অশোক
অশোক
মিথ্যে বলা সত্য বলার চেয়ে অনেক কঠিন কাজ!
তেমন করে মিথ্যে বলতে পারলে পেতাম না লাজ।
দরকারে মিথ্যে বলতে, হয়েছে গলা শুকিয়ে কাঠ,
সৎ পথ থেকে ভ্রষ্ট হতে ইচ্ছে নেই, হতে পারি ভাট !
কথাটা বুঝে গেছি, মিথ্যে আমার জন্যে নয়।
তবে করতে চাই না আমি সময়ের অপচয়।
অন্যের ভালোর জন্যে নাকি মিথ্যে বলা ভালো,
মুখটা যে আয়না, মিথ্যে বললে, নিমেষেই কালো।
তাই "কেমন আছি আমি", জানতে চাইলেই মুশকিল,
ভালো না থাকলে, কি করে বলি আছি বেশ ভালো !
এ যেন চুরি করে ঠাকুর ঘরে কলা নয়, খাওয়া কিল।
প্রথম দুবার ফাগুন আসবার কথা একদম মনে নেই,
ফাল্গুন মাস এলে ফাগুণ আসবে, বাঁচি এই বিশ্বাসেই,
ফাগুণ নাকি আমি! কে আগে এসেছিলো জানা নেই।
খুব মনে পড়ছে উঠোনের অশোক গাছটার কথা,
সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে লাল-কমলা রঙের রেখা।
শুধু ভালোবাসা নয় সত্যের আর রক্তের রঙও লাল,
অশোক বনে ছিলেন, তাই সীতা হননি শোকে পাগল।
লুম্বিনীতে সিদ্ধার্থ জন্মেছিলেন অশোক গাছের তলে,
খেলার সাথী অশোক, হয়তো আমায় গেছই ভুলে!
তোমায় আমি ভাবি আজও, শোক বা দুঃখ পেলে।
হ্যাঁ, আগের চেয়ে ভালো তো আছি আমি নিশ্চয়ই,
মনের নানা কথা এইতো বেশ জানাচ্ছি লিখে লিখেই।
মাছ-মাংস-ডিম ছাড়া কোনও খাবার মুখে রুচতোনা,
সেগুলোও খাবনা বলে, কতোই না করতাম বাহানা!
নিরামিষ, আমিষ এসব কথা তখনও কিছুই বুঝিনা।
তারপর দিনে দিনে জ্বরে, যখন দুর্বল হয়ে পড়লাম,
ব্লাড টেস্টের পর, জন্ডিস হয়েছে, একথা শুনলাম।
ডাক্তার বাবুর প্রেসক্রিপশনের ওষুধ মেনে নিলাম,
কিন্তু ঐ সব কাঁচকলা, পেঁপের ট্যালটেলে পথ্য ?
উঃ অসহ্য ! আমি তো রীতিমত প্রমাদ গুণলাম।
যেন সবাই মিলে করেছে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র!
এই কথাটাই মনে মনে আন্দাজে স্থির করে নিলাম।
সুস্হ হয়ে উঠতে হবে আমাকে, আবার আগের মত,
এই কথাটা ভেবে মনে বেশ জোর পেলাম।
হ্যাঁ, ধীরে ধীরে একটা সময় সত্যিই সুস্থ হলাম।
আর এখন পৃথিবীর স্বার্থান্বেষী, আগ্রাসী কিছু লোক!
যুদ্ধ বাঁধিয়ে সাধারণ মানুষকে তো করছে নির্যাতন।
করোনা নয়,যুদ্ধের ফলে মানুষের হচ্ছে অকাল মরন।
জেনে কষ্ট হলেও, দুঃখ, শোক করতেই হবে বয়কট,
এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাই তো আশ্চর্য, উদ্ভট!
মিথ্যে বলা সত্য বলার চেয়ে অনেক কঠিন কাজ!
তেমন করে মিথ্যে বলতে পারলে পেতাম না লাজ।
দরকারে মিথ্যে বলতে, হয়েছে গলা শুকিয়ে কাঠ,
সৎ পথ থেকে ভ্রষ্ট হতে ইচ্ছে নেই, হতে পারি ভাট !
কথাটা বুঝে গেছি, মিথ্যে আমার জন্যে নয়।
তবে করতে চাই না আমি সময়ের অপচয়।
অন্যের ভালোর জন্যে নাকি মিথ্যে বলা ভালো,
মুখটা যে আয়না, মিথ্যে বললে, নিমেষেই কালো।
তাই "কেমন আছি আমি", জানতে চাইলেই মুশকিল,
ভালো না থাকলে, কি করে বলি আছি বেশ ভালো !
এ যেন চুরি করে ঠাকুর ঘরে কলা নয়, খাওয়া কিল।
প্রথম দুবার ফাগুন আসবার কথা একদম মনে নেই,
ফাল্গুন মাস এলে ফাগুণ আসবে, বাঁচি এই বিশ্বাসেই,
ফাগুণ নাকি আমি! কে আগে এসেছিলো জানা নেই।
খুব মনে পড়ছে উঠোনের অশোক গাছটার কথা,
সবুজ পাতার ফাঁকে ফাঁকে লাল-কমলা রঙের রেখা।
শুধু ভালোবাসা নয় সত্যের আর রক্তের রঙও লাল,
অশোক বনে ছিলেন, তাই সীতা হননি শোকে পাগল।
লুম্বিনীতে সিদ্ধার্থ জন্মেছিলেন অশোক গাছের তলে,
খেলার সাথী অশোক, হয়তো আমায় গেছই ভুলে!
তোমায় আমি ভাবি আজও, শোক বা দুঃখ পেলে।
হ্যাঁ, আগের চেয়ে ভালো তো আছি আমি নিশ্চয়ই,
মনের নানা কথা এইতো বেশ জানাচ্ছি লিখে লিখেই।
মাছ-মাংস-ডিম ছাড়া কোনও খাবার মুখে রুচতোনা,
সেগুলোও খাবনা বলে, কতোই না করতাম বাহানা!
নিরামিষ, আমিষ এসব কথা তখনও কিছুই বুঝিনা।
তারপর দিনে দিনে জ্বরে, যখন দুর্বল হয়ে পড়লাম,
ব্লাড টেস্টের পর, জন্ডিস হয়েছে, একথা শুনলাম।
ডাক্তার বাবুর প্রেসক্রিপশনের ওষুধ মেনে নিলাম,
কিন্তু ঐ সব কাঁচকলা, পেঁপের ট্যালটেলে পথ্য ?
উঃ অসহ্য ! আমি তো রীতিমত প্রমাদ গুণলাম।
যেন সবাই মিলে করেছে আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র!
এই কথাটাই মনে মনে আন্দাজে স্থির করে নিলাম।
সুস্হ হয়ে উঠতে হবে আমাকে, আবার আগের মত,
এই কথাটা ভেবে মনে বেশ জোর পেলাম।
হ্যাঁ, ধীরে ধীরে একটা সময় সত্যিই সুস্থ হলাম।
আর এখন পৃথিবীর স্বার্থান্বেষী, আগ্রাসী কিছু লোক!
যুদ্ধ বাঁধিয়ে সাধারণ মানুষকে তো করছে নির্যাতন।
করোনা নয়,যুদ্ধের ফলে মানুষের হচ্ছে অকাল মরন।
জেনে কষ্ট হলেও, দুঃখ, শোক করতেই হবে বয়কট,
এই পৃথিবীতে বেঁচে থাকাটাই তো আশ্চর্য, উদ্ভট!