না! আমি হয়তো পারবোনা
না! আমি হয়তো পারবোনা
পারিনি আজও ক্ষমা করতে।
যদি পারতাম নিজেই হয়তো মুক্ত হতাম।
নিজেকে কষ্ট দিতাম না।
পারিনি ক্ষমা করতে হয়তো কোনোদিন পারবো না।
জানিস কাজের মেয়েটা এসেছিল।
বিয়ে হয়ে গেছে ওর।
গলায় আমারি হার টা পড়া,
যেটা নিয়ে পালিয়ে ছিলো সেদিন।
লোভ ছিলো না, প্রয়োজন ছিলো, জানিনা।
ক্ষোভ নেই আমার, ওর চোখে লজ্জা দেখে।
ক্ষমা করে দিয়েছি।
মনে আছে তোর? সেই বখাটে ছেলেটা।
আমার অস্মিতা কে চোট করেছিল।
রাস্তার মাঝে বুকের থেকে ওড়না সরিয়েছিল।
সেদিন দেখলাম সেটাকে রাস্তায়।
লজ্জায় মাথা নত করে পাশ কেটে গেলো।
দুর্ঘটনায় নাকি হাত খোয়া গেছে,
মনে হলো, যেমন কর্ম তেমন ফল।।
ক্ষমা করে দিয়েছি বুঝলি!
সেদিন, আমাদের ভালোবাসাকে স্বার্থকতা দিতে,
মনে আছে, বাবা মা গেছিলেন তোর বাড়িতে।
আমার হুবু শাশুড়ি-শশুর মশাই;
কিভাবে অপমানের তীর ছুড়লেন বাবা-মার দিকে।
অসহায়ের মত সবটাই সহ্য করে গেলেন।
কারণ, বিয়ের আগেই সম্পর্কে লিপ্ত হয়ে ছিলাম।
দোষ তো আমার ছিলো,
তুই তো ছেলে তোর কি দোষ?
সীমা উলঙ্ঘন না করার দায়িত্ব তো শুধু মেয়েদের।
শশুর শাশুড়ী তো হলেন না,
কাকু কাকিমাই ডাকি।
এসেছিলেন সেদিন খুব কাঁদলেন,
ক্ষমা চাইলেন।
মা তো নেই, বাবার কাছেই প্রস্তাব রাখলেন,
তোর করে আমাকে নিয়ে যাওয়ার।
খুব শান্তি পেলাম জানিস।
মা তো অপমান সহ্য করতে না পেরে চলেই গেলেন।
বাবার অপমানের বোঝা টা একটু কমলো।
জানিস বাবার মুখে হাসি দেখলাম, অনেক দিন পর।
অনুতপ্ত তোর বাবা-মা,
ক্ষমা করে দিয়েছি তাদের।
তাদের প্রতি কোনো ক্ষোভ নেই।
মনে আছে মিথ্যা ভালোবাসার স্মৃতি গুলো।
কত মিথ্যা প্রতিশ্রুতি, শুধু একটু সুখের লালসা।
ছিনিয়ে নিলো আমার অমলিন হাসিগুলো।
আজ বর হওয়ার ঠাইয়ে তুই আমার দোজবর হবি।
বংশের দ্বীপ জ্বালানোর স্বার্থে তো আমাকে নিবি!
কিভাবে ভুলে জাস্-
হার চুরি করে সে যত্নে গলায় সাজিয়ে রেখেছে।
আর তুই মনটা চুরি করে,
সেটাকে ভেঙে চুরে তছ্ নচ্ করে ফিরিয়ে দিলি।
বখাটে ছেলেটা শুধু আমার ওড়না সরিয়ে ছিলো।
তুই যে আমার শরীর মন ছিন্ন বিচ্ছিন্ন করেছিলি।
কিভাবে ভুলে জাস্ -
তোর মা-বাবা অপমান করেছিলেন,
তুই পারতিস তো সেই অপমান ঘুচিয়ে দিতে।
আমাকে আগলে নিতে।
মা! কে বাচিয়ে রাখতে।
কই করলিনা তো?
কিভাবে আশা করিস তোর বউ হব।
ক্ষমা করে দেবো!
না! পারবনা ক্ষমা করতে।
যদি পারতাম নিজেই রক্ষা পেতাম।
