শৈশবের বাঁকে
শৈশবের বাঁকে
পুরনো দিনের স্মৃতির ভেলায়
ভেসে চলেছি আমি,
দুচোখ জুড়ে ভীড় করে
অতীতের বাঁকে ফেলে আসা
আমার স্মৃতি ঘেরা বাক্স খানি?
আজও অনেকের মুখ রঙিন
হয়ে আছে আমার অন্তরে,
সব স্মৃতি মোছা যায়না
থেকে যায় মনের অতল গভীরে।
শৈশব যে বড়ই রঙিন
যায়না তারে ভোলা,
শৈশবের জাল ছিন্ন হলে
বাকি পথ যে সবার সাথে
থেকেও চলতে হয় একলা।
শৈশবের নরম মনের বন্ধুত্ব
খাঁটি নিখাদ,
তাতে থাকেনা রূঢ় বাস্তবের
কঠিন ছাপ।
জীবন পথ বড়ই কঠিন
বিছানো থাকে হাজার হাজার কাঁটা,
সঠিক সময়ে বোঝা যায় কোনটা
আসল বন্ধুত্ব, আর কোন মুখটা
মুখোশের আড়ালে ঢাকা।
আজও আমি ছুটে যাই অতীতের
ভীড়ে মুক্ত পাখির মত,
কোন খাঁচায় বাঁধতে পারেনি আমায়
আমি খোলা হাওয়ার মত।
মৃদু মন্দ বয়ে যায়
এদিক থেকে ওদিক,
অস্থির, চঞ্চল, বিষন্ন
মনে দেখা দেয় তখন
আনন্দের ঝিলিক।
পোড়া মন্দির, স্কুলের মাঠে
সাইকেল রেস, বটতলার ঐ গাছে
ঝোলানো বাঁশের দোলনা,
আজও আমার মনে জাগায়
খুশির অতল বন্যা।
আবার যদি ফিরে পেতাম
শৈশবের সেই দিন,
শৈশবের বাঁকে কাটিয়ে দিতাম
আমার এই জীবন রঙহীন।