আশ্বিণের শহর
আশ্বিণের শহর
শীতের ঘুমকাতুরে শহর বেমালুম থেকে যায় অপেক্ষায়,
বড়খোকা ফিরছে আজ ,বুড়োদাকে বলেছে গাড়ি নিয়ে এয়ারপোর্টে যেতে...।
পুজো আর বৃষ্টি মেতেছে অজ্ঞাত বিদ্রোহে,ক্যাবের ঝাপসা কাঁচে ঢাকা পড়ে শহরতলী
রেস্তোরাঁর আলো...।
মহালয়ার ভোরে শিউলি কুড়ায় বৃদ্ধা-শহর আর আওয়াজ পায় ট্যাক্সির...,
মেয়ে জামাই নাতনিকে নিয়ে ফিরলো ব্যাঙ্গালোর থেকে...।
বিকেলবেলার ছাদে শাড়ির আড়ালে কাশের মেঘলাপুর.,.
তক্রপোষ মাখামাখি টিউশন পালানো নতুন প্রেম....।
কুমোরটুলি সাজতে বসে, সিঁদুর পরে,...
ঠাকুর আনার ব্যস্ততা..,
কাঁদাজলে তর্পণ সারে ফুলবাজার আর প্লাস্টিকে মুড়ে উমা আসে,..
খেরোর খাতায় নৈবেদ্য..।
শারদীয়া সংখ্যা আর ধুলো-ঝারা দোতারায় আড্ডা জমে...
বাগবাজার আর ম্যাডক্সে পুজো পুজো গন্ধ...
মাটির থালায় দুমুঠো ভোগ..।
নিষিদ্ধপল্লীতেও মা আসে, ওরাও যে মায়ের জাত,
ওরাই শক্তিরুপে সনাতনী.,
সেবার পল্টুর ভীষণ জ্বর,এ শহর অষ্টমীর ঢাক আর ক্যাপবন্দুক এনে রেখেছিল ওর বালিশের তলায়....।
এ তিলোত্তমা ভালোবাসে,
গেঞ্জিকলের রফিক, সিগনালে দাঁড়ানো কিন্নরীরা, অপু-দুগ্গা আর ক্যাপটেন স্পার্ক সবাই মাতে এ মহাহুল্লোরে....,
শীতকাতুরে শহর কাঠামোটুকু তুলে রাখে মায়ের ফেরার অপেক্ষায়...।