"ক্ষমা নেই! তোর ক্ষমা নেই!"
"ক্ষমা নেই! তোর ক্ষমা নেই!"
তোমাকে ভালোবাসার আর কোনো কারণ দেখি না।
অথচ এখনো আমি শুধুই তোমাকে ভালোবাসি।
কেন ভালোবাসি? কেন ভালোবাসি?
কখনো আবার দেখা হলে কেঁপে উঠবে বুক, ঠিক প্রথম স্পর্শের মত।
হোক কোলাহল, জনারণ্য!
তোমাকে আরেকবার দেখলে হয়তো সব দ্বিধা ফেলে আবারও ছুঁতে চাইবো তোমাকে।
তোমার চিবুক বেয়ে নেমে আসা গোধূলির ধূসর ছুঁয়ে আর একবার রাত্রি নামবে আমার চোখে।
আমি তখন তোমাকে ছাড়া আর কিছুই দেখবো না দশদিকে।
তোমাকে মনে রাখবার আর কোনো কারণ দেখি না।
আর দশটা ভাঙনের মতোই ভেঙে গেছে আমাদের নীলিমা স্পর্শ করা যুগলবন্দী স্বপ্নের রেশ।
আমরা আমাদের তিক্ততাকে ধারণ করে হেঁটে গেছি উত্তর অথবা দক্ষিণ দুজন দুদিকে।
তবু আমি তোমাকে ভুলতে পারি না।
কেন পারি না? কেন পারি না?
যদি কখনো উত্তর-দক্ষিণ হয়ে আসা পথ মিলে যায় কোথাও,
যদি তা তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের ধ্বংসস্তূপও হয়,
সেই নিখিল নরকে দাঁড়িয়েও নিজেদের ভগ্ন অস্তিত্ব নিয়ে আমি আর একবার তোমাকে ছোঁবো।
উষ্ণ আলিঙ্গনে মুছে ফেলবো আমাদের মাঝখানে জড়ো হওয়া এক জন্মের শীতলতা।
তোমার কপাল বেয়ে নেমে আসা স্বেদ কিংবা লোহূ আমার অধর ছুঁয়ে হবে মৃত্যুঞ্জয়ী।
হয়তো এমন কিছুই হবে না।
আর কখনো হবে না চোখের আরাম, আর কখনো হবে না তোমাকে ছোঁয়া৷
হয়তো এসব অবশ অনুভূতিকে লালন করেই আমার যাবে সবকটা নিশ্বাস।
হয়ত তোমারও হবে না ধারণ করা মৃত্যুঞ্জয়ীর বেশ। গোলাপ নয়, প্ল্যাকার্ড নয়, নয় চাবুক কিংবা স্টেনগান,
এই জঞ্জালাদির শহরে তুমি হয়ত বয়ে বেড়াবে ধূমায়িত মোটা সেদ্ধ চালভর্তি টিফিন ক্যারিয়ার!
আমিও হয়ত মহাত্মা হবো না, কাটফাটা রৌদ্রে হয়ত ফুটপাতে দাঁড়িয়ে খুব পিপাসায় চিৎকার করে বলে উঠব, "ক্ষমা নেই! তোর ক্ষমা নেই!"