AYAN DEY

Drama

3  

AYAN DEY

Drama

চাঁদের লোক

চাঁদের লোক

8 mins
1.9K


পোস্তায় জিতেন দিক্সিৎ সবে লরিতে মশলাপাতির বস্তা ভরতি করাচ্ছেন । ভোর ৫ টা হবে । দিল্লী, বম্বে সব জায়গার উদ্দেশ্যে লরি যায়। মাল তুলছে মুটে মজুররা, হঠাৎ মনে হলো হাঁটুর নীচ থেকে কে যেন মুখ বাড়িয়ে উপর দিকে চেয়ে দেখছে! অস্বস্তি মনে হতেই নীচে চেয়ে দেখেন হ্যাঁ ঠিক আন্দাজ করেছেন। হাঁটু অবধি উচ্চতার একটা লোক তার দিকে চেয়ে মুচকি হাসছে।

সকালবেলা মেলা কাজ থাকে তার মধ্যে এসব কারা কি চায়! তিনি বললেন,


"ক্যায়া চাহিয়ে?"


লোকটা চোখের পাতা একবার ফেলে বলে উঠলো,


"কুছ নেহি। আপনাকে বরং দিতে এসেছি। স্পেশাল ডিল। কাস্টোমার পাচ্ছিনা। একটু আড়ালে মানে উধর থোরা সা ..."


একটা কোণে টেনে নিয়ে গিয়ে জিতেনবাবুকে লোকটা বললো, " চাঁদ কিনবেন নাকি?"

জিতেনবাবু মুখের গুটখাটা লোকটার পায়ে ফেলতে যাচ্ছিলেন, কি ভাগ্যি লোকটা সরে গেলো! লোকটা বললো,


"আপ বিহারী লোকনা বড্ড ... ছোড়িয়ে ইয়ে যো বোলা ..."

জিতেন বলেন,

"শালে সুবহ সুবহ নশা করকে আয়া। এক লফা মারুঙ্গা, দফা হো যা। দিমাগ কা চাটনি বানা দিয়া ... ওয়ে উধর এক অওর ..." বলে লরিগুলোর দিকে এগিয়ে গেলেন ।


লোকটা ওনার পাশ কাটিয়ে কি একটা কাগজ দেখাতে দেখাতে হাসতে হাসতে চলে গেলো। একটু ঝুঁকে দিক্সিৎ বুঝলেন ওটা চাঁদের একটা সস্তার ছবি মনে মনে রাগ ধরলেও মনে হলো লোকটা ছিটগ্রস্থ!

সকালে খাবার খেতে প্রতিদিন যে দোকানে যান সেখানে আজও গেলেন। লরিগুলো আপাতত সব বেরিয়ে গেছে। ফিরে এসে গতকাল রাতে যে মালগুলো এসেছিলো তার হিসেব করতে হবে। ৭টা নাগাদ যাওয়ার পথে তাঁর চোখে দেওয়ালে একটা হাতে লেখা পোস্টার চোখে প​ড়লো।

পোস্টারে লেখা, "চাঁদ বিক্রি হচ্ছে , কিনতে চাইলে গিরীশ পার্কের মোড়ে বিকেল ৪টেয় চলে আসুন।"


মাথায় রাগ চড়ে গেলো, নিজে পোস্টারটা ছিঁড়ে ফেলতে যাবেন এমন সম​য় একটা প​ড়ি কি মরি করে তাঁর হাত চেপে বললেন,

"না মশাই! ওটাকে ছিঁড়বেন না। আরে দাঁড়ান, আগে চলুন চায়ের দোকানে ওখানে কথা হবে।"


জিতেনবাবুর অস্বস্তি হচ্ছিল ওই পোস্টারটা চোখের সামনে রেখে ফেলে আসতে। কিন্তু একটু যেতেই দেখলেন জায়গায় একই পোস্টার আটকানো দেওয়ালে।

যে লোকটি জিতেনের হাত ধরে পোস্টার ছিঁড়তে মানা করেছিলেন তিনি ওই চায়ের দোকানে টোস্ট আর চা দুটো করে অর্ডার করালেন। সেই বিরতিতে লোকটি পকেট থেকে একটা রোল করা দৈনিক সংবাদপত্র বের করলেন। একটি বিশেষ খবরের দিকে দৃষ্টি আকর্ষণ করলেন। জিতেনবাবু মুখটা ক্ষেপে লাল করেই অনীহা সত্ত্বেও কাগজটা হাতে নিলেন। যে খবরটার দিকে ভদ্রলোকটি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিলেন তা ভালো করে দেখলেন। ইংলিশ কাগজ হওয়ায় পড়তে অসুবিধা হলো না। তিনি মাথায় ভেবেই রেখেছিলেন যদি ওই ভদ্রলোক বাংলা কাগজ প​ড়তে দিতেন, তবে ওই পোস্টার সমেত সব রাগ যারপরনাই গালিগালাজে উগড়ে দিতেন। কিন্তু না।

খবরে লেখা, "গতকাল সন্ধ্যেবেলা বিভ্রান্তভাবে এক ব্যক্তিকে ঘুরতে দেখা গেলে হাওড়া স্টেশনে আর.পি.এফের লোকেরা তাঁকে গন্তব্যের ব্যাপারে জিজ্ঞেস করেন। তিনি প্রথমেই শহরের নাম জানতে চান ও বলেন চাঁদ থেকে নাকি তিনি এসেছেন তাই কিচ্ছু চেনেন না। বলা বাহুল্য , পাগল সন্দেহে রেল আধিকারিক ভেবেছিলেন প্রথমে অ্যাসাইলামে খবর দেবেন কিন্তু পরে লোকটা নিজেই উধাও হয়ে গেলে গোটা রেল দপ্তর খুব চিন্তায় পড়েন। বিশিষ্টজনের মতে এই লোকটি সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর লোক হতে পারে, স্রেফ বোকা বানাতে এই নাটক লোকটির উচ্চতা সবার নজর কাড়ে ১.৫ ফুটের কিছু বেশী। গায়ে এক বিচিত্র ছাইরঙা পোশাক। লোকটির খোঁজ পেলে যোগাযোগ করুন... "

রাগে গজগজ করতে করতে জিতেনবাবু বললেন,

" ইয়ে পাগল তো মুঝসে ভি মিল চুকা হ্যায়, শালে কো মিলনে দো, অ্যায়সা সবক শিখায়েঙ্গে পাগলপন্থী দূর হো যায়েগা।"


জিতেন রাগের চোটে আর কিছু না খেয়েই চলে এলেন নিজের অফিসে। নিজের বারবার মনে হতে লাগলো, লোকটা কে, কোত্থেকে এলো ও কী চায়? 

বহুকিছু ভাবার পর তিনি নিজেকে বোঝাতে চাইলেন, লোকটা যেই হোক তাঁর ভাবার কোনো কারণ নেই। তাঁর পাত্তা না দিলেই হলো। কিন্তু ... না এতে কোনো কিন্তু নেই, কত পাগলই তো ঘোরাফেরা করে, এ হয়তো প​ড়াশুনা করতে করতে বিকারগ্রস্ত হয়ে গেছে। 


জিতেনবাবু নিজের কাজের পাশাপাশি অনেক কিছু ঘটনার খোঁজ রাখতে ভালোবাসেন। সেদিন রাত্রে কাজ শেষে নিজের বাড়ি এসে সবে ফ্রেশ হ​য়ে বসে একটু সোশ্যাল মিডিয়া ঘাঁটছেন হঠাৎ একটা চাঁদের উপর আর্টিকেল পেলেন ও পড়তে লাগলেন। বলছে, বিগত ২০-৩০ বছরের মধ্যে চাঁদের পরিবেশের স্বাভাবিকতা অনেক হেরফের হচ্ছে শুধু মানুষদের বারেবারে অভিযানের কারণে। মাঝেমধ্যেই চন্দ্রপৃষ্ঠ হতে কঠিন পদার্থ পৃথিবীর দিকে আসছে এবং তাতে আশ্চর্য কিছু প্রাণী ও ব্যাকটেরিয়া সমেত আরও অণুজীব পৃথিবীতে পাওয়া যেতে শুরু করেছে। কিছু বিজ্ঞানীর মতানুসারে চাঁদে মানুষরূপী প্রাণী থাকতে পারে যারা " ফার সাইড অফ মুনে " বাস করে। পৃথিবীর অতিরিক্ত দূষণের মধ্যে একটি প্রধান দূষণ হলো তেজস্ক্রিয় দূষণ। বলা হচ্ছে এই দূষণ থেকে সৃষ্ট ক্ষতিকর রশ্মি মহাকাশে এক অদ্ভুত বলের সৃষ্টি করেছে যা কিনা চাঁদ থেকে যে কোনো কিছু পৃথিবীর দিকে টেনে আনতে পারে। ওই গ্রহে মানুষের মতো প্রাণী থাকলেও আকারে তা ছোটো এমনই মনে করেন বিজ্ঞানীদের কিছু অংশ অত​এব, তারাও পৃথিবীর দিকে ধেয়ে আসতে পারে।


এইসব দেখে শুনে জিতেনবাবুর এক মুহূর্তের জন্যও ধারণা হয় যে লোকটির সঙ্গে তিনি আজ সকালেই পরিচিত হয়েছেন সেই লোকটি হয়তো সব কথা সঠিক বলছে। কিন্তু তার পরমুহুর্তেই মনে হল তিনি বেকার উল্টোপাল্টা চিন্তা করছেন। এতক্ষণ ধরে তিনি যেটা পড়েছেন তার সবটাই কারোর ধারণা, কিছুই প্রমাণিত হয়নি। নিজের ওপর রাগ ধরল এই কারণে যে তিনি কি করে একটা অমূলক ভাবনাকে তার মনে জায়গা দিতে পারলেন!


পরদিন সকালে কাজের ফাঁকে হঠাৎ একটি খবরের চ্যানেল খুললে পরে জিতেনবাবু এমন একটি খবর শুনলেন যাতে যে কারোরই চক্ষু চড়কগাছ হয়ে যেতে পারে। লোকটি সটান টেলিভিশন চ্যানেলে গিয়ে উপস্থিত হয়েছে। তিনি দেখলেন চ্যানেলের রিপোর্টার লোকটির ইন্টারভিউ নিচ্ছে। পুরো অনুষ্ঠানে লোকটি যা বলল তার মর্মার্থ খানিকটা এরূপ :


"আমি সত্যই চাঁদ থেকে এসেছি। ভয়ানক এক অদ্ভুত টান অনুভব করে চাঁদ থেকে পৃথিবীর দিকে আসতে থাকি। গত কিছুদিন ধরেই চাঁদের লোকেদের মধ্যে পৃথিবী থেকে এরূপ টান অনুভূত হচ্ছে। আমাদের মনে হয় ধীরে ধীরে অনুপোযোগী হয়ে উঠবে। তবে একদম বিনামূল্যেও ওখানে বাসস্থান করার অনুমতি আমরা দেবো না। তাই চাঁদ কেনার আবেদন করে পোস্টার লাগিয়েছি।"


রিপোর্টার যখন প্রশ্ন করল যে লোকেরা কি জন্য বিশ্বাস করবে যে সে চাঁদ থেকে এসেছে? শুধুমাত্র উচ্চতা কম কিন্তু গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডে অমন উচ্চতার মানুষ পৃথিবীতেই আছে। এর প্রমাণস্বরূপ লোকটি যা দেখায় তাতে জিতেনবাবু কেন যে কেউই থ হয়ে যেতে পারে। জামার পকেট থেকে একটি ঢেলা বার করে দাবি করে সেটি নাকি চাঁদের জমির। সে এটাও বলে যে বিশ্বাস না হলে ভূ গবেষকদের কাছে সেই পাথর পাঠানো হোক। পরীক্ষার জন্য সত্য সত্যই রিপোর্টার পাথরটি রেখে দিতে আবেদন করে।


ইন্টারভিউ শেষ হলে পর বেশ কিছুক্ষণ বিষয়টা নিয়ে ভাবতে থাকেন জিতেনবাবু। ইতিমধ্যে গত কালকের সেই ভদ্রলোক যিনি জিতেন বাবুকে পোস্টারটা খুলে ফেলতে বারণ করেছিলেন সেই ব্যক্তি অফিসে এসে উপস্থিত হলেন।

দরজার সামনে দেখেই চিনতে পারলেন জিতেনবাবু। ভিতরে আসতে বলে জিজ্ঞেস করেন,

“আপ নাসিম কে পাস কাম করতে হো না? ”


লোকটি মাথা নেড়ে উত্তর দেন হ্যাঁ | বলেন, “দু'সপ্তা হলো এসেছি মশাই। ”

জিতেন বলেন, “ আপ সায়েদ সুবহ কি নিউজ দেখ কর আয়ে হে না? ”

উনি বলেন, "ঠিকই ধরেছেন। মশাই বিশ্বাস হচ্ছে না কোলকাতায় এরকম একটা সেনসেশন হচ্ছে।"

জিতেন বলেন, "আরে আরে রুখিয়ে জি রুখিয়ে, কুছ ভি প্রুফ নেহি হুয়া হ্যায়। লেকিন উসকা বাত ম্যায় দম হ্যায়। ভো আগর ঝুঠ ভি পেশ কর রাহা হ্যায়, ভো ভি বহুত আচ্ছে তাড়িকে সে।"

ফের বললেন ওই ভদ্রলোক,

"রুখিয়ে আপ পেহলে। আপ তো ব্যস ইয়ে দেশী নিউজ দেখতে হ্যায় আমি সুযোগ পেলে জিও টিভিতে ইন্টারন্যাশনাল নিউজও দেখি। নাসা জানেন তো, ওখানকার লোকেরা কিছুদিন ধরেই চাঁদ ও পৃথিবীর মধ্যে পার্টিকল আদান প্রদান হচ্ছে , এমনটাই লক্ষ্য করেছেন। ওই লোকটির আকার তো খুব বড়ো ন​য় তা দূর থেকে ছোটো কিছুই মনে হবে। সব প্রমাণ হয়ে যাবে দেখবেন ও চাঁদ থেকেই এসেছে।"

জিতেনবাবু বললেন, "কুছ ভি গ্যারান্টি নেহি । "

অন্য লোকটি ফের বললেন, "আমি আজই যাবো ওই গিরীশ পার্ক মোড়ে , দেখি কে আসে। লোকটির সাথে সেটিং করতে পারলে চাঁদে জমি পাবো মশাই , ভাবতে পারছেন? আমার সব ফিক্সড ভেঙ্গে দেব তার জন্য।" এই বলে উনি বেরিয়ে গেলেন।

জিতেনবাবু মনে মনে বললেন, "ইয়ে গ্যায়া কামসে।"


বিকেল চারটের পোস্টারটায় দিনক্ষণ বলেছিলো তিনদিনের ভিতরে আসতে হবে। তাই ভরসা করে ভদ্রলোক গেলেন। ঠিক চারটের সম​য় নির্দিষ্ট স্থানে গিয়ে পৌঁছনোর দশ মিনিটের মধ্যেই কে একজন পেছন থেকে ডাকলো, "আপনি কিনবেন?"


উনি পিছন ফিরতেই কাউকে না দেখতে পেয়ে চমকে যান ও তখনই কথা ভেসে আসে, "এই তো নীচে তাকান।"

ভদ্রলোক চোখ কপালে তুললেন লোকটিকে দেখে। বলেন, "কেনার তো খুব ইচ্ছে কিন্তু দাম তো বোধহ​য় প্রচুর?"

ওই লোকটি বলে, "তা বটে। তবে ইন্সটলমেন্টে দিলে মাত্র ২৫০০০ করে ১২ মাস দিতে হবে। দিতে পারলে, আজই ডিল ফাইনাল! কাল এখানেই টাকা নিয়ে আসবেন।"

ভদ্রলোক বলেন, "বড্ড বেশী! তবে হয়ে যাবে। কাল পেয়ে যাবেন।"


ইতিমধ্যে পরদিন সকালের খবরে ফের সেই লোকটি হাজির এবং জানা গেছে তার পাথরটি সত্যই চাঁদের। তাই উত্তেজনা তুঙ্গে। সব সেলিব্রিটিরা এসেছেন তাকে দেখবেন বলে। একটা প্রশ্ন রিপোর্টারদের একজন করলেন যে সে বাংলা জানলো কী করে? জবাবে সে বলে, "পৃথিবীতে আজকাল এতো বেশী শব্দ হচ্ছে যে তরঙ্গের মাধ্যমে চাঁদে পৌঁছচ্ছে । তাই এখানের কোনো ভাষাই অজানা ন​য়।"


এরপর আরও প্রশ্ন হতে থাকে। জিতেন বিরক্ত হয়ে খবর দেখা বন্ধ করে দেয়।

এদিকে এই খবর পেয়ে মনের সুখে সমস্ত ফিক্সড ভেঙ্গে ওই ভদ্রলোক ২৫০০০ তুলে নিয়ে যান। লোকটি ওখানেই ছিলো। টাকা নিয়ে একটা খাম কাগজপত্রে ঠাসা ভদ্রলোকটিকে তুলে দেয়। একটা কি পেপারে কীসব লিখে নাম জানতে চায় লোকটি। ভদ্রলোক বলেন, "আমার নাম হলো কি ইয়ে বীরেন বাগচি।"

লোকটি বলে, "এই কাগজ আর এই খামটাই ডিলের প্রমাণ, এটা যত্ন করে রাখবেন।"


বাড়ি এসে যত্ন করে ওগুলো রেখে দেন বীরেন। রাতে ফের খবর দেখে মাথায় হাত। ইসরো থেকে ফোন এসেছে ওই বাংলা চ্যানেলে এবং তারা বলেছে ওই লোকটি ফ্রড। সে ইসরোয় গার্ডের কাজ ও ছোটোখাটো ফাই ফরমাশের কাজ করতো। লোকটি জাতে তামিল কিন্তু অনেক ভাষা জানে বলেই কাজে নেওয়া। একদিন হুট করে ল্যাব থেকে অনেক জরুরী কাগজ ও চাঁদ থেকে সংগৃহীত ওই পাথর নিয়ে পালায়। সেটা ধরা পড়ে দুদিন পর। প্রথমে এমনি পালিয়ে গেছে ভাবা হয়েছিলো। পুলিশ একমাসেও এর কিনারা করতে পারেনি।


এসব শুনে তাড়াতাড়ি বীরেন তার কাছে থাজা কাগজ আর খাম দেখতে শুরু করেন। কাগজটা ভালো করে পড়ে চমকে ওঠেন। ওটা একটা ড্রাফট যাতে লেখা, বীরেন বাবু ২৫০০০ টাকা ওই লোকটির থেকে ধার নিয়েছেন। খাম খুলে দেখেন ওতে চাঁদ ও চাঁদ থেকে তোলা পৃথিবীর কিছু দারুণ ছবি রয়েছে। রাগে তাঁর মাথার চুল ছিঁড়তে ইচ্ছে করছিলো।

লোকটি ধরা প​ড়লেও বীরেনবাবুর ২৫০০০ টাকার কথা আর বেরোলো না খবরে। এসব জিতেনবাবুকে বলতেই তিনি বললেন,

"বহুত বার মানা কিয়া থা, শুনে নেহি, আব ক্যায়া হোগা রোনে সে? উসকা সবকুছ হি ফ্রড য্যায় সা থা।"


লোকটি অ্যারেস্টের খবর ফলাও করে নিউজ চ্যানেলগুলো বলতে লাগলো। রাতে জিতেন এক অদ্ভুত স্বপ্ন দেখলেন, তাঁর বাড়ির ছাদে চাঁদ নেমে এসেছে আর ওই লোকটা তার উপর বসে তাঁর দিকে তাকিয়ে বলছে, "চাঁদ কিনবেন নাকি?" সাথে সেই মুচকি হাসি । চমকে ঘুম ভেঙ্গে গেলো তাঁর।

(সমাপ্ত)


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Drama