আমার লেখালিখির অনুপ্রেরণা
আমার লেখালিখির অনুপ্রেরণা


ছোট বেলা থেকেই গল্প পড়ার প্রতি খুব নেশা ছিল। যদিও মা কে দেখেই শেখা। আমাদের বাড়িতে অনেক পড়ে টিভি এসেছিল যেকারণেই গল্পের বই পড়ার প্রতি আগ্রহ টা হয়েছিল। আমি সাধারণত সব ধরণেরই গল্পের পড়তাম বিশেষ করে গোয়েন্দা গল্প আর মা যেই উপন্যাস গুলো লাইব্রেরি থেকে আনতো সেই বইগুলো। কেন জানি না গল্পের বই পড়ার প্রতি একটা ভালোবাসা জন্মে গেছে। একটা সময় দেখা গেছে আমি আর মা দুজনেই প্রায় আমাদের পাড়ার লাইব্রেরির প্রায় সব বই পড়ে ফেলেছিলাম। কিন্তু লেখালিখি....? জানি না কবে এই স্বপ্নের উদয় হয়েছিল। তবে ছোট্ট বেলায় দুই তিন লাইনের ছড়া কাটতাম যার কোন মাথা মুন্ডু ছিল না। কেউ কে অনুসরণ করে লেখালিখির অনুপ্রেরণা নিয়েছি ঠিক তা নয়। আমার গল্প পড়তে খুব ভালো লাগতো। একটা সময় পড়াশোনার চাপে গল্পের বই পড়া প্রায় বন্ধ হয়ে যায় তখন অবসর সময়ে দেখতাম একা একাই দু চার লাইনের কবিতা লিখে ফেলছি। তার পর আমি যখন দ্বাদশ শ্রেণীতে পড়ি তখন স্কুল ম্যাগাজিনের আয়োজন করা হয়। সেখানে আমি স্কুল শিক্ষিকার সাথে ম্যাগাজিনের সম্পাদনার কাজ করি আর নিজেরও কয়েকটি লেখা দিয়েছিলাম অবিশ্বাস্য ভাবে সেগুলো প্রকাশিতও হয় যা কখনোই ভাবিনি। আমি সময়ের মূল্য নিয়ে একটি প্রতিবেদন একটি কবিতা ও রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের জীবনী মূলক রচনা লিখেছিলাম যা সত্যিই আমাকে অনেক প্রশংসা এনে দিয়েছিল। আমি কবিতা যদিও কম পড়তাম কিন্তু বিভিন্ন প্রখ্যাত লেখক লেখিকার পাশাপাশি নাম না জানা নতুন লেখক লেখিকার গল্পও পড়তাম আমাকে তাদের লেখা গুলোই অনুপ্রেরণা দিতো। বিশেষ করে নতুন লেখক লেখিকার লেখা কারণ প্রখ্যাত মানুষদের সমকক্ষ হতে পারবোনা কখনই আর চাইও না তারা শ্রেষ্ঠ ব্যক্তিত্ব কিন্তু নতুন দের লেখা গল্প গুলি আমায় অনুপ্রেরণা দিত আমার নতুন করে কিছু লেখা। তারপর ম্যাগাজিনের পর বিভিন্ন পত্র পত্রিকা গল্প সংকলন অনলাইন ম্যাগাজিনে লেখা দিতে থাকি আর তা প্রকাশিতও হতে থাকে সেই থেকেই উৎসাহিত হয়ে লেখা লিখির এক ধাপ শুরু হয়। এরপর প্রকাশিত হয় আমার নতুন গল্পের বই এক অনাকাঙ্ক্ষিত প্রেমের গল্প।
লেখা লিখির অনুপ্রেরণা বলতে বাংলা সাহিত্য জগতের অনেকেই রয়েছেন যাদের গল্প আমায় নতুন করে ভাবতে নতুন করে কল্পনা করতে শিখিয়েছে, বাস্তবতাকে কিভাবে কলমের ছোয়ায় জীবন্ত করা যায় তার চাবিকাঠিও সেই সাহিত্য জগতের তারকাদের কাছ থেকে শিখেছি। তাদের মধ্যে অন্যতম সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, শক্তিপদ রাজগুরু, রাখাল সিং, প্রফুল্ল রায়, বনফুল, মানিক বন্দোপাধ্যায়। আর যারা সাহিত্য জগতে উজ্জ্বল জ্যোতিষ্ক ছিলেন আছেন থাকবেন তাদের লেখা সাহিত্যসম্ভার উপন্যাস কাব্যগ্রন্থ শুধু আমার কেন প্রত্যেক লেখক লেখিকার জীবনেরই অনুপ্রেরণা।