STORYMIRROR

Ahnaf Shahriar Ayon

Tragedy Thriller

4  

Ahnaf Shahriar Ayon

Tragedy Thriller

আন-আইডেন্টিফাইং আইল্যান্ড

আন-আইডেন্টিফাইং আইল্যান্ড

2 mins
3

সময়কাল খ্রিস্টাব্দতে গুণলে তা ১৯৩৯ এর শেষের দিকে আসবে,মহাসাগর অঞ্চলের জন্য ঘুর্ণিঝড় তোলবার সবচেয়ে সঠিক সময় ভাবা যায় ৷ ইংরেজ সৈন্যদের নিয়ে Z-15(এইচ.এম.এস আর্ক রয়েল) যুদ্ধজাহাজ রওনা দেয় ডেনমার্কের উদ্দেশ্যে। তৎকালীন নাযির হাতে হাতে বলি হওয়া অন্যতম রাষ্ট্র ডেনমার্ক। ইংরেজ সৈন্যগণ সামরিক সহোযোগিতা দিতেই এই সফরের সিদ্ধান্ত নেয়। 

সমুদ্রের মাঝে তখন তীব্র আঁধার, নিম্ন তাপমাত্রা, উপস্থিত ২৭ জন ক্রু মেম্বার এবং ৬৫ জন সৈন্য জাহাজে অবস্থান নিচ্ছিল। মধ্যরাত্রে সৈন্যরা বিশ্রাম রত অবস্থায় ক্যাপ্টেন কার্লোস জাহাজে নোজ অঞ্চলে কম্পনের আগমন টের পান। তৎক্ষণাৎ টেলিফোনযোগে জাহাজের সহকারী ক্যাপ্টেনকে তিনি জিজ্ঞাসা করেন৷ তিনি দাবি করলেন উত্তাল ঢেউয়ের ফলে জাহাজের ভারসাম্য অস্থিতি আসছে,এছাড়া আপত্তিকর কিছু তার চোখে বা কানে এসে পৌছায় নি৷ কার্লোস ভাবছিলো নাযি বাহিনী হয়ত টর্পেডো হামলার প্রচেষ্টা চালাচ্ছে। ডেনমার্ক পৌছাতে গেলে সুইডিশদের একটি সাগরের অঞ্চল পাড়ি দেয়া অত্যাবশ্যক বটে,তবে সুইডিশরা তো নাযি দখলে;তাই কার্লোসের মনে ভয় কাজ করা অবশ্যম্ভাবী কিছু নয়৷ কেবিন থেকে কার্লোস বেরিয়ে এসে মিসাইল লঞ্চার স্টেজে এসে বসল,কন্ট্রোল রুমে নাক না ডেকে ঝিমাচ্ছিলেন লেফটেন্যান্ট এডওয়ার্ড জি জেলাস্কি। কার্লোস ধমকস্বরে ডেকে উঠালেন৷ সমুদ্রপথের আবহাওয়া জানতে চাইলে তিনি বলেন এই জাহাজের জিপিএস সিস্টেম কিংবা নেভিগেশন সিস্টেম অফ করে রাখা আছে। কারণ জাহাজে তৈল স্বল্পতায় বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ করা আছে, শুধু মাত্র প্রোপেলারের(জাহাজের পাখা) ৪টি ইঞ্জিন চালু রাখার সিদ্ধান্ত নেয় কর্তৃপক্ষ। এখনকার সময় ঘটলে এটির সমালোচনা করা যেত দায়িত্বহীনতা কিংবা অনিরাপত্তা কেন্দ্রিক বিষয়বস্তু ভেবে, তবে ঘটনাকালে যদি চলে যাই অর্থাৎ দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়কালে। তাহলে এটি গাছের পাতা সবুজ হওয়ার মতন নিত্যদিনে স্বাভাবিক ঘটনা।

ক্যাপ্টেন কার্লোস এ নিয়ে আপত্তি দেখান। সঞ্চিত জ্বালানি দিয়ে তৎক্ষনাৎ বৈদ্যুতিক সংযোগ চালু করে নেভিগেশনে সিস্টেম পর্যবেক্ষণ দায়িত্ব অর্পন করা হয়৷ জেলাস্কি সাহেব আদেশ গৃহীত করেন এবং বললেন "ইয়েস স্যার,রজার দ্যাট"। কিছুক্ষণ পর আশ্চর্যজনক ভাবে সকলে লক্ষ্য করল জাহাজ প্রায় ৬ ঘন্টা ধরে পথবিচ্যুত হয়ে এগোচ্ছে ভ্যালভার্ড বরাবর৷ জাহাজের অবশিষ্ট ফুয়েল দিয়ে ১৫ নটিকেল মাইল অগ্রসর হওয়া সম্ভব। ক্যাপ্টেন কার্লোসের সিদ্ধান্তে ফারোই দ্বীপকুলের দিকে নিয়ে যাওয়ার আদেশ আসে যা এখান থেকে ১৩.৪ নটিকেল মাইল দূরত্বে অবস্থিত। জাহাজের জরুরি অবস্থা ব্যতীত বৈদ্যুতিক সংযোগ বন্ধ রাখা হয় তখন। সকালবেলা ফরাসি এলাইস বাহিনীর সহযোগিতায় রিফুয়েলিং করানো সম্ভব, আপাদত যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন৷ প্রায় ৩৭ কিলোমিটার নিকটস্থ একটি ফরাসি যুদ্ধজাহাজকে জানিয়ে জাহাজ থেকে সর্বশেষ বার্তা পাঠান ক্যাপ্টেন; বললেন "গুড নাইট, রজার দ্যাট!" এতক্ষণ পর্যন্ত সবকিছু স্বাভাবিক লাগলেও এটি ছিল Z-15 হতে নির্গত সর্বশেষ বার্তা!


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Tragedy