ভালোবাসা অন্তহীন
ভালোবাসা অন্তহীন


জীবনের শেষ সোপানে পৌঁছে মৃণালিনী দেবী আর সমরেশ বাবু দুজনেই বেশিরভাগ সময় পূর্বের রোমান্টিক স্মৃতি চারনায় ব্যস্ত থাকেন। এখন আর করবার মতো কি ই বা আছে দুজনের।আটষট্টি বছরের মৃণালিনী দেবী আর ছিয়াত্তর বছরের সমর বাবু। ছেলে মেয়ে র বিয়ে থা দিয়ে, একেবারেই ঝারা হাত পা। কিন্তু এনারা দুজনে জানেন কি করে এই জীবনের শেষ প্রান্তে পৌঁছেও ভালোবাসা যায়। ছেলে মেয়েদের সময় নেই বাবা, মাকে দেখাশোনা করবার। সবাই যে যার কাজে ব্যস্ত। কোনো সমস্যা নেই, কোনো অভিযোগ নেই তাই নিয়ে এই দম্পতির। সমরেশ বাবুর কথায়,"থাকুক ওরা যে যার মতো, ভালো থাকুক। আমরাই জীবনটাকে ভালোবেসে উপভোগ করবো। একে অপরকে ভালোবাসবো।
ওদের মনে আছে, নতুন নতুন বিয়ের পর কি ভালোবাসাই না ছিল দু'জনের মধ্যে। কিন্তু ঘরে বাবা, মা ভাই, বোন, আত্মীয় স্বজন সবসময় ভর্তি থাকতো। এখনকার মতো একা একা তো তখন কেউ থাকতো না। আর তাই সবার সামনে দুজনে দুজনকে কাছেই পেত না। অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করতো রাত্রি বেলার জন্য। তাও কোনো কোনো দিন ঘরে লোকজন বেশি থাকলে, সেটাও সম্ভব হতো না। বিয়ের পর ও নিজের বউকে কাছে পাবার জন্য অপেক্ষা করে থাকতে হতো। তারপর ছেলে মেয়ে হলো, তাদের বড় করে তোলার পিছনে দুজনে ব্যস্ত হয়ে পড়লো। এরপর দায়িত্ব বাড়লো, দুজনে দুজনকে ভালোবাসবে কখন। ওই একসাথে থাকতে থাকতে একে অপরের অভ্যাসে পরিণত হয়েছিল, এই আর কি। এখনকার মতো ক্যান্ডেল লাইট ডিনার বা হানিমুন কোনোটাই করা হয়ে ওঠেনি।
এখন তো সমরেশ বাবু নিজেই বলেন মৃণালিনী দেবী কে, "বুঝলে গিন্নি এখনকার ছেলেমেয়েরা জানে, লাইফটাকে কি করে এনজয় করতে হয়। একটাই তো জীবন বলো। আমাদের সময়ে। বিয়ের পর প্রেম করলেও লুকিয়ে লুকিয়ে করতে হতো। কে কি ভাববে এই ভয়ে। আর এখনকার ছেলেমেয়েরা তো বিয়ে না করেই প্রেমে হাবুডুবু খাচ্ছে। আবার সেদিন শুনছিলাম পার্কে, নিলয় বাবু বলছিলো, ওর ছোট ছেলে নাকি কি লিভ টুগেদার করছে। প্রথমে ভেবেছিলাম খুব ভালো কিছু একটা। তারপর যখন দেখলাম, নিলয় বাবুর মনে বেজায় দুঃখ ব্যাপারটা নিয়ে, তখন খুলে জানতে চাইলাম ব্যাপারটা কি। নিলয় বাবু বললো,"আর বলবেন না দাদা, আজকালকার ছেলেমেয়েদের ভালোবাসার অর্থ ঠিক আমাদের মতো সেকেলে মানুষদের বোধগম্য হয় না। তারা নাকি বিয়ের আগে একসাথে থাকবে,খাবে,ঘুমাবে, বেড়াবে সব করবে। তারপর যদি একে অপরকে ভালো মনে করবে তো বিয়ে অবধি পৌঁছাবে ব্যাপারটা। আর না হলে আবার যে যার জীবনে ফিরে যাবে। সত্যি দাদা, ভালোবাসা মানে এদের কাছে আবেগ না বাস্তবতা সেটাই বুঝতে পারি না। ভালোবাসা মানে এদের কাছে তাজমহলের মতো স্মৃতিসৌধ না, কঠিন বাস্তবতা। যে বাস্তবতা জীবনকে ধ্বংস ও করে দিতে পারে, আবার উর্বর ও করে দিতে পারে।"
মৃনালিনী দেবী সব শুনে বললেন, "আসলে ভালোবাসার পরিভাষা যুগে যুগে পাল্টাচ্ছে গো। আমাদের যুগের চিঠি লিখে প্রেম নিবেদন এখন ফোনের মাধ্যমেই হয়ে যায়। তোমার মনে নেই, বিয়ের পর যখন বাপের বাড়ি গিয়ে মাস দুয়েক ছিলাম, তুমি কতো চিঠিই না লিখেছিলে আমাকে। কতো মন খারাপের কথা লিখতে, আমাকে কাছে না পাওয়ার কষ্ট তোমার চিঠির প্রত্যেকটা অক্ষরে থাকতো। আর আমি প্রত্যেক টা দিন অপেক্ষা করে থাকতাম তোমার চিঠির জন্য। পিওন কাকা চিঠি নিয়ে সাইকেল চালিয়ে যখন যেত আমার বাপের বাড়ি র সামনে দিয়ে, আমার হৃদপিন্ড টা মনে হতো যেন , আমার হাতে চলে আসবে, এতো জোরে ধুকপুক করতো। সে এক আলাদা অনুভূতি, আলাদা শিহরণ খেলে বেড়াতো সারা শরীরে। এখনকার ছেলেমেয়েরা এ সব শুনলে হাসবে গো। কিন্তু সত্যি বলবো, সেই প্রেমের কোনো তুলনা ছিল না। এখন তো ভালোবাসা ও ফোনে, ঝগড়া ও ফোনে, আবার ছাড়াছাড়ি ও ফোনে। রোজ দেখা না করলে এদের চলে না। আরে বাপু, কোনো সময় ছেড়ে থাক্। তবে তো বুঝবি বিরহ ও ভালোবাসা র আর এক নাম। বিরহতে যে সুখ আছে, তা রোজ দেখা করলে পাবি না। আর তাই তো ভালোবাসার আর এক গুরুত্বপূর্ণ পর্যায় বিরহ। বিরহের পর মিলনের যে অনুভূতি তা কি বলবার অপেক্ষা রাখে।"
সমরেশ বাবু সব শুনে মৃদু হেসে বললেন,"আর সেই সব চিঠি তুমি এখনও যত্ন করে আলমারির ভেতরে রেখে দিয়েছো, সবার চোখের অলক্ষ্যে। এখনও এতো ভালোবাসো আমাকে? আর চিঠির কথা যখন ওঠালে, তখন বলি তুমিও তখন আমাকে চোখে হারাতে গিন্নি। আমি লিখে প্রকাশ করে ফেলতাম। আর তুমি সঙ্গোপনে ভালোবাসতে আমাকে। এখনকার ছেলেমেয়েদের ভাষায় মিস করতে, তাই তো। ভাগ্যিস দুজনে একা আছি, তাই পুরানো ভালোবাসাটা একটু ঝালিয়ে নিতে পারছি। বুঝলে গিন্নি, সংসারে সব কিছুরই দরকার আছে। এই যে আজ আমরা একা আছি, তবে তো বুঝতে পারছি একে অপরের কতো কাছের আমরা। বিয়ে মানে তো আর শুধু দায়িত্ব, কর্তব্য পালন করা না। একে অপরের ভালোলাগা, ভালোবাসার সাথী হওয়া। গিন্নি তোমার মনে আছে, সেবছর আমাদের বিয়ের এক বছর পূর্ণ হয়েছিলো। অফিস থেকে ফেরবার সময়, আমি তোমার জন্য একটা লাল টকটকে শাড়ি আর টকটকে একগুচ্ছ লাল গোলাপ নিয়ে এসেছিলাম। আসলে লাল টকটকে শাড়ি তোমার ধবধবে ফর্সা রঙের সঙ্গে খুব মানায় যে। পাছে কেউ দেখে ফেলে, এই ভয়ে আমাদের শোবার ঘরের জানালা দিয়ে শাড়ি আর ফুলগুলো ঘরের মধ্যে ফেলে দিয়েছিলাম আগেই। আর তারপর রাত্রি বেলা তোমাকে বলেছিলাম শাড়ি টা পরে আমাকে দেখাতে। তুমি নতুন বউ এর মতো লজ্জায় লাল হয়ে, পরে এসেছিলে আমার দেওয়া সেই শাড়ি। খোঁপায় সযত্নে লাগিয়েছিলে সেই লাল টকটকে গোলাপ। কি সুন্দর যে দেখতে লাগছিলো তোমাকে। সে রাতে আদরে, সোহাগে ভরিয়ে দিয়েছিলাম তোমাকে। অথচ দেখো আমাদের ছেলেমেয়েদের, তাদের বিবাহ বার্ষিকী মানে বাইরে ঘোরা, বেড়ানো, ডিনার এইসব। তারপর ফোনে নিজেদের ফটো দেওয়া। সবটাই কম্পিটিশন বুঝলে গিন্নি। এর বর যদি বিবাহ বার্ষিকী উপলক্ষে সোনার আংটি দেয়, তো অন্যজন বলবে হীরের আংটি, আর একজন বলবে প্লাটিনাম এর উপর হীরে চাই। ভালোবাসার থেকে এদের কাছে প্রতিযোগিতা টা বড়ো। সত্যি ভালোবাসা থাকলে, সেখানে একটা গোলাপ ফুলই যথেষ্ট। সোনা,হীরে বা প্লাটিনাম এর দরকার পড়ে না সেখানে।"
মৃনালিনী দেবী ভাবুক কন্ঠে বললেন, "আসলে ভালোবাসা হলো একটা অনুভূতি। একটা মিষ্টি অনুভূতি। যেখানে ছোট ছোট খুশিতে খুশি হয়। একটা ছোট্ট মূহুর্ত সারা জীবন মনের ক্যানভাসে আঁকা হয়ে থেকে যায়। যা কখনো মুছে ফেলা যায় না। তা আমাদের মতো সেকেলে মানুষদের ভালোবাসা হোক, বা আমাদের ছেলেমেয়েদের মতো এখনকার ভালোবাসা। আসলে ভালোবাসার পরিভাষাটা তো একই যুগে যুগে। যেখানে মান-অভিমান, বিরহ-বেদনা সব আছে। শুধু যুগে যুগে এর নাম পাল্টে গেছে। আগের প্রেম নিবেদন করা, এখন হয়ে গেছে প্রপোজ করা। আগের প্রেম করছিস কারুর সঙ্গে, এখন হয়ে গেছে , কোনো অ্যাফেয়ার্স আছে নাকি কারুর সঙ্গে? আর আগের প্রেমে ছাড়াছাড়ি, এখন হয়ে গেছে ব্রেকআপ।"
মৃনালিনী দেবীর এহেন মন্তব্যে হাসিতে ফেটে পড়লেন সমরেশ বাবু। জিজ্ঞেস করলেন,"তা এতকিছু তুমি জানলে কি করে?" মৃণালিনী দেবী সেই প্রথম দিনের মতো লজ্জা পেয়ে বললেন,"আমি কি আর এতকিছু জানতাম নাকি এ যুগের ব্যাপার। এ সব তো বৌমাই বলেছে আমাকে। কিভাবে ওর দীপুর সঙ্গে আলাপ হয়েছিল, কিভাবে দীপু ওকে প্রথম ভালোবাসার কথা বলেছিল, কিভাবে ওদের দু মাস ঝগড়া হয়ে ছাড়াছাড়ি হয়ে গিয়েছিল। আবার কি করে ওরা এক হয়েছিল, সব বলেছে বৌমা আমাকে।" সমরেশ বাবু মজা করে বললেন,"তোমার বৌমা তো দেখছি তোমাকে ভালোবাসার ভালোই ক্লাস দিয়েছে।" মৃনালিনী দেবী বললেন,"ক্লাস দিয়েছে কেমন জানিনা, তবে বৌমা আমার ছেলেটাকে খুব ভালোবাসে। একজন মা হিসাবে এর থেকে খুশি আমার আর কিসে হবে বলো। ওরা দুটিতে ভালোবেসে বিয়ে করে সুখে আছে। এটাই আমার বড়ো পাওনা।"
সমরেশ বাবু বললেন, "জানো গিন্নি জীবনের এই শেষ পর্যায়ে এসেও মনে হয়, যদি দুজনে র মধ্যে কেউ একজন আগে চলে যাই, তাহলে থাকব কি করে আর একজন। এ বন্ধন যে ভালোবাসার মজবুত বন্ধন, একে ছেড়ে থাকব কি করে। মুখার্জী বাবুর বউ মারা গেছে এই এক মাস আগে। কি নিঃসঙ্গ জীবন যে কাটাচ্ছে ভদ্রলোক, নিজের চোখে না দেখলে বিশ্বাস করতাম না। আমাকে ওনার স্ত্রীর হাতে তৈরি একটা সোয়েটার দেখিয়ে বললেন,'বুঝলে সমরেশ, এই সোয়েটার টা তোমার বৌদি নিজের হাতে আমার জন্য বানিয়ে দিয়েছিলো। এই সোয়েটারটা গায়ে দিলে মনে হয় যেন তোমার বৌদির হাতের স্পর্শ পাচ্ছি।' বলবার পর কি কান্নাকাটি করছিলো মুখার্জী দা। অসহায়ের মতো বসে থাকে পার্কের বেঞ্চে। এরকম কষ্ট যেন কাউকে না দেন ভগবান। আমি কিন্তু তোমার আগে যাব গিন্নি। এই বলে রাখলাম।" সঙ্গে সঙ্গে সমরেশ বাবুর মুখটা নিজের হাত দিয়ে চেপে ধরলেন মৃণালিনী দেবী। বললেন, "এরকম অলক্ষুনে কথা এই সন্ধ্যে বেলা না বললেই হচ্ছে না তোমার।" সমরেশ বাবু বললেন,"শরীরটা খুব একটা ভালো নেই গো গিন্নি। বুকের ব্যথাটা কম হচ্ছে না কিছুতেই। কে জানে কখন তোমার ভালোবাসার বাঁধন আলগা করে চলে যেতে হবে।" মৃনালিনী দেবীর মনটা যখন থেকে শুনেছে কথাটা একেবারেই ভালো লাগছে না। ছেলে মেয়েরাও সব বাইরে। কি করবে একা একা। রাতে অল্প খেয়ে শুয়ে পড়লেন দুজনেই।
রোজ মানুষটা ভোরে ঘুম থেকে উঠে পার্কে বেড়াতে যায়। আজ কি তবে সত্যিই শরীরটা বেশী খারাপ হলো। পুজো করতে করতে ভাবছেন মৃণালিনী দেবী। আজ একবার ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতেই হবে। মনটা ওদিকেই পড়ে আছে। কোনো রকমে পুজো করে উঠে এলেন মানুষটার কাছে। না নিশ্চিন্তে ঘুমিয়ে আছে। বৃথাই ভয় পাচ্ছিলেন। কিন্তু এবার তো ওঠাতে হবে। ঘুম থেকে উঠে মুখ ধুয়ে দুটো বিস্কুট খাওয়া যে মানুষটার অনেক দিনের অভ্যেস। সামনে এসে গায়ে হাত দিয়ে হাল্কা ধাক্কা দিয়ে ওঠাতে গেলেন মৃণালিনী দেবী। কিন্তু একি! গা তো বরফের মতো ঠান্ডা। কোনো সাড়া শব্দ নেই কেন মানুষটার। জোরে জোরে ধাক্কা দিতে লাগলেন মৃণালিনী দেবী মানুষটার গায়ে। না কই উঠছে না তো। চিৎকার করে উঠলেন মৃণালিনী দেবী। তবে কি মানুষটা সব ভালোবাসার বাঁধন খুলে চলে গেল।
সবাই সমরেশ বাবুর মৃতদেহ নিয়ে শ্মশানের উদ্দেশ্যে রওনা হলো। ঘরের ভেতর একা বসে আছেন মৃণালিনী দেবী। হঠাৎই চমকে তাকালেন সামনের দিকে।সমরেশ বাবু একগুচ্ছ টকটকে লাল গোলাপ আর টকটকে লাল একটা শাড়ি নিয়ে দাঁড়িয়ে আছেন সেই প্রথম দিনের মতো। দৌড়ে গিয়ে সমরেশ বাবুকে জড়িয়ে ধরে ঝরঝর করে কেঁদে ফেললেন মৃণালিনী দেবী। তারপর সমরেশ বাবুর বুকে নিজের হাত দিয়ে মারতে মারতে বললেন,"কেন তুমি আমাকে এখানে একা রেখে চলে গিয়েছিলে বলো। যে ভালোবাসার বাঁধনে আমি তোমাকে বেঁধে রেখেছি, এত সহজে তুমি তার থেকে মুক্তি পাবে না, এই আমি বলে দিলাম।" তারপর জড়িয়ে ধরে বললেন,"এবার যাও আমাকে ছেড়ে।দেখি কেমন করে যেতে পারো।" সমরেশ বাবুর বুকেই এলিয়ে পড়লেন মৃণালিনী দেবী। ছেলে মেয়ে সবাই দৌড়ে এসে দেখলো, মৃণালিনী দেবী মেঝেতে পড়ে আছেন। ডাক্তার এসে বললো, "আর কিছু করার নেই। উনি মারা গেছেন।"
"তুমি কি ভেবেছিলে আমাকে একা রেখেই চলে যাবে তুমি। ভালো কি শুধু তুমিই আমাকে বেসেছিলে নাকি? তোমার থেকে হাজার গুণ বেশি ভালো আমি তোমাকে বেসেছি। এতো সহজে আমার ভালোবাসার অঙ্গীকার কে অস্বীকার করে তুমি চলে যেতে চাইছ আমার থেকে এতো দূরে। কিন্তু আমিতো তা হতে দিতে পারি না। যে ভালোবাসার পথে, আমরা দুজনে একসঙ্গে পাড়ি দিয়েছিলাম একদিন। সেই পথ চলা আমরা একসঙ্গেই শেষ করবো। তাই তো তোমার কাছে চলে এলাম। এবার দুজনে একসঙ্গে চলো পাড়ি দিই সেই অজানার উদ্দেশ্যে হাত ধরাধরি করে। পরম নির্ভরতায়,পরম ভালোবাসায় দুই বৃদ্ধ-বৃদ্ধা একে অপরের হাত জড়িয়ে ধরে পাড়ি দেয় সেই অসীমের উদ্দেশ্যে। ওদের দুজনের এই অন্তহীন ভালোবাসা মৃত্যুর পরও ওদের একসঙ্গে বেঁধে রাখে।