আলোকিত
আলোকিত


প্রিয় ডায়েরি,
আজ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশানুযায়ী রাত্রি নটার সময়,নয় মিনিটের জন্য ঘরের লাইট বন্ধ করে, ঘরের সামনে বা ব্যালকনিতে প্রদীপ, টর্চ, মোবাইল মোমবাতি এর মধ্যে যে কোনো একটি দিয়ে আলোকিত করতে বলা হয়েছে। এই নিয়ে সোশাল মিডিয়ায় বিস্তর জলঘোলা করা হচ্ছে গত দু, তিন দিন ধরেই। এখন দেশের এই বিপদের দিনে কোনোরকম দলাদলি না করে, যদি দেশকে বিপদের হাত থেকে বাঁচানো যায় , এটা সকলের জন্যই মঙ্গলকর। কেউ কেউ মন্তব্য করেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নাকি তার কার্যকলাপ জোকারের মতো করছেন। থালা বাজিয়ে, ঘন্টা বাজিয়ে বা আলো জ্বালিয়ে কখনও করোনা দূর করা যায় না। দেশের প্রধানমন্ত্রীর নাকি এধরণের কার্যকলাপ শোভা পায় না। কিন্তু কিছু ভুল ধারণার পরিপ্রেক্ষিতে কোনো ঘটনাকেই ভুল ভাবে দেখা উচিত না, অন্ততঃ দেশের স্বার্থে। থালা বাজানো নিয়ে যে বিভ্রান্তি র সৃষ্টি হয়েছিল, তার উত্তরে বলতে চাই, ওটা শুধুমাত্র থালা বাজানো ছিলো না। দেশের এই বিপদের দিনে করোনা আক্রান্তদের পাশে দাঁড়ানো প্রত্যেক স্বাস্থ্যকর্মীদের প্রতি আমাদের আপামর দেশবাসীর কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন ছিলো ওটা।আর আজ প্রদীপ জ্বালানো নিয়েও বিস্তর বিরূপ মন্তব্য করা হচ্ছে। কিছু ভালো মন্তব্য ও চোখে পড়ছে অবশ্য। কিন্তু এইসব কোনো কিছুরই পক্ষপাতিত্ব না করে , শুধু মাত্র দেশের তথা নিজের পরিবারের কথা ভেবে যদি ঘরে একটা প্রদীপ বা মোমবাতি জ্বালিয়ে , ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করা হয়, তাহলে খুব একটা ক্ষতি কারুর হবে বলে মনে হয় না। এবার আসি, আলো জ্বালিয়ে করোনা তাড়ানো যায় কি না সেই প্রসঙ্গে। আমরা যখন নির্ভয়ার হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মোমবাতি মিছিল করেছিলাম, তখনই কি নির্ভয়ার হত্যাকারীদের শাস্তি দিতে পেরেছিলাম? কিন্তু তা সত্ত্বেও আমরা নির্ভয়ার আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে, তার আত্মার শান্তি কামনা করে জ্বালিয়েছিলাম আলো। আজকেও করোনা নামক এই ভয়াবহ মহামারী থেকে দেশকে মুক্ত করবার আশায় , দেশের শান্তির জন্য আমরা কি এইটুকু করতে পারিনা সবাই। পজিটিভ এনার্জি সবসময়ই মঙ্গলকর। চারপাশের নেগেটিভিটি ধ্বংস করে পজিটিভ এনার্জি। পবিত্র আলোয় সেই পজিটিভ এনার্জি বিদ্যমান। দেশকে বাঁচাতে যেটির বর্তমান পরিস্থিতিতে খুব দরকার।।অশুভ শক্তির বিনাশ ঘটিয়ে শুভ শক্তি আবার ফিরে আসুক, আমাদের চারপাশে।
সবাই সুস্থ থাকুন, ভালো থাকুন।