আজও উজ্জ্বল
আজও উজ্জ্বল


দুহাজার সাত সাল। আমার তখন গ্যাংটকে পোস্টিং ছিলো। আমাদের পাঁচ বছরের বিবাহিত জীবনের এক ভর প্রাপ্তি ঘাটতে চলছে। আমাদের সন্তান আসছে। ডাক্তার প্রসবের দিন জানিয়েছিল, যে রকম মোটামুটি দিন দিয়ে দেয় আরকি। আমি অসিফ এবং অন্য কিছু কারণে আসতে পারছিলাম না। উনত্রিশ জুলাই রাত থেকে আমার স্ত্রী মাম্পীর প্রসব বেদনা শুরু হয়। রাতে বহুবার আমাকে ফোন করে ও। কারণ ব্যথায় ঘুমাতে পারেনি। আমি ত্রিশ জুলাই খুব সকালে বেরিয়ে পড়ি জলপাইগুড়ির উদ্দেশ্যে। রাস্তায়ই খবর পেয়ে যাই আমাদের মেয়ে হয়েছে। আসতে আসতেই আত্মীয়, বন্ধু অনেককে ফোনে খুশির খবর দিয়ে দেই। পাঁচ ছয় ঘন্টা বাস ভ্রমণ করে এসেছি, তাই একটু হাত মুখ ধুয়ে নার্সিং হোমে যাই। চোখে মুখে অন্য এক আনন্দ অনুভব।
প্রথম যখন দেখলাম আমাদের বর্ষাকে, নাম নার্স এবং আযারা দিয়েছিল,খুব বৃষ্টি ছিল তাই।
মাম্পীর বেডের পাশে এক দোলনায় শুয়েছিল বর্ষা রাণী। পাখার হাওয়ায় দোলনার কাপড় বর্ষার মুখে উড়ে উড়ে লাগছিল,আর ও দুহাত তাড়িয়ে তাড়িয়ে কাপড় সরিয়ে নিচ্ছিল।
এই সময়ের অন্তর অনুরণন আজ উজ্জ্বল হয়ে আছে মনে। যা আজীবন স্মরণীয় হয়ে থাকবে।