অবসান হোক ভ্রান্ত বিভেদের
অবসান হোক ভ্রান্ত বিভেদের
শহুরে সুখের নেশায় গ্রাম ছেড়েছে।কাদা-মাটিকে ঘেন্না করে চিৎকার করে বলেছে, ছি ছি এখানে মানুষ বাস করে!?গ্রামের মানুষকে গাইয়া বলে তাচ্ছিল্য করেছে।চাষবাস করাকে ছোট পেশার স্বীকৃতি দিয়েছে।
তারপরও গ্রামের ছবি তুলে পোস্ট করে বলে,সুন্দর বাংলা,সুন্দরী বাংলা।কলাপাতায় ভাত খেয়ে তৃপ্তির পোস্ট করে।গ্রামের রাস্তার ছবি পোস্ট করে বলে,সুন্দর গ্রাম্য মেঠো পথ।খালি গায়ে থাকা চাষীর ছবি তুলে পোস্ট করে লিখে, চাষিভাই।বয়স যাই হোক,শিক্ষাগত যোগ্যতা যাই হোক,চাষ করে বা চাষের সাথে যুক্ত মানেই ভাই!
আজও যারা গ্রামকে আঁকড়ে পড়ে আছে। জল, কাদা উপেক্ষা করে জীবন কাটায়।শিক্ষিত হওয়ার পরও গ্রামেই থেকে যায়।তারাও গ্রামে থাকার কারনে হয়ে যায়,গাইয়া।
না,কোন কল্পনা প্রসূত লেখা লিখলাম না,বাস্তব অভিজ্ঞতা থেকে তুলে ধরলাম কিছু কথা।শহরে যেখানে বাড়ি কোথায়? জানার পরই বদলে যায় ব্যবহার!
এটুকু বোধ হয়তো অনেকের থাকে না গ্রাম- শহর সর্বত্র ছড়িয়ে থাকে শিক্ষিত-মূর্খ,ধনী-গরিব, চালাক-বোকা।শুধু স্থান দিয়ে মানুষ বিচার করা মুশকিল।বহু কষ্টকে আপন করে, শহুরে আধুনিকতাকে উপেক্ষা করে গ্রামকে ভালোবেসে চাষীদের পাশাপাশি বহু চিকিৎসক, শিক্ষক, ইঞ্জিনিয়ার,উকিল,শিক্ষিত বেকার সারা জীবন গ্রামেই কাটিয়ে দিচ্ছেন। আবার আংশিকভাবে চাষের সাথেও যুক্ত আছেন।কিছু মানুষ চাষবাস ও ব্যবসার সাথেও যুক্ত আছেন।