শ্মশান
শ্মশান
আমার কান্নাভেজা সিঁড়ি
আমার দালান ভর্তি লোক
হাজার হাজার মাথার ভিড়েও
জড়িয়ে কত শোক
সর্বত্র জ্বলছে ধূপ
ঠাকুরের নাম গান
কত ব্যথা বুকে, পাষানের মতো
দাঁড়িয়ে মহাশ্মশান
যেদিকে তাকাই হাহাকার
আর আর্তনাদের ধ্বনি
মৃত্যু মানেই কোনো পরিবার
হারিয়েছে মধ্যমণি
কারুর দাহ হয় চুল্লিতে
কারুর কাঠের চিতা
বয়স দেখে আসেনা মৃত্যু
আসে, যেমন লেখে বিধাতা
কোনো মৃত্যুতে জনকোলাহল
হাজার মানুষের ঢেউ
কিছু দেহকে রেখে যায় লোকে
যাকে দেখতে আসেনা কেউ
মৃত্যুবরণে আসে যে সধবা
কপাল রাঙা সিঁদুরে
কখনো আসে ঝলসানো দেহ
জড়িয়ে কাপড়ে চাদরে
<
br>
কখনো আসে আত্মহত্যার
কাঁচা বয়সের দেহ
কখনো আসে দূর দূরান্তের
অজানা অনামী কেহ
কখনো আবার মন্ত্রী সন্ত্রী
কখনো ফেল করা কোনো ছাত্র
কখনো কামার, কখনো রাখাল
কখনো নব বিবাহীত পাত্র
কখনো সন্তান হয়েছে অনাথ,
মায়ের কোল হয়েছে শূন্য
জন্ম হয়েছে ধরায় যখন
হয়েছে মৃত্যুর জন্য
বিদায় জানিয়ে দিনের শেষে
অশ্রুসিক্ত চোখে
ফিরে যায় যে যার আপন ঘরে
বুক ভর্তি শোকে
আমার আমার করছে সবাই
তোমার কিছুই নয়
কিসের জন্য এতো আগলানো?
কিসের এতো ভয়?
যাবে যেদিন চরকাঁধে চড়ে
তেপান্তরের মাঠে
দেহ জ্বালাবে কাঠের আগুনে
আর ছাই ভাসাবে ঘাটে