নেতার নেতা নেতাজী
নেতার নেতা নেতাজী
নেতার সেরা নেতাজী,
জন্মদিন তারই আজি।
রক্তে লিপ্ত ভারত যখন,
স্বীকার করে অকস্মাৎ মরণ।
কংগ্ৰেসের সেই একাগ্ৰ নেতা,
হৃদয় তার স্বাধীনচেতা।
জন্ম তাঁহার ওড়িশার কটকে,
পড়াশোনা তাঁর কলোজিয়েট স্কুলে,
প্ৰেসিডেন্সি কলেজে বি.এ পড়াশোনা,
আই.এ.এস ইন্ডিয়ান সিভিল সার্ভিসে।
গান্ধিজীর মত তাঁর নাইকো মেলে,
এগারো বার গিয়েছেন জেলে।
ফরোয়ার্ড ব্লক তারই প্ৰতিষ্ঠা,
তাঁর বুকে শুধু ভারতমাতা।
ছদ্মবেশে দেশ ছেড়েছেন,
রাতের আঁধারে ভাইপো সহযোগে।
দেশমাতাকে বাঁচাতে গিয়ে,
তিনি নিজের মাকে একলা ছাড়েন।
পাড়ি দেন সূদুর দেশে,
জার্মানি, জাপান ও সিঙ্গাপুর শেষে।
জার্মানিতে নিরাশা শেষে ফেরেন সিঙ্গাপুরে,
জাপান প্ৰধানমন্ত্ৰী আশ্বস্ত করেন নেতাজীকে।
রাসবিহারী বসুকে সাথে নিয়ে গড়ে তোলেন,
দেশমুক্তির সামরিক বাহিনী।
যেকোনো মূল্যেই ভারতমাতা স্বাধীন করবে,
শপথ এই আজাদ হিন্দ বাহিনীর।
শুধু পুরুষ নয়, নারীরাও দিয়েছে নেতাজীকে সাথ,
নাম তার ঝাঁসির রানী বিগ্ৰেড।
তিনি স্লোগান দিয়ে দেশবাসীর মনে সাহস ভরেন,
বলে ওঠেন,"চলো, দিল্লী চলো।"
ভারতবাসীর উদ্দেশ্যে বলেন,"তোমরা আমাকে
রক্ত দাও, আমি তোমাদের স্বাধীনতা দেবো।"
জাপান দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে আত্মসমর্পিত হলে,
আজাদ বাহিনী পড়ে বড়ো বিপাকে।
ভারত মায়ের অপার স্নেহের সন্তান তিনি,
নতুন সাহায্যের আশায় বিমানে পা বাড়ান।
তাইওয়ান বিমান দুর্ঘটনায় তিনি হারিয়ে গেলেন।
রয়ে তাঁর মৃত্যুরহস্য, শ্ৰদ্ধাজ্ঞলিও পাননি পরিশেষে।
নেতার নেতা সুভাষচন্ত্ৰ আমাদের,
অমর থাকবে তুমি আপন হৃদয়ে জন্ম-জন্মান্তর।
তোমার সেই গানের উক্তিটি আজও কানে ভাসে,
"কদম কদম বাড়ায়ে যাও, খুশি কে গীত গায়ে যাও।
ইয়ে জিন্দেগি হ্যায় গম কি, তুম গম পে লুটায়ে যাও।।"
জয়হিন্দ।
লেখনীতে- পর্ণা দেব।
