মা
মা
আজি প্রভাতের রবি যে মাতাল, মায়ের আগমনে,
অসিতে, শশীতে সেজেছে, মেতেছে রণরঙ্গিনী রণে।
চরনে রে যার বিশ্বভুবন, ললাটে অমরাবতী,
যার রোষে পোড়ে এই ত্রিভুবন, যার প্রেমে উমাপতি।
যার শার্দুলে, তীক্ষ্ণ ত্রিশুলে ত্রস্ত অসুরগণ,
আজ তার নামে বিজয়ধ্বনিতে মুখর রনাঙ্গন।
ডম্ ডম্ ডম্ ডমরুর ডাক, হাতিয়ারে ঝন্ ঝন্,
হুং হুং রণহুংকারে করে রণচন্ডী নাচন।
রেখে দে মা তোর শোণিতসিক্ত কাটারি, তলোয়ার,
গতি কর মা তোর মমতায় যতেক অভাগার।
এখনও নিভৃতে দেখিরে কাঁদতে কত শত দ্রৌপদীরে!
মারবি কবে রে,তোর শূলেতে সে মানুষরূপী অসুরে ?
আজকের ধরা, করে করজোড়া, মাগে মা পরিত্রাণ,
কেড়ে নিয়ে যত জ্বালাযাতনা , দে মা জীবনদান।
কেউ তোরে কয় পার্বতী, সতী কেউবা ডাকে উমা,
সাড়া দিস মোরে কাঁদব যখন ডেকে আদরিনী মা।
বছর ঘুরে এলিরে মা তুই জগৎ আলো করে,
তোর পদতলে ঠাঁই নাহি পেলে, শান্তি নাই মা মরে।
