দোল পূর্ণিমা
দোল পূর্ণিমা
শ্যামের বাঁশি, শুনে যেমন
রাধিকার মন হয় আকুল,
ঠিক তেমনি, আজ প্রভাতে
কোকিলের কুহু কুহু রবে,
আমি ও হয়েছি ব্যাকুল ।
ব্যাকুলতার এই আবেশে
নিজেকে সাজিয়েছি
আজ, বাসন্তী তে
আমার মতো প্রকৃতি ও
আজ, সেজে উঠেছে
হলদে পলাশে,
নতুন রূপে, নতুন সাজে।
যেন, রামধনুর সাত রঙে
মেতেছে সকল মন প্রান,
যেন, ভ্রমরের গুঞ্জনে
মাতোয়ারা, সকল আপনজন।
যেন, কৃষ্ণচুরার রক্তিম বর্নের ন্যায়
সকলের ঠোঁটে লেগে আছে
বসন্তের হাসি,
যেন, দখিনা বাতাসের
দোলায় মেতে উঠেছে
সকল বিশ্ববাসী।
তাই তো আজ
পড়ালেখার ফাঁকে,
বসন্তের ছোঁয়া লেগে,
কচিকাঁচাদের মুখগুলি ও
লাল-নীল-সবুজে
হয়েছে মাখামাখি ।
এরই মাঝে
কেউ বা আসে
গুরুজনের পায়ে
আবিরের পরশ দিয়ে
শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে,
তো কেউ
মহাদেবের প্রসাদ খেয়ে
মেতেছে হুল্লোড়ে ।
আবার দিনের শেষে
সন্ধ্যা রাতে, যখন
চাঁদের আলোয়
আলোকিত চারিদিক,
ঠিক তখনই
ঝরা পাতার শব্দে
মনে জেগে ওঠে,
নতুন করে আগামীকে
রাঙিয়ে দেওয়ার
ভাবাবেগ।
