প্রাচীন চোখ
প্রাচীন চোখ
ঘুমিয়ে পড়েছে বুঝি রাতের প্রতিটি তারা?
সত্যিই? এখনো যে তবে জেগে দুটি চোখ!
দূর মহাকাশের অসংখ্য নক্ষত্রের আলো,
নিভে গেছে; জেগে কেন তাহলে সেই দুই চোখ?
সভ্যতা মুছে যায়, ক্লান্ত নদী ফুরায় সমুদ্রের গভীরতায়,
তখনও তাকিয়ে থাকে দুটো চোখ! সন্ধ্যা নামে,
ক্লান্তির কালো রং ডানায় মেখে ঘরে ফেরে হেরে,
সূর্যাস্তের ডাকে, ঝাঁকে-ঝাঁকে, নরম আকাশি পাখির দল|
এরপর, রাত পেরিয়ে ভোর হয়; এক নতুন প্রজন্মর জন্ম হয় –
তখনও টান-টান সেই দুই চোখ; নিখুঁত ভালোবাসার আশায়,
ভাসবে বলে, চেয়ে থাকে প্রেমের জোয়ারে, সেই দুই চোখ|
সমাজের ভাঙা-গড়া দেখে; পথ চলে সময়ের সাথে তাল মিলিয়ে|
কয়েক আলোকবর্ষ ধরে পৃথিবীর পথ চলা, দেখেছে সেই চোখ|
ক্লান্ত নয়, নেই কোনো আবেগ তাদের; অশ্রুজলে ভেজে না!
পাথরের তৈরী, অনন্তকালের পথিক; দিগন্তের সীমানায় রয়ে যাবে!
কসমস-এ জন্ম, সেখানেই চেয়ে চিরকাল – পৃথিবীর প্রাচীনতম চোখ!