ভারতবর্ষ সুশান্ত কুমার ঘোষ
ভারতবর্ষ সুশান্ত কুমার ঘোষ
ভারতবর্ষ
সুশান্ত কুমার ঘোষ
কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পাহাড়- সাগরে ঘেরা
গিরি নদী মরু ফুল পল্লব লবণে তুষারে মোড়া ,
বুকের উপরে সবুজ শস্য গভীরে হীরক মনি
সেই তো আমার ভারতবর্ষ স্রষ্টার মহা দান
শত কোটি প্রাণ একসুরে গায় মহাভারতের গান ।।
কত রীতি নীতি কত মত পথ কত যে মুখের বাণী
কৃষ্টি ভূষণ নানা পরিধান রকমারি দানাপানি ,
লক্ষ বিভেদ একাকার হয়ে জেগেছে একটি প্রাণ
শত কোটি মন একসুরে গায় সেই ভারতের গান ।।
কোথাও কানন ফুলে ফুলে ভরা কোন খানে ধূধূ খরা
কোথাও তৃষ্ণা হাহাকার করে কোথা মেঘ জলভরা ,
বিভেদের মাঝে অবিরত ওঠে মহামিলনের তান
শত কোটি প্রাণ একসুরে গায় মহাভারতের গান ।।
গঙ্গা যমুনা কৃষ্ণা কাবেরী শিপ্রা নর্মদা
বিন্ধ্য হিমালয় সৌহাদ্রি নীল নির্ঝরিণীর সুধা ,
উদার হস্তে জীবন পসরা যুগে যুগে করে দান
আদিকাল থেকে চলেছে গেয়ে মহাভারতের গান ।।
দশ গিরিবালা মুখ রাখে ঢেকে অবগুণ্ঠন আড়ালে
খুলে দেয় দ্বার অবশিষ্টেরা দরজায় এসে দাঁড়ালে ,
গিরি-সুতাদের অপরূপ রূপ স্রষ্টার মহাদান
গিরি সমতল একসুরে গায় মহাভারতের গান ।
কত ভাষা তার ঢঙ আছে কত ভাবে মাকে ডাকা
সব বাণী গেছে একাকার হয়ে মুছে গেছে ভেদ রেখা ,
প্রেমের বাণীতে বাঁধা পরে গেছে একটি মহা প্রাণ
শত কোটি মন একসুরে গায় সেই ভারতের গান ।।
কাশ্মীরে যদি হাহাকার ওঠে কন্যাকুমারী কাঁদে
আসমুদ্র শত কোটি প্রাণ ভরসায় বুক বাঁধে ,
হিমাচল থেকে তামিল কেরল হাতে হাতে করে ত্রাণ
সেই তো আমার ভারত আত্মা মহাভারতীয় প্রাণ ।।
খরায় মারিতে মারাঠা কাঁদলে পঞ্জাবে ব্যথা জাগে
ঝড়ে প্লাবনে বাংলা ভাসলে বাকিরা করুণা মাগে ,
আসমুদ্র হিমাচলের মন করে টনটন
সেই তো আমার ভারতবর্ষ মহাভারতীয় প্রাণ ।।
বিবেকের বাণী সৃষ্টি করেছে ভারতীয় আত্মার
আর্যাবর্ত দাক্ষিণাত্য মিলে মিশে একাকার ,
তপোবনে ব্যাস লিখে গেছে যে জীবনের আখ্যান
শত কোটি মন একসুরে গায় সেই ভারতের গান ।।