অস্বীকার
অস্বীকার


তুল্যমূল্য বিচারে যখন পরখ করা হয় উষ্ণ চাদরের ভাঁজ.….
খেয়ালী অস্বীকারে যখন বেঁধে ফেলা হয় অধরের ভেজা মাটি,
একবার নাহয় আঁকড়ে ধরেই দেখো '
সামাজিক সহাবস্থান যেখানে পাখির পালক হয়ে আকাশ ফুঁড়ে ওড়ে ----
বৃদ্ধ কলমের আঁচড়ে সেখানে রক্তাক্ত হয় তোমার আমার গল্পগুলো।
শোনো ' তোমায় কঠিন করে চাইনা আমি.....
উত্থিত পৌরুষের ধ্বজাতলে চাইনা রাতপরী কর্ষণ করতে,
বরং তোমার ভেজা চিবুকের জমিনে মিঠে আদর নামাতে চাই ----
তন্বীলতা যেভাবে অর্জুনের বাকল ছুঁয়ে কুয়াশা নামায় মধ্যরাতে '
ঠিক সেভাবেই মিশতে চাই ; হাজার সামাজিকতার নিগূঢ় বন্ধন অস্বীকার করে।
উত্তেজনা যখন হরমোন হয়ে শরীরের খাঁজে খাঁজে খুঁজে নেয় বন্দীশিবির.....
হতক্লান্ত সৈনিকের মত চোখ বুজে শুয়ে থাকে সঙ্গমশেষ শিবিকা,
আলগোছে তখন কপালে এঁকে দিতে চাই আস্বাদ চুম্বন----
রাত্রিশেষ প্রভাতের নতুন আলোর অঙ্গীকার হয়ে আঁকড়ে ধরতে চাই বাহু '
খসে পড়া লজ্জাসুতো আলগোছে ঢেকে দিতে চাই ডুরেশাড়ির আঁচলে '
শত আকর্ষণ অস্বীকার করে তোমায় নতুন করে নিত্য পাব বলে।
বসন্তশেষের ঝরাপাতার মত স্খলিত জরা ছিন্নভিন্ন করে যৌবনতাপ.....
হিমমৃত্যু যখন গুটিগুটি পায়ে সন্ধ্যা নামায় শিয়রে,
এভাবেই ভালোবাসতে চাই তোমায় কালবেলায় '
রাঙিয়ে দিতে চাই দ্বিধাজর্জর আপেক্ষিক আদরে,
কুসুমিত সবিতা যখন দিনশেষে ক্লান্ত হয়ে ঢলে পড়ে সাঁঝবালিকার পিঞ্জরে ---
পড়ন্ত বিকেলের সেই শেষ অধ্যায়ে এসে সামাজিকতার মায়াজাল অস্বীকার করে বলতে চাই "ভালোবাসি" ;
দিগন্তপারের নীল শামিয়ানায় তোমায় নতুন করে পাব বলে।