Sucharita Das

Inspirational

1.9  

Sucharita Das

Inspirational

আগের আমি

আগের আমি

8 mins
450


অনেকদিন পর মা বাবার কাছে থাকবার একটা সুযোগ পেল সুপ্তি। সমীরের অফিসিয়াল ট্যুরে ওকে বেশ কিছুদিন থাইল্যান্ডে থাকতে হবে।মেয়ে বাইরে পড়াশোনা করে।অতএব ঘরে ও একা।এই সুযোগে মায়ের ওখানে কদিন থাকা যাবে। মনে মনে বেশ খুশি হলো ও। কতদিন মায়ের হাতের রান্না খায়নি। মায়ের হাতের সব রান্নাই তো অসাধারণ। প্রত্যেকটা রান্নাতেই ভালোবাসার স্বাদ। মমতার স্বাদ।সে রান্না তো মুখে লেগে থাকবেই। খুব আনন্দ হচ্ছিল ওর। যদিও মা, বাবা মাঝে মাঝে আসে ওর কাছে। তাও নিজের ছোট্ট বেলার স্মৃতি বিজড়িত জায়গায়, নিজের বেড়ে ওঠার জায়গায় কদিন মা, বাবার সঙ্গে সময় কাটানোর আনন্দটাই আলাদা।


সমীরকে রাত্রি বেলা ও বললো নিজের মনের ইচ্ছার কথা।সমীর ও সাগ্ৰহে রাজী হয়ে বললো,যাও ঘুরে এসো , ভালো লাগবে। পরদিন সকালে সমীরের ফ্লাইট ছিল।ও বেরিয়ে যেতে সুপ্তি ও নিজের প্রয়োজনীয় কিছু জিনিসপত্র গুছিয়ে মায়ের ওখানে যাবার জন্য বেরিয়ে পড়ল। এমনিতেই মফঃস্বলের পরিবেশ সুপ্তি খুব পছন্দ করে। শহরের কোলাহল থেকে দূরে এখানে এলে একটু নিঃশ্বাস নেওয়া যায় প্রাণভরে। আর সুপ্তির বাবার বাড়ির ওখানে এখনও সেভাবে ফ্ল্যাট গড়ে ওঠেনি। তাই অনেকটাই নিশ্চিন্ত বোধ হয় এখানে এলে। মায়ের এখানে পৌঁছাতে ওর দুপুর হয়ে গেল।ও আসবে বলে মা বাবা ও খায়নি। তিনজনে একসঙ্গে খেতে বসলো। ফুলকপি দিয়ে মাছের পাতলা ঝোল, গরম গরম মাছভাজা, ভাত আর সঙ্গে গন্ধরাজ লেবু এক টুকরো। কি অমৃতের মত যে লাগছিল খেতে। মা যখন বলছিলো,আর একটু ভাত আর মাছের ঝোল নিতে। সুপ্তি র মনে হচ্ছিল কতদিন পর কেউ ওকে এভাবে বললো। সত্যি ই তো কতদিন পর ও এভাবে একা এতদিন মা, বাবার কাছে থাকবার সুযোগ পেল।এই কদিন ও খুব আনন্দে থাকবে মা, বাবার সঙ্গে। ঠিক বিয়ের আগে যেরকম থাকতো।


সকালে ঘুম থেকে ইচ্ছা করে একটু দেরী তে উঠলো সুপ্তি। মা দু বার এসে ডেকে গেল ।আর ঠিক আগের মতই বলে গেলো,"কতক্ষণ খালি পেটে আছিস,পিত্তি পড়বে তো , এতক্ষণ না খেয়ে থাকলে।" বিয়ের আগে মা যখন এই কথাটা বলতো,তখন সুপ্তি বলতো,"মা একটু চুপ করো না। আমাকে একটু ঘুমোতে দাও।" কিন্তু আজ মায়ের এই স্নেহের শাসন ওর কানে ভীষণ মধুর শোনালো।ওর মনে হলো মায়ের এই স্নেহের শাসন আজ ও বড়ো বেশি মিস করে।ঘুম থেকে উঠতেই বাবা বললো, "তাড়াতাড়ি ব্রাশ করে আয়, দেখ্ তোর পছন্দের কচুরি, তরকারি আর গরম জিলিপি নিয়ে এসেছি। ছোটবেলায় তুই কত ভালোবাসতিস এই কচুরি , তরকারি আর জিলিপি খেতে।"

সুপ্তি প্রথমটা একটু ইতস্তত করলেও পরে ভাবলো এই কদিন ও কোনো নিয়ম মানবে না, সবকিছু খাবে।আর এখন যদি ও বাবাকে বলে যে ও সকালে এত অয়েলি খাবার খাবে না। বাবা মনে কতটা কষ্ট পাবে, তা আর বলবার না। আর তাছাড়া বিয়ের আগে তো ও এইসব কিছুই খেতো নির্ভাবনায়। কই তখন তো এইসব মোটা হয়ে যাবো বা এতো ফ্যাটি জিনিস খাওয়া উচিত নয়,এই জাতীয় চিন্তা ভাবনা মাথায় আসেনি।


আসলে সমীরদের বাড়িতে সবকিছুই বড়ো বেশি নিয়মের মধ্যে আবদ্ধ। তা সে সকালের ব্রেকফাস্ট থেকে শুরু করে রাত্রিবেলা ডিনার অবধি।প্রথম প্রথম এদের এখানে মানাতে একটু অসুবিধা হয়েছিল বৈকি সুপ্তির। কিন্তু ওই যে বলে না মানুষ অভ্যাসের দাস। ধীরে ধীরে সুপ্তি কবে যে এখানের নিয়মকানুনে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছিল, তা ও নিজেও জানেনা। এখন তো এই নিয়মের বাইরে চলতেই ওর ইতস্তত বোধ হয়। এই যেমন এখন কচুরি তরকারি র ক্ষেত্রে হয়েছিল আর কি। কিন্তু এই কদিন সুপ্তি সব খাবে। কোনো নিয়ম মানবে না সে। দুপুরে ভাত খেতে খেতে বাবাকে সেই ছোটবেলার মতো আবদার করে বললো ও,"বাবা আজ সন্ধ্যে বেলায় গরম গরম আলুর চপ নিয়ে আসবে তো, মুড়ি দিয়ে খাব।" বাবা সাগ্ৰহে মাথা নেড়ে বললো,"তুই খাবি?ঠিক আছে সন্ধ্যে বেলায় যখন গরম গরম ভাজবে, তখন নিয়ে আসব।" আসলে বাবা মা'র কাছে তাদের সন্তানরা সবসময় ছোটই থাকে। বিয়ের পর ও সমীরদের বাড়িতে কখনো এইসব শোনেনি যে ,কেউ আবদার করে কিছু খাবে বলেছে। একটা রুটিন মেনে চলতে হবে সবসময়।সুপ্তির কতো ইচ্ছা করতো বিয়ের পর ফুচকা,আলুকাবলি এইসব খেতে। কিন্তু এখানে এইসব খাবার কথা বলা ই বারণ। একবার সমীরকে বলেছিলো ও । সঙ্গে সঙ্গে সমীরের উক্তি,"ওইসব জার্মস্ থিকথিক করছে খাবার , আমি তোমাকে কিছুতেই খেতে দেব না।" আরে বাবা! অত নিয়ম মেনে চলা যায় নাকি?


 আরও এরকম অজস্র ঘটনা ঘটেছে ওদের বিয়ের পর।অষ্টমঙ্গলায় ওরা যখন এসেছিল, বাবা কতো শখ করে ওদের ওখানের মিষ্টির দোকান থেকে বড়ো বড়ো রাজভোগ নিয়ে এসে বলেছিল সুপ্তি কে,"তোর পছন্দের মিষ্টি এনেছি রে মা।জামাই ও খেয়ে দেখুক আমাদের এখানের মিষ্টি।"সেই মিষ্টি সমীর একটাও মুখে তোলে নি। সুপ্তি সে কথা ওর বাবা কে জানাতে পারেনি। বাবা কত আশা করে নিয়ে এসেছিল ওই মিষ্টি জামাই খাবে বলে।এখন যদি শোনে একথা , কতটা যে কষ্ট পাবে তা সুপ্তি জানে।

 আজ ও সুপ্তি র মনে আছে সেটা। সমীর অতো যেত ও না সুপ্তি র বাড়িতে।আর সুপ্তি নিজেও জোর করত না কখনও সমীরকে যাওয়া নিয়ে। ওর ইচ্ছা হলেই ও আসতো মা, বাবার কাছে। থাকতে পারতো না হয়তো সবসময়, কিন্তু আসতো। মা, বাবার প্রয়োজনে, অপ্রয়োজনে ও সবসময় থাকতো।ওরাও আসতো সুপ্তির কাছে। সমীরের অফিসিয়াল ট্যুরে ও তো প্রায়ই বাইরে থাকে। সুপ্তি একাই থাকে বেশিরভাগ সময়ে বাড়িতে। শ্বশুর, শাশুড়ি আলাদা বাড়িতে থাকেন শুরু থেকেই। সুপ্তি ওখানেও যায় মাঝে মাঝে।ওখানেও থেকে আসে কখনো কখনো।



যাইহোক এবার সুপ্তির বাবা, মায়ের কাছে থাকার একটা আলাদা ই অনুভূতি হচ্ছে।প্রথমত বিয়ের এতদিন পর এতদিনের জন্য মা , বাবার কাছে এই প্রথম থাকবার সুযোগ পেল ও। দ্বিতীয়ত ও সেই বিয়ের আগের সুপ্তি হয়ে, এবার ও মা, বাবার কাছে আগের মতই আবদার করবে।এক কথায় প্রত্যেকটা মুহুর্ত কে ও উপভোগ করতে চায় এই কদিন।কে জানে আবার কবে এরকম সুযোগ আসবে ওর জীবনে। সত্যি বিয়ের পর ওর কত ইচ্ছা করতো মা, বাবার কাছে এসে কদিন থাকবে। কিন্তু সমীরের বিভিন্ন রকমের বাহানায় ও আসতেই পারতো না।এ ক্ষেত্রে হয়ত সমীরকে পুরোটা দোষী করা যায় না। কিছু টা দোষ তো সুপ্তির ও ছিল। নতুন নতুন বিয়ের পর বা তার ও পর সমীর যখন আবেগঘন গলায় সুপ্তিকে কোনো এক দুর্বল মুহূর্তে বলতো,"আমি তোমাকে ছেড়ে থাকতে পারি না।"সুপ্তির সেই মুহূর্তে নিজেকে খুব ভাগ্যবতী মনে হত। স্বামী সোহাগে গরবিনী এক নারী মনে করতো ও নিজেকে তখন।আর তাই ও একপ্রকার প্রশ্রয় দিতো বলা যায় , সমীরের এহেন আচরণের। আর তারই ফলস্বরূপ ও এক রাত মা, বাবার কাছে থাকত না। তারপর তো তিন বছর পর মিঠি হলো।তখন তো ও আরো ব্যস্ত। স্বামী, বাচ্চা, সংসার নিয়ে নাজেহাল অবস্থা ওর। কোথায় যাবে এসব ছেড়ে।এরপর মিঠির একটু একটু করে বড়ো হয়ে ওঠা। তারপর তার স্কুল, নাচ,গান, আঁকা, সাঁতার শেখা, ক্যারাটে ক্লাস সব মিলিয়ে এক মুহুর্ত ও ফুরসৎ নেই সুপ্তির।12th এর পর মিঠি বাইরে চলে গেল।এই দুমাস হলো সুপ্তি এখন একা।মিঠির বাইরে যাবার পর সমীরের এই প্রথম ট্যুর।আর তাই সুপ্তি র এই মা, বাবার কাছে থাকবার পরিকল্পনা।



সত্যি বিয়ের পর মেয়েরা কতটা দূরে চলে যায় মা, বাবার থেকে, সেটা সুপ্তি কিছুটা হলেও বুঝতে পারছে। ইচ্ছা থাকলেও অনেক কিছু করতে পারা যায় না তখন। কেমন যেন একটা দায়বদ্ধতা, অপরাধবোধ কাজ করে নিজের মনে।কতসময় সুপ্তির মা, বাবার জন্য হয়তো খুব মন খারাপ করেছে, খুব দেখতে ইচ্ছা করছে ওদের। কিন্তু সেটা মুখে প্রকাশ করতে পারেনি সবসময়।ওর মনে আছে, একবার বিয়ের পর পরই ও সমীরকে বলেছিলো যে, ওর খুব মন খারাপ করে বাবা, মায়ের জন্য। উত্তরে সমীর বলেছিল, "অনেক দিন তো মা, বাবার কাছে ছোট্ট হয়ে থেকেছো। এবার বিয়ে হয়ে গেছে তোমার, এবার মনের দিক থেকে বড়ো হও অন্তত"। সেই শেষ, আর কখনও সুপ্তি বলেনি কাউকে যে ওর মনখারাপ করছে। আসলে সুপ্তির মনে কোথাও যেন একটা ছেলেমানুষী ভাব থেকেই গেছে এখনও পর্যন্ত। কিন্তু ওর সেই ছেলেমানুষী ব্যাপারটা সমীরের হয়ত ঠিক পছন্দ না। অবশ্য শুধু সমীর কেন, ওদের বাড়ির কারুর ই পছন্দ না।ওর মনে আছে, বিয়ের পর এক দুবার ও নিজের এই ছেলেমানুষী স্বভাবের জন্য সবার কাছে কথাও শুনেছে। কেউ বলেছে ওসব ন্যাকামি মা, বাবার কাছে ই করো গিয়ে। এরপর থেকে সেই হাসিখুশি, চাপল্য স্বভাবের সুপ্তি কেমন যেন এদের বাড়ির মতই যান্ত্রিক হয়ে গিয়েছিল ধীরে ধীরে।সব চপলতা কোথায় যেন উধাও হয়ে গিয়েছিল।



সেদিন বাবাকে বললো সুপ্তি ,"চলো না বাবা , কোথাও তিনজনে ঘুরে আসি একটু। রান্না করে নিয়ে যাব, ওখানেই খাবো তিনজনে। কতদিন যাওয়া হয় না আমাদের"। তিনজনে মিলে পরদিন ঘর থেকে কিছু রান্না করে নিয়ে গিয়ে , প্রকৃতির কোলে সারাদিন সময় কাটালো।ও যখন ছোট ছিল, বাবার অফিসের বন্ধুদের সঙ্গে ওরা শীতকালে প্রায় প্রত্যেক রবিবারেই পিকনিক করতে যেত। কাছাকাছি ই যেত ওরা। কিন্তু সারাদিন কি যে ভালো লাগতো, সময় কোনখান দিয়ে পার হয়ে যেত, বোঝা যেত না। আবার ওইখানে বসেই পরের রবিবারে সবাই কোথায় যাবে , তার পরিকল্পনা শুরু হয়ে যেত। কি ভালো ছিল সে সব দিনগুলো। বাবা , মা, সুপ্তি এই তিনজনের জীবনে হাসি,আনন্দ, কিছুরই অভাব ছিল না। এছাড়াও বাড়িতে ঠাকুমা, দাদু,কাকা, পিসি সবাই ছিলো। সবাই যখন একসঙ্গে হতো ওরা, আরও আনন্দ হতো।ওর ছোটবেলার কত জিনিস মা, বাবা এখনও যত্ন করে রেখে দিয়েছে। ছোটবেলায় সুপ্তি এখান, ওখান থেকে ভালো কিছু ফটো দেখলেই সেটাকে কেটে, একটা খাতায় আটকে রেখে দিতো। ওর সেই খাতাটা এখনও বাবা কি যত্ন করে রেখে দিয়েছে নিজের কাছে। ওরা যখন সমুদ্রের ধারে কোথাও বেড়াতে যেত, সুপ্তির খুব শখ ছিল সুন্দর , সুন্দর ঝিনুক কুড়িয়ে নিজের কাছে জমানো।সেইসব ঝিনুক ও বাড়িতে এসে সব একটা বক্সে ভরে রেখে দিতো।আরও কত কি আছে ওর ছোট বেলার। মা, বাবা হয়তো ওগুলো দেখেই মেয়ের সঙ্গে কাটানো সেইসব দিনের নিজেদের স্মৃতি রোমন্থন করে।



সুপ্তি জানে আগের জীবন হয়ত সে আর তার বাবা, মাকে দিতে পারবে না। ও এটাও জানে যে বাবা, মা হয়তো এখনও এই বৃদ্ধ বয়সে সেই পুরোনো স্মৃতি রোমন্থন করেই দিন কাটায়।সেইসব পুরানো স্মৃতি হয়তো বা ওদের নতুন করে বাঁচার রসদ জোগায়।মা তো কখনো কখনো ফোনে ওকে বলে,"মানা তোর মনে আছে , তুই যখন ছোট ছিলিস আমরা কতো ঘুরতে যেতাম।"

ঘুরতে যেতে হয়তো ওদের এখনও ইচ্ছা করে। কিন্তু সুপ্তির ইচ্ছা থাকলেও উপায় নেই।কারণ সমীর বাবা, মা দের সঙ্গে বেড়াতে যাবে না। সুপ্তি এক , দুবার বলেছিল সমীরকে যে ,ওর বাবা,মা কেও নিয়ে যেতে চায় ও। উত্তরে সমীরের বক্তব্য, বেড়াতে গিয়ে মানুষ রিল্যাক্স হতে চায়। ব্যস্ বুদ্ধিমতী সুপ্তি র এটা বুঝতে একটুও অসুবিধে হয়নি যে, সমীর ঠিক কি বলতে চাইছে।না আর ও কখনো বলেনি। ভেতরে ভেতরে কষ্ট পেয়েছে, অসম্ভব কষ্ট পেয়েছে। কিন্তু মুখে কিছু বলেনি।যে বাবা, মা ছোটবেলায় শুধু ও আনন্দ করবে বলে, ঘুরতে নিয়ে যেত।সেই বাবা, মা কে ও বিয়ের পর নিজের সঙ্গে ঘুরতে নিয়ে যেতে পারছে না।কারণ ওর স্বামী চায় না।কি অসহায় অবস্থায় যে ও থাকে সেইসময় ,তা শুধু ওই জানে। বেড়াতে গিয়ে নতুন ভালো কিছু দেখলেই মনে হয়, ইসস যদি মা, বাবা ও সঙ্গে থাকতো ,ওরাও দেখত। আসলে বিয়ের পর কিছু প্রতিবন্ধকতা হয়তো প্রত্যেক মেয়েরই জীবনে থাকে। যেটা কাউকে বলার না।



কিন্তু না। এবার থেকে সুপ্তি চেষ্টা করবে এইভাবেই মা, বাবাকে আনন্দ দিতে। ওদের জীবনের এই শেষের দিনগুলোতে ও ভালো রাখতে চেষ্টা করবে ওদের। যে সুন্দর মুহূর্ত ওকে ওর বাবা, মা ছোটবেলায় উপহার দিয়েছে প্রত্যেক মুহুর্তে। সেই সব মুহূর্তে র কিছু টা হলেও ও ওর বাবা মা কে উপহার দেবে। ও চেষ্টা করবে বাবা মাকে তাদের জীবনের এই শেষের দিকে এসে ওর আগের আমি কে ফিরিয়ে দিতে। হয়তো পুরোপুরি ভাবে সেটা ও পারবে না।তাও যতটা পারবে ও চেষ্টা করবে, সুন্দর স্মৃতি র আড়ালে চলে যাওয়া ওর আগের আমি টাকে উপহার স্বরূপ ওর বাবা মা কে দিতে।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Inspirational