ভাঁড়ের জীবন
ভাঁড়ের জীবন
ভাঁড়ের জীবন
মানিক চন্দ্র গোস্বামী
পেশা হাসির ফুল ফোটানো মনের বিষন্ন আঙিনায়,
মনোহরণ কথার টানে,
হাস্যরসের অমোঘ বাণে,
মনের গুমোট হালকা করি সরস রসিকতায়।
অশান্তি ভরা বিশ্ব জগতে, বিঁধে কুবাক্যের চাপ,
টানা পোড়েনের এ সংসারে,
দুশ্চিন্তায় কুরে কুরে,
হাসির খোরাক জোগাড়ে শোনাই মূল্যহীন সংলাপ।
পরিপাটি চটুল কথার সাথে বাক্য সাজিয়ে নিয়ে,
কথার প্যাঁচে ফেলে,
অনায়াসে, অবহেলে,
হাসাই আমি রাজা-উজির, হাসাই ছেলে-মেয়ে।
হাসির বড় অভাব দেখি জগৎ সংসারে,
মনেই গুমরে মরে,
ব্যথা ভরা অন্তরে,
হাসির কথা শুনলে চোখে আনন্দাশ্রু ঝরে।
মেকি কথার সঠিক সজ্জার অন্তর্নিহিত মানে,
বিজ্ঞজনে বুঝলে পরে,
হাততালিতে মাথা নাড়ে,
বাহবা জানায়, শব্দ প্রয়োগে ঝুলি ভরায় দানে।
যে দু'পয়সা উপায় করি দিবা রাত্রি খেটে,
সংসারটা চলছে তাতে,
অভাব হয়নি ভাতে,
কষ্ট হলেও খুশি থাকি, কিল মারিনা পেটে।
