হাঁটা
হাঁটা
সাঁকোটা দিয়ে হাঁটবে ?
একাই হাঁটতে হবে কিন্তু!
মাঝে মাঝে সাথী হবে
হয়তো মানুষ, হয়তো মানুষ নয়,
হয়তো বা পেতে পারো
পশু, পাখি, জোনাকের সাথ।
মাঝপথে ছেড়ে গেলে
একাই হাঁটতে হবে কিন্তু!
মাঝে মাঝে
শঙ্খটা কানে দিয়ে শুনে নিও
দূরে ওই সমুদ্রের গর্জন;
আকাশের দিকে চেয়ে দেখো
চক্রাকারে ঘুরছে যে চিল,
দুপুরের ধার ধার রোদ,
পড়ন্ত বিকেলবেলাগুলো,
রাত-কাটা রাঙা-ভাঙা চাঁদ,
বিরামে বিজনে, মানে-অভিমানে
হয়তো বা আছে ওরা কাছে আর দূরে।
একাই হাঁটতে হবে কিন্তু!
যদি হাঁটা শুরু করো,
গলাগলি ভাব হতে পারে -
পড়ে থাকা পাথর-গুলোর সাথে?
হয়তো বা সে পাথরে বেজে উঠবে
ঝর্ণা ঝরানো কোনো বাঁশি?
উত্তুরে হাওয়া আর দখিনা বাতাস
আসর বসাবে নিয়ে তাল আর লয়?
তুমি শুধু ওদের সাথে নিও।
তুমি শুধু পাখি হয়ে যেয়ো -
বেঠিক বেতাল হোক,
গলা খুলে গান ধরে নিও।
স্বপ্নের মুঠি খুলে দিয়ে,
বাতাসের পায়ে পায়ে উড়ে
তুমি শুধু পালক হয়ে যেয়ো।
তারপর সাথ ছেড়ে গেলে,
আবার একাই হাঁটতে হবে!
নিশ্চিত জেনো কোনো এক বাঁকে -
সাথে পাবে স্বপ্ননীল একশৃঙ্গদের,
সাথে পাবে অজানি দেশের নাজানি কি।
সাথ ছুটে গেলে অবকাশ নিয়ো -
মধুবন্তীপুরের ছায়ায় অথবা
সিংহাটা নামের সেই আশ্চর্য মোড়ে?
বলি কি সাঁকো ধরে হাঁটা
শুরু করেই তো দেখো।
ঠিক ঠিক -
একই হাঁটতে হবে!
কিন্তু -
সাদা পাতাগুলো ভরে উঠবেই
কিছু ইতিহাস, কিছু গল্পগাছা,
আর বাকিটা জলছবিতে
তোমার নিজের রূপকথা দিয়ে!