Ignite the reading passion in kids this summer & "Make Reading Cool Again". Use CHILDREN40 to get exciting discounts on children's books.
Ignite the reading passion in kids this summer & "Make Reading Cool Again". Use CHILDREN40 to get exciting discounts on children's books.

Mithun Mondal

Drama

2  

Mithun Mondal

Drama

Best Friend

Best Friend

8 mins
3.0K


বেস্ট ফ্রেন্ড একটি শ্রুতি নাটক। এই নাটকের দুই জন চরিত্র। নীল এবং রুপসা। এদের পুরো নাম হল নীলাঞ্জন ঘোষ এবং রুপসা চ্যাটার্জী।

II

রুপসা ঃ- নীল! নীল! কোথায় যাচ্ছো?

নীল ঃ- বাংলা

রুপসা ঃ- দেখতে দেখতে কেমন করে দুবছর কেটে গেল। আমাদের স্কুল লাইফও শেষ হয়ে গেল। এর পর কলেজ, ইউনিভার্সিটি চাকরী...

নীলঃ- বাপরে! অনেক দূর ভেবে রেখেছ তো? কলেজে ,ইউনিভার্সিটিতে পড়বে ঠিক আছে কিন্তু তোমার চাকরী করার কি দরকার? তুমি দেখতে সুন্দর, তোমার বাবার পয়সাও আছে, কোন বড়ো ব্যবসাদার বা উচ্চপদস্ত সরকারী চাকুরে কে বিয়ে করলেই তো হয়।

রুপসা ঃ- বিয়ে আমি যাকেই করিনা কেন, চাকরী আমি করবই। আমি অন্যের উপর নির্ভর করতে পারব না। আমার একটা শেল্ফ ডিগনিটি আছে। সব কিছুর জন্য হাসবেন্টের কাছে হাত পাততে পারব না। আর আমি মরে গেলেও ব্যবসাদার কে বিয়ে করব না। সারাক্ষণ শুধু টাকা টাকা...

নীলঃ- আরে জীবনে ভালভাবে বেঁচে থাকার জন্য টাকাই তো দরকার। যাইহোক তোমার কেমন ছেলে পছন্দ?

রুপসা ঃ- Educated! Romantic! Caring! দূর ছাড়ও তো এই সব কথা, তুমি আমাকে কি বলবে বলে ডেকে আনলে সেটাই তো বললে না।

নীলঃ- হ্যাঁ, মানে, আকাশে মেঘ করেছে। এই বুঝি বৃষ্টি নামবে, চলো এই বার যাওয়া যাক

রুপসা ঃ- O.K Let’s move. 


নীল ঃ- কনগ্রাচুইয়েশন ফর ইউর ব্রিলিয়ান্ট রেজাল্ট।

রুপসা ঃ- থ্যাঙ্ক ইউ। এন্ড কনগ্রাচুইয়েশন টু ইউ অলসো।

নীল ঃ-বাট্ ফর হোয়াট? এই নাম্বার নিয়ে ইংরাজিতে অনার্স পাবো কি না ভাবছি! তুমি Engineering  না Medical পড়বে ?

রুপসা ঃ- না ভালো র‍্যাঙ্ক তো হয় নি তাই ভাবছি ফিজিক্সে অনার্স করবো? আর তুমি ইংরাজিতে অনার্স না করে বাংলায় করতে পারো। তোমার উপন্যাস পড়ার নেশা, রবীন্দ্রসংগীত শেখা এগুলো তোমাকে হেল্প করত। আই মিন টু সে, ইটস্ বেটার টু লার্ন ইন ইউর ওন্ ফিল্ড না! যতই হোক বাংলা সাহিত্যের প্রতি তোমার একটা সফট কর্নার তো আছে!

নীলঃ- সফট কর্নার বলো বা তুলতুলে কোণ্ ! বাংলা সাহিত্য, রবীন্দ্রসংগীত এগুলো একান্তই আমার ভালো লাগার জায়গা। প্যাশন আর কেরিয়ার সম্পূর্ণ ভিন্ন দুটো জিনিস। কেরিয়ার সেই জিনিসেরই করা উচিৎ যার বাজারে চাহিদা আছে। কেউ কেউ প্যাশনকে কেরিয়ার করে, তাদের সংখ্যা কম, আর সাকসেসফুল লোকের সংখ্যা তো আরও কম। তুমি যদি ইঞ্জিনিয়ারিং না পড়ো তাহলে এখানেই ফিজিক্স নিয়ে পড়বে তো?

রুপসা ঃ- এখানে! OMG! এর থেকে কলকাতায় কোন কলেজে পাসকোর্সে পড়বো। এখানকার ফিজিক্সের ডিপার্মেন্টের যা অবস্থা! ফুলটাইম স্টাফের অভাব। ল্যাব ফ্যাসিলিটি আপডেটেড নয়! তাছাড়া কলকাতায় পিশিমনি একা রয়েছেন। দাদাকে তিন বছরের জন্য কোম্পানি থেকে ইউ এস এ তে পাঠিয়েছে। ভাবছি পেসিডেন্সি আর স্কটিশচার্চ কলেজে ফর্ম তুলব। তুমি কি করবে? তুমিও তো আসতে পারো কলকাতায়।

নীলঃ- কলকাতায় ইংরাজি অনার্স পড়তে! কোন ইচ্ছা নেই! শেক্সপিয়ার বা কিটস্ হওয়ার কোন স্বপ্ন দেখি না। আমার যা নাম্বার আমি প্রেসিডেন্সি বা স্কটিশচার্চ কোন কলেজেই পাবো না। তাছাড়া সাঁইথিয়া অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয় ফিজিক্সের জন্য আনসুইটেবিল হলেও ইংরাজিটা যথেষ্ট ভালো। অন্তত আমাদের মতো সাধারণ ছেলেদের জন্য।

রুপসা ঃ- নীল, আজ বিকেলে আমি চলে যাচ্ছি কলকাতায়। প্রথম যখন এই শহরে এসেছিলাম আমার একদম ভালো লাগেনি। কিন্তু আজ যখন চলে যাচ্ছি সত্যি খুব খারাপ লাগছে। শুনলাম গতকাল একটা অনুষ্ঠানে চন্দ্রবিন্দুর ভিনদেশি তাঁরা গানটা গেয়েছো? একটু শোনাবে প্লীজ!

নীলঃ- অবশ্যই! তুমি আজ এই শহর থেকে চলে যাচ্ছ, তোমার এই ছোট্ট অনুরোধ টা রাখব না!

গানঃ আমার ভিনদেশি তাঁরা...

রুপসা ঃ- শেষ মেষ প্রেসিতেই ভর্তি হলাম। দারুণ ক্যাম্পাস। পাশে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়। খুব এক্সাইটিং লাগছে। যতই হোক এখান থেকে সুগত বসু, ব্রাত্য সৃজিতের মতো ব্যক্তিত্বরা বেড়িয়েছে। প্রেসির একটা নিজস্ব ঐতিহ্য আছে। জানো নীল, প্রেসিতে একটা ছেলের সাথে আমার ফ্রেন্ডশিপ হয়েছে। নাম হারুন। বাংলাদেশ থেকে এসেছে। প্রেসিতে বাংলায় অনার্স করছে। ও যখন জীবনানন্দের ‘আবার আসিব ফিরে’ কবিতাটা রিসাইট করছিল, আমি জাস্ট স্টার্ন হয়ে গিয়েছিলাম। আই কান্ট এক্সপ্রেস মাই ফিলিংস। ইটস্ রিয়েলি ‘বেগার ডেসক্রিপশন’। তাছাড়া ও খুব সুন্দর গীটারও বাজায় তবে তোমার মতো স্প্যানিশ গীটার নয়! ও ক্ল্যাসিক্যাল গীটার বাজায়। গতকাল আমারা ভিক্টোরিয়া গিয়েছিলাম। ওখানে হারুন, ইমন রাগটা বাজিয়ে ছিল। এতোদিন আমি এই রাগটা হারমোনিয়াম আর তানপুরা বাজিয়ে গাইতে শুনেছিলাম। গীটারেও যে এতো সুন্দর হতে পারে আমার জানা ছিল না। যাই হোক অনেক রাত হলো। এখন রাত্রি একটা বাজছে। কলকাতার অন্য বাসিন্দার মতো আমারও এবার নরম বিছানাকে আলিঙ্গন করতে ইচ্ছে করছে। ও হ্যাঁ আর একটা কথা, হারুন আমার ফেসবুকের ফ্রেন্ড লিস্টে আছে। আমি তোমার কথা হারুন কে বলেছি। তুমি ইচ্ছে করলে ওকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাতে পারো। গুট নাইট। সুইট ড্রিম।

                                                                                              রুপ...

নীলঃ- রুপ, আমি জানতাম তুমি প্রেসিতে চান্স পাবে। আর একটা কথা শুনে ভালো লাগল, তুমি একজন ভালো বন্ধু পেয়েছ। তবে কি জানো রুপ, আমি না হারুনের মতো অতো ট্যালেন্টেড নয়। তাই আমি হারুনকে ফেসবুকে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট পাঠাচ্ছি না। তাছাড়া লাস্ট মেলেও তুমি হারুনের কথা লিখেছিলে। তাই আমি জানি আগামী মেল গুলোতেও হারুনের কথা থাকবে। ও আর একটা কথা, প্রেসির মতো এতোটা ঐতিহ্য না থাকলেও আমাদের অভেদানন্দ মহাবিদ্যালয় ও খারাপ নয়। একদা শ্রদ্ধেয় কে ডি রায়ের মতো প্রোফেসার আমাদের কলেজে পড়িয়েছেন। যাই হোক গতকাল কলেজ ফেস্টে একটা গান গেয়েছিলাম। তোমায় পাঠালাম, কেমন হয়েছিল জানিও।

গানঃ শহর জুড়ে যেন প্রেমের মরশুম...

রুপসা ঃ- জানো নীল আজ না দারুণ মজা হয়েছে। আমি আর হারুন ক্লাস বাঙ করে নন্দনে সিনেমা দেখতে গিয়েছিলাম। শর্মিলা টেগরের ‘লাইফ গোস্ অন’। সিনেমাটা ইংরাজিতে হলেও মূলত লন্ডনে একটি বাঙালী পরিবারের ঘটনা। সিনেমাটাতে দুটো রবীন্দ্রসংগীত হিন্দিতে ট্রান্সলেট করে ব্যবহার করা হয়েছে। এর মধ্যে ‘সখী প্রেম কিসে ক্যাহেতাহে’ টা বেশ ভালো লেগেছে। সিনেমা দেখে আমরা কফি হাউসে আড্ডা মারলাম। ইউ নো নীল, হারুন আমাকে বাংলাদেশ নিয়ে যাবে বলেছে। ওখানে পদ্মায় নৌকা বিহারের মজায় নাকি আলাদা! তাছাড়া ওখানে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে। তুমি যাবে আমাদের সঙ্গে? মেল করে জানিও। ও হ্যাঁ তোমার কলেজ ফেস্টের গানটা ভালো হয়েছে। এর পর যখন গান পাঠাবে আমাকে রূপঙ্করের একটা গান গেয়ে পাঠিও প্লীজ। ভালো থেকো।

                                                                                         রুপ...

নীলঃ- আচ্ছা রুপ, তুমি কলকাতায় কি করতে গিয়েছ? হারুনের সঙ্গে সিনেমা দেখতে না পড়াশুনা করতে? তোমার পিশিমনিকে জানাতে হবে যে তুমি কলকাতায় গিয়ে একদম বকে গিয়েছ। ক্লাস বাঙ্ করে হারুনের সাথে কফি হাউসে আড্ডা মারছ, এতে তো তোমার পড়াশুনায় ক্ষতি হচ্ছে। আমি তো শুনেছি সাইন্সে একটা সিকোয়েন্স থাকে। বাংলার মতো দুটো গল্প বাদ দিয়ে তো পড়া যায় না। যাই হোক আমি হয়তো একটু বেশিই বলে ফেললাম। ইটস্ ইউর লাইফ, ইউ ক্যান স্পেন্ড ইউর টাইম ইন ইউর ওন ওয়েজ। আর একটা কথা, আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে একটা বাংলা ব্যান্ড করেছি। নিজেরাও গান তৈরি করছি। তবে কন্সার্টে গিয়ে দুএকটা পপুলার গান তো গাইতে হয়। রুপঙ্করের একটা গান গেয়েছিলাম, তোমায় পাঠালাম। ভালো থেকো।

গানঃ তবু যদি তুমি আসতে চাও...

                                                                                    নীল...

রুপসা ঃ- বেশ কিছু দিন তোমাকে মেল করা হয়নি। বাংলাদেশ থেকে ফিরে পড়াশুনায় মন দিয়েছি। তুমি তো গেলে না, যদি যেতে, দেখতে পেতে বাংলাদেশ কতো সুন্দর। আমরা সিলেটে ছিলাম। খুব সুন্দর জায়গা। এখানকার বহু মানুষ ইউ কে তে থাকে। অনেকে সিলেট শহরকে দ্বিতীয় লন্ডন বলে। সিলেটকে ‘স্প্রিচুয়েল ল্যান্ড অফ বাংলাদেশ’ বলা হয়। আমি ওখানে অনেক সুফি গান শুনলাম। তুমি আসলে, তোমার খুব ভালো লাগতো। তুমি হয়তো তোমার ব্যান্ডের জন্য কোন গানের সুরও খুঁজে পেতে। তবে আমাদের পদ্মায় নৌকা বিহার টা করা হয়নি। হারুনের আব্বা যেতে দেননি। কি করে তিন দিন পেরিয়ে গেল বুঝতে পারিনি। আমার আরও কয়েকদিন থাকতে ইচ্ছে করছিল কিন্তু কি করব বলো, পিশিকে তো বলে এসেছি এক্সকার্সনে যাচ্ছি কলেজ থেকে। বাংলাদেশ যাচ্ছি বললে থোরিই আমাকে যেতে দিত। আসলে হারুন আমাকে বাংলাদেশ নিয়ে যাওয়ার জন্য এতো ইনসিষ্ট করছিল যে আমি আর না করতে পারিনি। ও আর একটা কথা আমি ওখানে গিয়ে প্রথম বিয়ার খেয়েছি। প্রথমে তো খুব তেঁতো লাগছিল অনেকটা চিরতার জলের মতো। তারপর মাথাটা কেমন ঝিমঝিম করছিল। নিজেকে রানী রানী মনে হচ্ছিল। হারুন পরে বলেছিল আমার নাকি নেশা হয়েগিয়েছিল, আমি খুব বেশি কথা বলছিলাম। আচ্ছা আজকে এই পর্যন্ত থাক। পরে কোন দিন দেখা হলে বাংলাদেশের আরও অনেক গল্প বলব। সত্যি কথা বলতে আমার ঐ দেশটাকে বেশ ভালো লেগেগেছে। ভালো লাগাতো একটা অনুভূতি এটাকে ভাষায় প্রকাশ করা বেশ কষ্টকর। O.K, BYE. 

                                                                     রুপ...

                                                                                                                      

নীলঃ- ও মাই গড! তুমি মদ খেয়েছ? বুঝতে পারছি তুমি হারুনের সাথে মিশে একে বারে বকে গিয়েছ! যদিও অনেক মেয়েই খায় কিন্তু তুমিও... । আর তুমি বাংলাদেশ গিয়েছ পিশিমনিকে না জানিয়ে। এটা ঠিক করোনি। তিনি পরে জানতে পারলে কষ্ট পাবেন। যাইহোক এটা তোমার ব্যক্তিগত ব্যপার, আমি কে, উপদেশ দেওয়ার? রুপ আমিও এখন ভীষণ ব্যস্ত। পড়াশুনা ছাড়াও এবছর রবীন্দ্রজয়ন্তীতে শান্তিনিকেতনে একটা প্রোগ্রামে আমারা বেশ কয়েকটা রবীন্দ্রসংগীত গাইব। তাই রিহার্সালে ব্যস্ত আছি। ভালো থেকো।

                                                                          নীল...

রুপসা ঃ- নীল, আজ সকালের পেপার পড়েছ? হারুনকে পুলিশে ধরে নিয়ে গেছে। গত সপ্তাহে ঢাকায় যারা বিস্ফোরণ ঘটিয়ে ছিল তাদের সাথে নাকি ওর যোগাযোগ ছিল। পুলিশের সন্দেহ হারুন আই এস আই এর সদস্য। ক্যান ইউ ইমাজিন হারুন ইজ এ টেরিরিষ্ট। রিয়েলি আই ডোন্ট ওয়ান্ট টু ট্রাস্ট ইট। যে ছেলেটা এতো খোলামেলা , যে এতো সুন্দর কবিতা আবৃত্তি করে সে আর যাই হোক সন্ত্রাসবাদী হতে পারেনা। অন্তত আমার তো এটা বিশ্বাস করতে খুব কষ্ট হচ্ছে। গতকাল রাজাবাজার থেকে হারুনকে পুলিশে তুলে নিয়ে যাওয়ার পর থেকেই আমার খুব টেনশন হচ্ছে। কাল সারারাত আমার ঘুম হয়নি। আজ এখন রাত্রি ২টো বাজছে। তবুও আমার ঘুম আসছে না। মনে হচ্ছে পিশিমনির সব ঘুমের ট্যাবলেট গুলো খেয়ে সারা জীবনের মতো ঘুমিয়ে পড়ি। নীল, আই নীড ইওর হেল্প। প্লীজ সাজেস্ট মি হোয়াট সুড আই ডু নাও।                                                                                                                                                   রুপ...

                                                                                              

নীল ঃ- রুপ ইংরাজীতে একটা কথা আছে জানো তো, suicide is the permanent solution of a temporary problem. একটা জীবনে অনেক সমস্যা থাকে রুপ, তাই বলে সুইসাইড করা বা সমস্যা টাকে এড়িয়ে যাওয়া কোন কাজের কথা নয়। ইউ জাস্ট ফরগেট হারুন অ্যান্ড কনসেনট্রেট টু ইউর স্টাডি। তাহলেই দেখবে তোমার জীবন টা আগের ছন্দে ফিরে এসেছে। আমি জানি, তোমাকে হারুনকে ভুলে যেতে বললাম আর তুমি ভুলে গেলে সেটাতো সম্ভব নয়। কিন্তু চেষ্টা তো করতে হবে। কখনও কখনও আমাদের ছেড়ে দিতে হয়। জীবন নিজেই তার সমাধান খুঁজে নেয়। I mean to say, sometime we should be little bit indifferent of our life. দেখো সব ঠিক হয়ে যাবে। সামনের রোববার চলে এসো শান্তিনিকেতনে। ঐ দিন আমাদের একটা ওয়ার্কশপ আছে শান্তিনিকেতনে। তারপর তোমাকে আমি খোয়ায় নিয়ে যাবো। জ্যোৎস্না রাতে খোয়ায় এক মায়াবী রুপে ধরা দেয় পর্যটকদের কাছে। কিংবা আমরা কোপায় নদীর ধার ধরে অনেকটা পথ হাঁটবো। I think it helps to change your mind. ভালো থেকো।

                                                                                নীল... 

রুপসা ঃ- নীল তোমার অনুরোধটা রাখতে পারলাম না। শান্তিনিকেতন যেতে আমার খুব ইচ্ছে করছিল। জ্যোৎস্না রাতে তোমার সাথে খোয়াই ঘুরতে আমার ভীষণ ইচ্ছে করছিল। কিন্তু একই সঙ্গে মনের ভিতর একটা ভয়ও কাজ করছিল। কি ভয় জানো? তোমাকে হারানোর ভয়। আমি যার সাথেই ভালো ভাবে মিশি সেই আমার জীবন থেকে হারিয়ে যায়। তোমাকে আমি হারাতে চাই না। তার থেকে ইন্টারনেটের মাধ্যমে তোমার আমার যে বন্ধুত্ব আছে সেটাই আমার কাছে অনেক প্রাপ্তি। আমি চাই, তুমি সারাজীবন আমার বেস্ট ফ্রেন্ড থাকো। তাছাড়া হারুনের কথা ভাবতে ভাবতে অনেক সময় নষ্ট করে ফেলেছি। এবার পড়াশুনায় সত্যি মন দিতে হবে। তোমাদের অনুষ্ঠানের জন্য শুভেচ্ছা রইল। অবশ্যই তোমাদের অনুষ্ঠানের রেকডিং টা পাঠাবে। ভালো থেকো।

                                      

                                                                                    রুপ...

নীল ঃ- রুপ, আমি জানতাম তুমি রিকভার করতে পারবে। তোমার মধ্যে এই ডিটারমিনেশনটাই আমার ভালো লাগে। রুপ তোমার মনে আছে, যখন আমরা স্কুলে পড়তাম একদিন ঘণ্টা দুএকের টানা বৃষ্টিতে আমাদের খেলার মাঠটাতে জল জমে গিয়েছিল। তুমি সেই দিন বেশ কয়েকটা কাগজের নৌকা গড়ে জলে ভাসিয়েছিলে। প্রত্যেকটা নৌকার গায়ে লিখেছিলে, আমার দুঃখ, আমার কষ্ট, আমার বেদনা, আমার ব্যর্থতা, আমার অলীক স্বপ্ন। আমি তোমাকে জিজ্ঞেস করেছিলাম, ‘স্বপ্নকে কেন ভাসালে, আমরা স্বপ্ন নিয়েই তো বাঁচি’। তুমি বলেছিলে, ‘আমি অনেক স্বপ্ন দেখতে চাই, যাতে একটা দুটো স্বপ্ন পূরণ না হলেও জীবনকে বৃথা না মনে হয়’। আজ আবার একটা কাগজের নৌকা গড়ো, সেটাতে ‘আমার ভয়’ লিখে গঙ্গার জলে ভাসিয়ে দাও, দেখবে তুমি সেই আগের রুপসায় ফিরে এসেছ। অনুষ্ঠানের রেকডিং টা পাঠালাম। সঙ্গে আরও একটা গান পাঠালাম, যে গানটা তুমি মাঝে মাঝেই গুন গুন করতে।আশাকরি তোমার ভালো লাগবে। খুব ভালো থেকো।

                                                                                          নীল...

গানঃ- আমি শুনেছি সেদিন তুমি... 



Rate this content
Log in

More bengali story from Mithun Mondal

Similar bengali story from Drama