১৩ই এপ্রিল ২০২০ লকডাউন ২৮
১৩ই এপ্রিল ২০২০ লকডাউন ২৮
আজকে ২৮ দিন হলো বাড়িতে আছি। অফিস থেকে সেই ১৭ তারিখ থেকে গৃহবন্দী, প্রথম প্রথম বাসন মাজা, কাপড় কাচার ছবি পোস্ট করতাম, বেশ লাগতো, নতুন জীবন নতুন লড়াই, ভেবে বেশ আমোদও ছিল, রোজ নতুন জামা পরে শেভ করে ওয়ার্ক ফ্রম হোম করতাম...
লাস্ট কয়েকদিন আয়না দেখিনি
এখন জানলা দিয়ে বাইরের স্ট্রীট লাইটটা কে দেখে নিজের কথা মনে হচ্ছে,
ও আর আমি, যেন একই রকম,অনেকটা কাজ করছি,কিন্তু এক যায়গায় জীবনটা আটকে...
দাড়ি টা কাটা হয় নি অনেকদিন, আজ দেখলাম, তুলসী গাছ টা কেমন শুকিয়ে যাচ্ছে, জল দিতে ভুলে গেছি বোধ হয়।উল্টোডাঙার পাশের বড় হোর্ডিংটা রোজ দেখতাম, বিজ্ঞাপন টা, এখন মনে হচ্ছে শহরের চেনা গলিগুলো যেন রোজ একটু একটু করে ভুলে যাচ্ছি। তবে বাবা কে ওষুধ খাওয়ার কথাটা মনে করাতে ভুলছি না কিন্তু। আগে বাবা নিজে নিজেই খেত, অর্ধেক দিন তাকে পড়ে থাকতো র্যাপার, মনে রাখতে পারত না, এখন এটা আমার দায়ি সকালে এসে মা জানালো, দোকানি চালের দাম ৪৮ টাকা কেজি চাইছে, সবকিছুরই নাকি দাম বাড়ছে।দামোদরে মাছ ফিরে এসেছে, শিয়ালেরা ফিরছে শুনলাম।
প্রকৃতি যদি নিজের ভ্যালু দিতে আমাদের গৃহবন্দী করতে পারে, তাহলে চালই বা নিজের ভ্যালু বাড়াবে না কেন
বাইরে বৃষ্টি এল কি?কাঁচটা যেন ঝাপসা লাগছে। আজকাল নিজের সাথে সময় কাটাতে পারি। নিজেরই যে এত ভ্যালু, তাই জানতাম কি? আজ ডায়েরি ছেড়ে উঠি, সিঙ্কে রাখা বাসনগুলো ধুতে হবে...