সৃষ্টিনৃত্য
সৃষ্টিনৃত্য
উদ্দাম আদিমতার ঝড়ের সময়টুকু নিরবধি বয়ে যায়
কাম নদী শিহরণ ছড়িয়ে লোমরন্ধ্রে বিকশিত
বাৎসায়ণ প্রকৃতি-পুরুষ মিলন উন্মুখ এক পাখি মাত্র
আকষ্মিক বৈশাখির মত অজগর ধেয়ে চলে
দূর্বার তরংগ অভুক্তের মত খায় তারা,অপরাপর।
প্রতিটি কামড়ে মিনারের ন্যায় দাড়ায় মাংস যুগল ধনুকপৃষ্ঠে
এখন শুধুই ওষ্টের চিহ্ন ঘর্ষনের উত্তাপ
ক্রমশ ছড়ায় শিরা-উপ শিরায় অজস্র বলয়ে স্ফীত ভগাংকুরে বর্ধিত অন্ধ প্রকোষ্ঠ
প্রকান্ড অজগর গিলবে বলে সে হা হয়ে থাকে
আর দুরন্ত চিতার গতিতে অজগর বলয় ছিড়বে বলে তার বিশাল দেহ নিয়ে থাকে অনন্ত অপেক্ষায়।
সেই অপেক্ষার মুখে ফোটায় ফোটায় জমা হয় স্বর্গীয় মধু
চামড়ার কোন অংশ বাকি নেই অধরের দখল ছাড়া
এই মুখ! সে তো গহবরেরই অপর নাম
প্রচন্ড ফোসফোসে অজগর ধেয়ে আসে অন্ধকার,স্যাতেস্যাতে,উষ্ণতম গহবরের দিক
প্রকোষ্টও প্রস্তুত পরম আকাংখিত অজগর গিলবে বলে
শ্রান্তি,ক্লান্তি,আনন্দের তাড়নার দেয়া নেয়ায়
প্রবল প্রেম স্থানু হয়।
প্রতিহিংসাময় ভালোবাসার খেলা,বড় আদিম,বড় নিপুণ তীব্র থাবায় লাল হয় মাংসপিণ্ড
নিম্নাধর শুসে নেয় অজগরের মুন্ডি,পৃষ্টে ন খাল্পনা।
ঝড় উঠে,বহু পুরাতন,বহু পরিচিত সুরেলা শীৎকারে চলে উৎপাদন প্রক্রিয়া
গাথুনি পড়ায় প্রিয় চৌষট্টি কলার,
এ দেহ মর্মর নয় প্লেটোকে অগ্রাহ্য করে
এ দেহও কথা বলে
ফিনকি দিয়ে ছুটে চলে জীবন অন্ধকারের ভেতরে
আলোর আশায় উর্বশীর আর্টেমিসের চূড়া থেকে সুষমা গড়িয়ে পড়ে
খেলা শেষ হয়,ঝড় থেমে যায়।
শীৎকার পরিনতি পায় চীৎকারে
মাংসল ত্রিকোণ থেকে অজস্র জীবন আর্তনাদ করে বেরিয়ে আসে
আলো আসে,
আমি চেয়ে দেখি প্রকৃতি-পুরুষের যুদ্ধে সৃষ্টি যুগান্তের উপহার।
আড়ালে নান্দনিক সেই খেলার সাক্ষী হই
গভীর ক্রুর তৃপ্তিতে আমার মন ভরে উঠে
সহস্র প্রশ্ন নিয়ে স্থির দাড়িয়ে থাকি।
আমি কি তাদের চিনি?আমি কি তাকে চিনি?

