কবিদের চাই না
কবিদের চাই না


সমাজের কবিদেরকে দরকার নেই,
যত্তসব বস্তাপচা কল্পনা জল্পনার পাহাড়।
দু মিনিট কবিতার বদলে খাটো,
ফল মিলবে, নব নব আবিষ্কার হবে।
ওই দুটো মিনিট বাচ্চার কান্নায় মন দাও,
দেখো হয়তো ওর ক্ষিদে পেয়েছে।
খুব ছোটো, না তাও দরকার নেই!
এক মিনিট সময়ে যখন কবিতা পড়বে
তখন যুদ্ধ লেগে যাবে, সব বদলে যাবে।
ওনাদের কবিতার সুরসুরি আর সহ্য হয় না;
না আন্দোলন, না প্রতিবাদ কোনোটাই
ওঁদের দ্বারা বাস্তবায়িত হয় না।
ইতিমধ্যে চর্চাবহুল সমাজের ছত্রছায়ায়
কয়েকজন কবি জমা হয়েছেন;
সেই কজন এসেছেন অবাস্তবে তাল মেলাতে,
হাল্কা প্রেমের নাড়া খেতে,
হাল্কা বুলিতে দুঃখ পেতে,
অলীক মুগ্ধতায় হাততালি দিতে।
না না কবিদের আর দরকার নেই,
ওনারা ক্ষুধার রাজ্যে খাবার এনে দিতে পারেন না,
নারীর ওড়নার ভুলুন্ঠিত হওয়া আটকাতে পারেন না;
শুধু নাকি কাগুজে প্রতিবাদ, বিদ্রুপ, ব্যঙ্গ পারেন;
কিসের দরকার বলুন ত... বে ...
এই কারা আসছে ছুটে আমার দিকে?
গর্জে উঠছে,
"হেথা তোমায় চাই না কবি,
তুমিও ছন্দময়তা ছাড়া কিছু দিতে পারোনি;
সমাজ তোমারে চায় না।
তুমি যাদের কথা বলছিলে তুমিও তো সেই,
ভাবগহ্বর থেকে উঠে আসা সরীসৃপ;
তাই সমাজ ছেড়ে চলে যাও হে কবি।"
আমি আমার কথা মনে করলাম,
ওগুলোও কবিতা ছিলো নাকি?
আধুনিক যে গদ্য কবিতা... সেটা নয়?
"তবুও কবিতা কবি, ওগুলো কবিতাই;
ক্ষান্ত দাও এবারে আমাদের।"
কাগজ কলম গুটিয়ে নির্বাসিত কবিদের
খোঁজেই বেরোলাম, আপাতত;
আর কি ফিরবে কোনোদিন কবিতা, জীবনে?