তবুও ক্লান্তিহীন
তবুও ক্লান্তিহীন
তবুও ক্লান্তিহীন মনেতে আশা নবীন।
কচি কলাপাতা স্বপ্ন যদিও খুব আলতো
হাওয়ার আঘাতে জরাজীর্ণ, মনোভাব সঙ্কীর্ণ।
শিশু স্বপ্নগুলো বাড়তে পারেনা যে!
তবুও নিরন্ত আশা যে অনন্ত।
স্বপ্ন সুখের আবেশে বাস্তবতা ঘোচে নিমেষে।
হৃদয়ে অশান্ত ঢেউ - শুনতে কি পাও গো কেউ?
আমি যে পরাজিত, বড় ক্লান্ত!
বিফল প্রেম? নষ্ট আর অস্পষ্ট ভবিষ্যৎ?
ওসব তো পুরাতন। নতুন কিছু তো নেই।
আসলে ছিল যে সেই কবি মনের ভাবনার যত দংশন -
নীল নয়নার মনোমোহিনী বসন, কতই না অনশন, শাসন আর লাঞ্ছন।
ওসব তো স্বাভাবিক আজ। সমস্ত দিন জুরে শুধু কাজ আর কাজ।
ঘুচে গেছে স্বাভাবিক শরম আর লাজ। মনোমুগ্ধকরী সাজ?
ভালো লাগে না আজ। শুধু মনে হয় -
বিগত যদি হত আজ, তবে মাথায় স্বর্ণ তাজ।
ভূমিতলে লুটানো ধূলিময় কিছু স্বপ্ন চেয়েছিল
একমুঠো বাঁচার আশা। কিন্তু অবশেষে নিরাশা আর হতাশা।
লোকে বলে ওসব ফালতু কথা। তবুও তো কথা -
যদিও বাস্তবতার মোড়কে অন্ধকার কারাগারে দণ্ডিত আজ।
জীবন মানে কি শুধু টাকা?
উচ্চ পদ আর সৌখিনতার মোড়কে ঢাকা।
সবই তো থোড় বড়ি খাড়া, বেঁচে থেকেও যেন মরা।
সময়টা বেচে দেওয়া সামান্য পয়সার তাগিদে।
ফেরাতে যাবে কি পারা তরুণ রক্তের ধারা আর
ধমনীতে বহমান জীবন্ত স্বপ্নগুলো?
ওগুলো তো চেয়েছিল একটু স্ফুলিঙ্গ।
জ্বালাতে পারলে সমস্ত বিশ্ব হত আলোকিত।
অখ্যাত এক পথিক আমি, কেউ চেনেনা জানি।
একা একা তাই গান গাই, সুরের নেইকো বালাই।
শুধু শব্দের অর্থ গহীন ঘোচাতে পারে রঙ্গিন।
আমি যে ক্লান্তিহীন, তবুও ক্লান্তিহীন।