নীল ঢাকাই-এর পাড়
নীল ঢাকাই-এর পাড়
বানভাসি সেই স্বপ্নগুলোর ডাকে
সেদিন এসেছিলো আরেক চৈত্রমাস -
কৃষ্ণচুড়া ফোটার ফাঁকে ফাঁকে
কোনো দুই চোখে কারোর সর্বনাশ !
এক সমুদ্র কবিতা হয়েছে লেখা,
সেদিন কারোর কৃষ্ণকলি চাওয়ায়,
রক্ত ঝরিয়ে কারোর চুড়ির বাঁকা,
নীল জ্যোস্নার তিতাস জ্বেলেছে হাওয়ায় !
অজানি দেশের নাজানি কি-র খোঁজে
নীল ঢাকাই আর সিঁদুর-কৌটো-খানা,
সুটকেশে রাখা লাল-পাড় তন্তুজও
শুরু করেছিলো স্বপ্নের জাল বোনা !
চেনা পৃথিবীর কাঠাম ভাসিয়ে জলে,
বাতাসের পায়ে ভৈরবী আশ্বাস।
টুকরো হৃদয় ছড়িয়ে বনান্তরে -
সময়ের সাথে অজান্তে পরবাস।
এখন ইঁটের খাঁজে খাঁজে বাস্তব,
বেহাগ লুকোয় শূন্য সিঁথির আড়ে,
ঘোরে ফেরে শুধু গোধূলির চোরা রোদ
এখন যে তার নীল ঢাকাই-এর পাড়ে !
তিতাসে এখন সাহারার পরিহাস,
ছায়া হয়ে থাকা রূপকথাদের হার !
চৌকাঠ ছুঁয়ে শেষ বিকেলের আলোয়
ভাঙা আয়নায় বিকীর্ণ ছবি তার !
বোধের গভীরে শত শ্রাবনের ঝড়,
তবু অনন্ত বাঁচার অঙ্গীকারে -
অফুরান ওর বানভাসি আশাগুলো
আজ দ্রৌপদী, নীল ঢাকাই-এর পাড়ে !
