Sheli Bhattacherjee

Inspirational Tragedy

3  

Sheli Bhattacherjee

Inspirational Tragedy

বন্ধ্যা মাতৃত্ব

বন্ধ্যা মাতৃত্ব

8 mins
18.4K


সারাটারাত একটুও ঘুম আসছে না, শুধু বিছানায় এপাশ থেকে ওপাশ করে কাটিয়ে দিচ্ছে দ্বীপা। আর শুধু দ্বীপাই কেন, অভ্রেরওতো একি অবস্থা। কাল যে তারা দুই হতে তিন হয়ে যাবে। আট বছরের অপেক্ষার অবসান হবে ঘরে ক্ষুদ্র প্রাণের স্পন্দনের ছোঁয়ায়। আজ ভালো মাকে খুব করে মনে পরছে দ্বীপার। কলেজ ঢোকার আগেই যে নিজের মা তাকে ছেড়ে যাওয়ার সময় এই ভালো মায়ের মাতৃত্বের তত্ত্বাবধানে সঁপে গিয়েছিলেন। দ্বীপার বাবার সহৃদয় বন্ধু অজয় সেনের স্ত্রী হয়েও, সেদিন হতে এই অনাত্মীয় জননীই দ্বীপাকে জড়িয়েছিলেন মাতৃত্বের নিবিড়তম বন্ধনে।

এরপর দ্বীপার বিয়ে হয়েছে। বিয়ের বছর খানেক পরে মুম্বাইতে চলে এসেছে স্বামী অভ্রর চাকরির পরিবর্তনে। বি. এডটা আগেই করা ছিল মাস্টার্স করার পর, তাই মুম্বাইতে একটা প্রাইভেট স্কুলের চাকরিও জুটে যায় দ্বীপার। কিন্তু সুখের জীবনে কাঁটা হয়ে দাঁড়ায় তার হঠাৎ শারীরিক অসুস্থতার কারণস্বরূপ জরায়ুতে সিস্টের অবস্থান। প্রায় সাড়ে চার বছর ধরে অক্লান্ত ধৈর্য ও অনাবিল অর্থ প্রয়োগ করেও তেমন সুফল পায় না এই দম্পতি। এদিকে কলকাতায় দ্বীপা আগে গরমের ছুটিতে একমাস মতো এসে থাকতো বাবার কাছে। তাও এখন দিনের গুনতিতে কমিয়ে দেয়। তার কারণ অবশ্যই কিছু কৌতুহলী আত্মীয়ের অবান্তর খোঁচাদায়ক জিজ্ঞাসা ও কিছু সংস্কারাচ্ছন্ন মানুষের কুরুচিকর কারণ দর্শন। দ্বীপার সবচেয়ে মাথা গরম হয়ে যায় যখন তাকে শুনতে হয় যে, 'ওই বাজা কাকিমাইতো মেয়েটার বিয়েতে মায়ের জায়াগায় থেকে সব করলো। তো ওই মেয়ের আর কি বাচ্চা হবে?'

শুধু মুখের ভাষাকে সংযত রাখতে পারেনা দ্বীপা এসব শুনে। মনে হয় মূহূর্তে এদের বলে ওঠে, যেদিন দিনের পর দিন মাতৃহীন গৃহে এই মেয়েটার জ্বর হয়েছিল, যেদিন মাস্টার্সের ফাইনাল চলছিল বিনিদ্র রাতের পরীক্ষার প্রস্তুতিতে আর সর্বোপরি মায়ের প্রতিটি মৃত্যুবার্ষিকীতে যখন এই একাকী মেয়েটা কেঁদে ভাসাতো, তখন আর কেউ নয় এই সমাজ নামাঙ্কিত বাজা কাকিমাই মাতৃস্নেহের আচ্ছাদনে আগলে রাখতেন তার প্রাণের দ্বীপাকে। সত্যিই জন্ম দিলেই শুধু মা হওয়া যায় না। তাইতো এই আঙুল উর্ধকারি মানুষগুলোর ঘরে নিজ গর্ভজাত সন্তান থাকলেও, আদৌ সঠিক অর্থে প্রকৃত মাতৃত্বের বিকাশ ঘটেনি।

রাতে শুয়ে দ্বীপার মনে পড়তে থাকলো ভালো মায়ের অনেক কথা। তার কথাতেই তো এতো বড় একটা পদক্ষেপ নিয়েছিল সে। গত বছর গরমের ছুটিতে যখন কলকাতা গিয়ে হঠাৎ ভালো মায়ের অসুস্থতার খবরে শুনে ছুটে গিয়েছিল হাসপাতালে, তখন সেই অসুস্থতার মধ্যেও দ্বীপাকে ধীরে ধীরে বলেছিলেন তিনি, "আমার ঘরে সিংহাসনের পাশের তাকে শরৎসাহিত্য আছে। তার মধ্যে একটা চিঠি আছে তোর জন্য। ভেবেছিলাম নিজেই পড়ে শোনাবো দেখা হলে। সে বুঝি আর হবে না রে।"

ছলছল চোখে ভালো মায়ের শীর্ণ হাত ধরে বলেছিল দ্বীপা, "কে বললে হবে না? তুমি সুস্থ হয়ে ফিরে এসে আমাকে পড়ে শোনাবে।"

কাঁপা কাঁপা গলায় অস্ফুট কটা বাক্য বের হয়েছিল, "না, তা হবে না। তুই আজই গিয়ে ওটা নিয়ে পড়। কাল এসে আমায় জানাবি তোর মতামত। নইলে যে তোর চিন্তায় মরেও শান্তি পাবো না রে..." ভালো মায়ের মুখে হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়ে দ্বীপা রেগে বলে ওঠেছিল, "তোমার মেয়েকে একলা করার খুব ইচ্ছে না তোমার। যাও কথা বলবো না।" কাঁপা স্নেহের হাতখানা মাথায় রেখে খুব কষ্টে দু চারটে শব্দ বের হয়ছিল তখন, "একলা না করার জন্যই তো রে পাগলি ।"

সেদিন বাড়ি ফেরার পথেই সে অজয় কাকুকে ঘরে পৌঁছে দিতে গিয়ে সংগ্রহ করে নিয়েছিল ভালো মায়ের লেখা চিঠিখানি। রাতে সবাই ঘুমিয়ে পরলে লেখাটা পড়েছিল দ্বীপা।

'প্রাণের দ্বীপা,

তোকে কিছু কথা বলার ছিল, কিন্তু শারীরিক অবস্থার অবনতির কারণে লিখেই রাখছি, পাছে দেখা না হয়, আর বলা না হয়ে ওঠে যদি। তোর বাবার কাছে শুনলাম, তোরা নাকি শিশু দত্তক নিতে অনিচ্ছুক, বিশেষত তুই ... এই বিশ্বাসে যে এক গাছের ছাল অন্য গাছে লাগে না। এ বিষয়ে বলার আগে কিছু নিজের কথা বলি। আমি ছিলাম বর্ধমানের এক গ্রামের নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারে পোস্টমাস্টারের ঘরের চতুর্থ কন্যা সন্তান। সন্তান হয়ে মা বাবার আদর ভালোবাসার চেয়ে কনিষ্ঠ কন্যাসন্তান হওয়ার অপরাধে, অনেক অবহেলা পেয়েছিলাম সমাজে ও সংসারে। তারপর তোর কাকুর সাথে বিবাহ হল তখন আমার ২৪ আর তার ৪১। শুনেছিলাম শ্বশুরমশায়ের মৃত্যুর পর বড় পুত্র হয়ে বয়স ও যোগ্যতার মান্যতানুযায়ী সেই চাকরিখানি ও সংসারের হালখানির প্রাপ্তি ঘটেছিল তার। তারপর ছোটো দুই বোনের বিবাহ, এক ভায়ের পড়াশোনা করিয়ে তাকে চল্লিশোর্ধ বসন্তে ছাদনাতলায় আসতে হয়। অথবা হয়তো তখন বৃদ্ধা মায়ের রক্ষণাবেক্ষণের জন্যও একজনের প্রয়োজন ছিল সংসারে। কারণ আমার শ্বশুরঘর তখন একান্নবর্তী সংসার হতে এক ছাদের তলায় ভিন্ন পারিবারিক ঘরে পরিণত হয়েছিল। সে যাইহোক, রূপেগুনে এমন কিছু ছিলাম না যে সচরাচর কারো চোখে পরতাম। সেই দিক থেকে তোর কাকুর মতো স্বামী পেয়ে আমি ধন্য হয়েছিলাম।

বিয়ের পরবর্তী বেশ কবছরের মধ্যে সন্তানের জননী না হতে পারায়, সংসারে ও পাড়ায় 'বাজা', 'বন্ধ্যা' নামকরণ জুটেছিল অনায়াসেই, তবে ভুল করেও কেউ আমায় সংসারী বা গৃহকর্মে নিপুণা নামকরণ করেনি কখনো। কিন্তু মিথ্যে কথা বলবো না, তোর কাকু কখনো আমার সাথে জীবনের একটি দিনে একটুও খারাপ ব্যবহার করেননি। বড় ঠাণ্ডা স্বভাবের মানুষ তিনি। কারো কথার প্রতিবাদ করতে না পারলেও, আমার সমব্যথী হয়ে শিশুর মতো আমার আঁচলে চোখের জল মুছতেন। তখন অনুভব করতাম যে আমি নারী, কারো স্ত্রী হলেও মাতৃত্ব আমার আত্মায় নীরবে বিলীন হয়ে রয়েছে। যে মাতৃত্বে মাকালি মাতারা রূপে তার নীলকন্ঠ স্বামীর বিষের জ্বালা জুড়াতে নিজস্তন পান করিয়েছিলেন, সেই মাতৃত্ব সুধাধারা যে প্রতিটি প্রকৃত নারীর হৃদয়ে সদা বহমান থাকে। তাই হয়তো স্বামীর অসহায়তার উত্তরে তার মাথার উপর আমার স্নেহসুলভ হাতটাই চলে আসতো বারবার। এদিকে সরকারি নিয়মানুযায়ী বাবার অকাল প্রয়ানে ছেলে হয়ে চাকরি পাওয়ায়, সংসারের প্রতি এক অনাবিল আনুগত্যে কর্তব্যবোধের সচেতনতাটা অন্যদের চেয়ে বেশিই ছিল তোর কাকুর। কিন্তু কি আশ্চর্য, মা হয়েও আমার শাশুড়ি কখনো আমাকে বাজা বলে অপমান করার সময়, আমার শূন্য মাতৃত্বের বা নিজের সন্তানের ব্যথিত হৃদয়ের যন্ত্রণা বোঝার চেষ্টা করেন নি কখনো।

যাইহোক, শ্বাশুড়িমায়ের প্রতি সব কর্তব্যপালনের পর চাকরিতে বদলি নিয়ে তোর কাকু আমায় নিয়ে এলেন কলকাতায়। তখনই পরিচয় হল তোর বাবার সাথে, তোদের সাথে। তুই তখন ক্লাস নাইনের ছাত্রী। দুদিকে বেণী দুলিয়ে স্কুলে যেতিস। তোর বাবাই আমাদের ভাড়া ঠিক করে দিলেন তোদের এক কাছের বাড়িতে। সেদিন থেকেই তোকে নিজের মেয়ে বলে দেখেছি মনেপ্রাণে। আজ অবধি একবারও তো মনে হয়নি যে এক গাছের ছাল অন্যগাছে লাগেনা। শুধু মনে হয়, আমার আরো কোনো জন্মে হয়তো তুই খুব কাছের কেউ ছিলি, অথবা হয়তো আবার অন্যজন্মে মিলবো আমরা দুজনে। এযে আত্মার সম্পর্ক রে।

জানিস যখন কলকাতায় এলাম, তোর কাকুর কিডনির সমস্যা দেখা দিয়েছিল। চিকিৎসা চলাকালীন পরীক্ষায় জানতে পারি আমাদের সন্তান না আসার কারণ নাকি তোর কাকুর অক্ষমতা। আসলে গ্রামে তো মেয়েদেরকে বাচ্চা প্রদানের গাছ ভাবা হয়, তাই সেখানে পুরুষের দোষগুনের উপর সন্দেহের কোনো অবকাশই থাকেনা। সে অজ্ঞানের সূচিভেদ্য আঁধারে নারীই যে নির্বিবাদে বিচার্য সংসারের সকল ভালোমন্দের কারণ হিসেবে। সে গ্রামে যাই ভাবুক না কেন, যে মানুষটা আমার মনে আজীবন একটু কষ্টও দেননি, যে আমার একটু ভালো লাগার কথা ভেবে কলকাতায় এসে ছুটির দিনগুলিতে আমাকে নিয়ে গেছেন অনাথালয়ে, তাকে আমি সে অক্ষমতার কারণ আর জানাইনি। জানালে তো এতোদিন পর দুজনের কষ্টটা আবার কোনো নতুন করে মাত্রা পেতো না। আর শারীরিক গঠনের অসম্পূর্ণতা তো কারো ইচ্ছাধীন নয়। তবে কি জানিস তো, আজ বড় চিন্তা হয় তোর কাকুর জন্য। আমি না থাকলে কে দেখবে ওনাকে? বলেতো বৃদ্ধাশ্রমে চলে যাব। তবু মনে হয়, যদি একটা বাচ্চা নিতাম আমরা। আসলে তখন এতো প্রচলিত ছিল না এসব পদ্ধতি, আর গাঁয়ের পরিবেশ ছেড়ে এসেছি তো অনেক পরে, ততদিনে চুলে পাক ধরে গিয়েছিল।

তবে তোকে বলি রে দ্বীপা, আমি যখন আমাদের পাশের মর্নিং স্কুলের বাচ্চাগুলোকে দেখতাম, কি একটা অদ্ভুত ভোরের আশার আলো ঝলকাতো ওদের চোখেমুখে। কেউ মার হাত ধরে, কেউ বাবার হাত ধরে, কেউবা আবার দাদুর হাত ধরে স্কুলে আসতো। এই বন্ধনগুলো যেকোনো শিশুর জীবনে বড় দরকার। অনাথালয়ে বাচ্চাগুলোকে ওরা এতো দেখভাল করে, পড়াশুনা করায়, কিন্তু কই, সেই খুশির ঝলকানিটা তো পাইনা ওদের চোখেমুখে? আপন করে একটা কুঁড়িকে আলাদা সোহাগ দিয়ে ফোটানোর যে একটা নিবিড় ছোঁয়া থাকে রে। কষ্ট হয় বড় ওদের দেখে। কোনো মানুষ যদি পাষাণ হয়ে ওদের পথের ধূলায় ফেলে যায়, তবে কি অন্য কোনো মানুষ ওদের শূন্য কোলে তুলে নিয়ে স্নেহের বারিবর্ষণ করতে পারে না? আর ভবিষ্যৎ কেইবা জানে, কত সন্তানই তো নিজের বাপ মাকে দেখেনা, আবার তুই যে আমার গর্ভে না হয়েও কত আপন।

তুই তো জানিস, আমি পরজন্ম- পাপপুণ্য -কর্মফলে বড় বিশ্বাসী। যখনই জীবনে কিছু ব্যথা পেয়েছি, নিজের কর্মফল বলেই মেনে নিয়েছি তা। আর ভেবেছি ঈশ্বর যা করেন, মঙ্গলের জন্যই। তুই ও তাই মনে কর না মা, যে ঈশ্বর তোকে নিজের সন্তান দেননি এইজন্যই যে তোর আঁচলের তলায় এক অনাথ তার স্নেহের নাথ পাবার ভরসা পাবে বলে। এর চেয়ে ভালো কর্ম আর কিছু নেই রে মা। নিজের সন্তানকে যে সবাই আপন করে, তুই আমার ভালো মেয়ে হয়ে পরকে নিজের হৃদয়গৃহে পালন করে মমতার শীতলতা দিবি আজীবন। আমার কথা রাখ মা, একটা ছোট্ট প্রাণকে নিয়ে আয় তোদের জীবনে। বড় লোভ হয় তোকে এমন মা বলে ডাকার, হয়তো আমিই পরের জীবনে চলে আসবো তোর আদর খেতে। মজা করছি রে মেয়ে, রাগ করিস নি যেন, এখনো অনেক বাঁচবো আমি।

----- তোর ভালো মা।'

সেদিন রাতেই দ্বীপা আর অভ্র মিলে অনলাইন ফর্ম ফিলাপ করেছিল দত্তকের জন্য। অভ্র তো সব খোঁজখবর নিয়েই রেখেছিল আগে থেকে, শুধু দ্বীপার মতের অপেক্ষায় ছিল। এও জেনেছিল যে এখন সব সেন্ট্রাল দ্বারা কন্ট্রোলড হয়ে গেছে, তাই প্রায় এক বছরের উপর সময় লেগে যায় পুরো প্রসেস সম্পূর্ণ হতে।

সেই বছরেই সেপ্টেম্বরে চলে গিয়েছিলেন দ্বীপার ভালো মা। জীবনে দ্বিতীয়বার দ্বীপা মাতৃবিয়োগের যন্ত্রণা পেয়েছিল সেদিন। তারপর অজয় কাকুকে তাদের বাড়িতে এনে দুজনের(দ্বীপার বাবা ও অজয় কাকু) জন্য একটা দেখভালের লোক রেখে কলকাতায় ফিরেছিল দ্বীপা। এতো কথা ভাবতে ভাবতেই কখন যে ভোর হয়ে গেল, টেরই পায়নি আজকের আগামী জননী। তারপর সকালে স্বামী স্ত্রী মিলে রেডি হয়ে পৌঁছে গেল তাদের নতুন হৃদয় সদস্যকে আনতে। প্রথম যখন একটা ফুটফুটে নয় মাসের মেয়েকে কোলে পেল দ্বীপা, অবাক হয়ে দেখছিল.. ঠিক সেরকম একরাশ ঘন চুল মাথায়, যেন সেরকমই মায়াময় চোখদুটো। দূর্গা পঞ্চমীর দিন তাদের ছোট্ট সোনার নামকরণের দিন ধার্য হল। অভ্রর দেওয়া নাম ও দ্বীপার বাবার দেওয়া নামের চেয়ে উজ্জ্বল হয়ে জ্বলে উঠল দ্বীপার দেওয়া নাম 'অদ্রিজা'। মনের মধ্যের বিশ্বাসটা আনন্দে আরো দৃঢ় হয়ে উঠল দ্বীপার। শুনেছিল তার ভালো মা দূর্গা পঞ্চমীতে হওয়ায় তার নামকরণ হয়েছিল পার্বতী।

আর ফোনের ইন্টারনেট ঘেটে দেখেছে সে, যে গিরিরাজ হিমালয়ের কন্যা পার্বতীরই আরেক নাম অদ্রিজা। ঠিক আগের বছর তার ভালো মা পূজার আগে চলে যাওয়ায় যে কষ্ট তাকে বেদনার সাগরে ডুবিয়েছিল, এবারের দূর্গাপূজায় ছোট্ট অদ্রিজাকে বুকের মাঝে পেয়ে সে সেই যন্ত্রণাকেই ভুলিয়ে আনন্দ সাগরে ডুব দেবে ... মাতৃত্বসুখে।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Inspirational