বেলী আর আমি
বেলী আর আমি
প্রিয় বেলী,
অযত্ন আর অবহেলাকে উপেক্ষা করে আজ তুই নিজ সাজেই পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছিস । যেদিন তোকে প্রথম নিজের হাতে রাঙিয়েছিলাম সেদিন মনের মধ্যে একটা উচ্ছাস জেগেছিল ঠিক এভাবেই তোকে একদিন দেখব । একদিন দুদিন বেশ একটা দুটো ফুলে সেজে উঠছিলি । কিন্তু তার কদিন পর থেকেই শুরু হয়েছিল তোর উপর অত্যাচার । দমকা বাতাসে যে কতবার মাথা নুইয়ে পড়েছিস; লাঠি দিয়ে বেঁধে আবারও সোজা করে দিয়েছি তোকে । বাঁদরে, ছাগলে এসে তোকে একেবারে ন্যাড়া করে দিয়ে গেছে কতবার, ভেবেছি আর পারবি না তুই । তাই অযত্নেই রেখে দিয়েছিলাম তোকে । আর সেবার যখন তোর উপর অত মাটি চাপা পড়ল ভাবলাম এবার বুঝি মরেই গেলি আর বোধ হয় তোকে বাঁচাতে পারব না, এবার তোর সমাপ্তি নিশ্চিত । কিন্তু দেখ ঠিক মাথা চাড়া দিয়ে ওঠে অযত্ন এড়িয়ে আজ নিজ সাজে পরিপূর্ণ হয়ে তুই প্রমাণ করে দিলি যে, ইচ্ছাশক্তি আর প্রয়াস প্রবল হলে শত শত বাধা পেরিয়ে সফলতা ঠিকই আসে । ইচ্ছা থাকলে উপায়রা সব নিজে নিজেই আসে । সত্যি তুই আজ আমার কাছে একটা অনেক বড়ো শিক্ষা, অনেক কিছু বুঝিয়ে দিলি । অনেক ধন্যবাদ রে, তোকে আরও যত্ন করে আরও সাজিয়ে তুলব আমি । আরও সুন্দর হয়ে ওঠ তুই ।
(মানব জীবনের পরিপ্রেক্ষিতে উপমার মধ্য দিয়ে অনুপ্রেরণামূলক একটি ছোট্টো উপস্থাপনা)
