরেশকে ক্রমাগত সিডিউস করে গেল। অনেকক্ষণ নিজের সাথে লড়াই করার পরে জয় এল। ধারে মাছ নিল না। তবে সেই প্রথম, ভেতর থেকে আর একটা বিপরীতমুখী স্বত্বা জোর ধাক্কা দিয়েছিল। এমন বিজ্ঞাপনীয় অফার বীরেশ আগেও বিভিন্ন মাছ, সব্জি বিক্রেতাদের থেকে পেয়েছে আর হেলায় সেসব ফিরিয়ে দিয়েছে। কারণ ওর এক কথা, “আমার হঠাৎ কিছু হয়ে গেলে পাওনাদাররা এসে আমার বউ ছেলে মেয়ের জীবন অতিষ্ঠ করে দেবে, সেটি কিছুতেই হবে না। সুতরাং আয় বুঝে চলতে হবে”।এই নীতি আঁকড়ে ধরে থাকতে গিয়ে সায়েন্স গ্র্যাজুয়েট বীরেশ প্রতিদিন হিসাব শাস্ত্রে পারদর্শী হয়ে ওঠে। এ যেন এক ট্রাপিজের খেলা! এই মাগ্গী গণ্ডার বাজারে যখন রান্নার গ্যাস থেকে আরম্ভ করে নিত্য প্রয়োজনীয় সব জিনিষের দাম আকাশ ছোঁয়া, তখন একটু বেহিসেবি হলেই ঝাড়ের বাঁশ ইয়েতে।    

ধারে মাল দিয়ে একটা খাতায় লিখে রেখে মাসের শেষে বাবুদের থেকে পেমেন্ট নেবার সিস্টেম প্রথম মুদির দোকানে চালু হল। বীরেশও এক সময় বেশ কয়েক বছর রতনের দোকান থে

কে মাসকাবারি মাল খেয়েছে। কিন্তু এখনতো মাছ বিক্রেতা, সব্জি বিক্রেতারা এই ধারের খাতা চালু করেছে। ব্যাগ ভর্তি করে দামী মাছ, সেরা সবজী নিয়ে চলে যাচ্ছে, মাসের শেষে কিছু পেমেন্ট দিচ্ছে, কিছু বাকী থাকছে। ধারের ওপর ধার, আমি নির্বিকার। 

সেদিন কি হল? মাঝারি সাইজের পমফ্রেট মাছ চারশ টাকা কেজি থেকে নামিয়ে তিনশ হয়ে সাড়ে তিনশতে আনা নিয়ে বীরেশের সাথে মাছওয়ালা নজুর টাগ অফ ওয়ার চলছিল। কোথা থেকে পাড়ার রমেন খাঁড়া এসে পাশে দাঁড়িয়ে দাঁত বের করে বলল, “দাদা, এই মাছ সাড়ে তিনশতে পাবেন না”। বীরেশ চোখ গোল গোল করে তাকাতে রমেন মুখ ঘুরিয়ে সাড়ে সাতশ গ্রাম মাছ নিয়ে চলে গেল। কোন টাকা পয়সা দেওয়ার বালাই নেই। বীরেশ বলতেই, নজু একগাল হেসে বলল, “টেনশন নেই। দাদার নামে খাতা আসে। লিখি রাখব। আমনারেও কত বইলেসি একটা খাতা খুইলে ন্যান। আমনি শুইনবেন না”। রমেন প্রাইভেট কোম্পানিতে কাজ করে, কোন ঘুষের পয়সা নেই অথচ দিব্যি নাচতে নাচতে মাছ নিয়ে চলে গেল। তিতি বিরক্ত বীরেশ খেতে বসে বাড়ীতেও অনেক বার বলেছে। শিপ্রা সান্ত্বনা দিয়ে বলেছে, “কোন দরকার নেই ওই সব ধার বাকী কারবারের। আমরা যথেষ্ট ভাল খাওয়া দাওয়া করি। তোমার ছেলে মেয়েরাও কোন অভিযোগ করেনা। ভাল মন্দ খেতে ইচ্ছে হলে, আমাকে বলবে আমার জমানো টাকার থেকে দেব”।

এক জীবনে কষ্ট করে মানুষ হয়েছে। অনেক শখ আহ্লাদকে জহ্লাদের মত দফন দিয়েছে। সরকারী চাকুরীর বাঁধা মাইনেতে অল্প অল্প করে সব করেছে। মনের ভেতরে আর একটা অতৃপ্ত মন মাঝে মাঝেই বিদ্রোহ করে। ক্রমাগত উস্কানি দিয়ে বলে, “বীরেশ, কেন নিজেকে, নিজের আপনজনদের বঞ্চিত করছিস? জীবন একটাই, সবটা না হলেও কিছু শখ আহ্লাদ পূরণ করে নে। ওরে পাগল, এখন ধার বাকীতে সব সুখ কেনা যায়। খালি একটু মনের জোর দরকার”।

সব প্রলোভনকে জয় করার এক ক্রমাগত সংগ্রাম করতে করতে অন্তরের অন্তঃস্থলে তিলে তিলে একটা বিদ্রোহী সত্ত্বা যে এত শক্তি সঞ্চয় করেছে বীরেশ তার হদিশ পায়নি। ভাল জামা কাপড় পড়ার ঝোঁকটা কোন কালেই খুব একটা ছিল না কিন্তু ভাল মন্দ খাবার একটা ইচ্ছে বরাবরই ছিল। এখন যত বয়েস বাড়ছে, চাকুরীর মেয়াদ ফুরিয়ে আসছে তত যেন সেই ইচ্ছেটা প্রবল হচ্ছে। অতৃপ্ত লোভী বীরেশটা মাঝে মাঝেই জিতে যাচ্ছে। আগে মাসে চারটে রবিবার মাটন আনত, মাস পয়লায় একটু দামী মাছ। উত্তাল সমুদ্রে নাবিকরা যেমন প্রাণপণে জাহাজকে ঠিক রাখে, মাদারিকা খেলের খেলায় যেমন খেলোয়াড় দড়ির ওপরে ব্যালান্স রেখে হেঁটে যায়, সংযমী বীরেশও একটা নির্দিষ্ট সাধ্যমত অঙ্কের মধ্যে মাসের বাজার খরচকে সীমাবদ্ধ রেখেছিল।

         আগে সংসার খরচের জন্য নির্দিষ্ট একটা টাকা অভিজ্ঞ বীরেশ এটিএম থেকে তুলে নিজের কাছেই রাখত। কোন বিশেষ কারণ না হলে এটিএম কার্ডে হাত দিত না। লক্ষ্য থাকত মাস মাহিনা থেকে কিছু টাকা ব্যাঙ্কে জমানোর। সব সময় নাহলেও ইদানিং বাজার করতে গিয়ে বেহিসেবি খরচ করে ফেলছিল। মাসে ছয় সাত দিন মাটন, উচ্চবিত্ত মাছ কিনে ফেলছিল। ফলে শিপ্রাকে না বলে চুপি চুপি আবার টাকা তুলতে হত। আদি বীরেশটা প্রমাদ গুনল। অল্প কয়েক মাস হল বউকে জোর করে সংসার খরচের টাকাই শুধু না, এটিএম কার্ডটাও ওর জিম্মায় দিয়ে দিয়েছে। বাজার যাবার সময় গিন্নীর থেকে টাকা নিয়ে যাচ্ছে, বাজার শেষে যদি কিছু ফেরে সেটা ফেরত দিয়ে দিচ্ছে। এ যেন আবার সেই ছোট বেলার মত – বাবা অফিসের কাজে বাইরে গেলে, মায়ের কাছ থেকে টাকা নিয়ে বাজার শেষে ব্যালান্স টাকা ফেরত দেওয়া।

         কিছুদিন আগে জনপ্রিয় এক বাংলা দৈনিকের প্রথম পাতায় মৎস্য প্রিয় বাঙালীদের জন্য সুখবর বলে একটা খবর বীরেশের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী বন্ধুত্বের স্মারক হিসেবে বিভিন্ন আকৃতির কয়েক হাজার টন পদ্মার ইলিশ এপার বাংলাতে পাঠিয়েছেন।

         শিপ্রা আজ বাজারে যেতে বারণ করেছিল, ফ্রিজে যা আছে তা দিয়ে টেনেটুনে আরও দিন দুই চলে যেত। বীরেশ বলল, “ আজ রবিবার। বাজারটাও ভাল বসে। ক্ষেতের টাটকা সব্জি পাওয়া যায়। অন্যদিন তো বড় মর্গ থেকে এনে ছোট মর্গে ঢোকান। তাছাড়া অফিসের দিনে বাজার যাওয়া মানে বড্ড ছোটাছুটি”। অকাট্য যুক্তি। বড় মর্গ মানে কোল্ড স্টোরেজ আর ছোট মর্গ হল ঘরের ফ্রিজ।

         দুপুরে খেতে বসে ইলিশের তেল দিয়ে ভাত মাখতে মাখতে একডালিয়া এভারগ্রিনের পুজা প্যান্ডেলের বিখ্যাত ঝাড়বাতির আলো জ্বালা মুখ করে বীরেশ সাথে বসা ছেলে মেয়েদের বলল, “ এইতো সেই গন্ধ। বুঝলি, ইলিশ মাছ খেলে বাসনপত্রে পাঁচ দিন গন্ধ থাকবে, তবেই তো ইলিশ। ঝুড়িতে মাছগুলো দেখেই বুঝেছি, এ আলাদা জিনিষ। বলছে তো পদ্মার ইলিশ। আর নরেন আমাকে মিথ্যা কথা বলবে না”। তারপরে গিন্নীর দিকে তাকিয়ে বলল, “আর তোদের মা তো রান্নাটা বেশ ভালই করে। কি বলিস?”। 

         সাড়ে সাতশ আটশ গ্রামের দুটো ইলিশ এনে আবদার ভাজাও খাবে আবার পাতুরিও খাবে। পরিবেশনরতা শিপ্রাকে একটা প্রশ্ন অনবরত খোঁচা দিচ্ছিল। “পতিদেবতা যে টাকা নিয়ে বাজারে গেল তাতে দুটো কেন একটা ইলিশও কেনা দায়। কেনা গেলেও অন্য আনাজপাতি কেনা যাবে না। কিন্তু সবই তো পরিপাটি করে এনেছে। এটিএম কার্ডটাও তো নিয়ে যায়নি। তাহলে কি ?”।

         পরিতৃপ্ত মুখে আহাররত স্বামীর মুখে যেন এক শিশুর খুশি। বড় মায়া হল। রাতে বুকের মধ্যে সেধিয়ে জেনে নেওয়া যাবে খন। এক অসীম ভাল লাগায় পরিতৃপ্ত মুখে বলল, “খেতে খেতে কথা বোল না তো। ইলিশের যা কাঁটা”। 



Rate this content
Log in

Similar bengali story from Romance