নিঃসঙ্গতা
নিঃসঙ্গতা
জানিনা আর কত কাল থাকতে
হবে অপেক্ষায়!
একটা একটা করে বছর কালের
অতল গভীরে তলিয়ে যায়।
কত বসন্ত আসে আর চলে যায়
নতুন নতুন সাজে প্রকৃতি সেজে ওঠে,
কিন্তু আমি সেই একই ভাবে
রয়ে যাই!
আমার বাগানে আর ফোটেনা
কোনো ফুল!
তাদের গায়ে লাগেনা বসন্তের
রঙিন ছোঁয়া,
ঝড়ে গেছে প্রতিটি গাছের পাতা,
তার যেন বেঁচে থেকেও প্রান হারা।
গ্রীষ্মের তপ্ত দাবদাহের ঝলসে
যাওয়ায় মত রুক্ষ তাদের রূপ,
হারিয়ে গেছে তাদের সাজ,
আর নেই সতেজ,সবুজ।
আমার আঙ্গিনা এখনও শূন্য!
আজও পড়েনি তোমার পায়ের ছাপ,
দীর্ঘসূত্রতা করে করে কোন কাজ
হয়নি সারা!
জীবনে নেমে এসেছে গভীর
অন্ধকারাচ্ছন্ন কালো রাত।
পার হয়ে গেছে কত সহস্র
বিনিদ্র রজনী,
তবুও আমি আছি আলোর
অপেক্ষায় জেগে,
জানি একদিন সমস্ত অপেক্ষার
হবে অবসান,
জীবনে আসবে নতুন জোয়ার তার
আপন বেগে।
ভাসিয়ে নিয়ে যাবে সমস্ত দুঃখ,
কষ্ট, কাগজের ভেলার মত,
পড়ে থাকবে অবেগ ঘন, আনন্দময়
দিন এ জীবনে ছিল যত।
