শরৎকাল--আগমনী
শরৎকাল--আগমনী
সাদা মেঘ গৌরী মায়ের খবর আনল বুঝি,
সকালের শিশির মনে করালো বাইরে চেয়ে দ্যাখ।
খালি জমিতে কাশফুল কখন যেন মাথা চাড়া দিয়ে,
উনুনে আলো জ্বলবে না রান্না পুজোর আগে। বৃষ্টি বিদায়ে
মন একটু ভারী নদীর।সব ঘাটে ঘাটে তখন তর্পণের নীরব যোগাড়।
গুটি গুটি পায়ে ঘরে এলেন বীরেন্দ্রকিশোর ভদ্র,
সাদা বস্ত্রে পুণ্য অতিথি এলেন আমার ঘরে।
হাওয়ার সাথে মিশে গেলেন উনি সবার অগোচরে।
আর ওনার গমগম কন্ঠে আমি তখন বিভোর,
একের পরে এক কাহিনী কি করে উমা হয়ে
উঠলেন মহিসাসুরমরদিনী। সেই গায়ে কাঁটা দিয়ে ওঠা বিবরণ;
আর মনের মধ্যে কোথাও সেই পরিচিত শিহরণ। আমি
নিজেও যেন হয়ে উঠছি অঙ্কুর থেকে পরিণত একটি গাছ।
হঠাৎ খেয়াল ভাঙল। তাকিয়ে দেখি-
আমার নতুন শিউলির গাছতলা ফুল বিছিয়ে।
কি আনন্দ তখন! কুসুম রঙের রোদের আলো।
শারদকন্যা আমি তখন দশভুজা মনের গভীরে।