স্বপ্ন উড়ান
স্বপ্ন উড়ান
অনেকদিন পর দোতলার বারান্দাটায় গিয়ে দাঁড়ালাম।এই বাড়িটাতেই তো এখন আসিনা।মিনতীই পুরো বাড়িটার দেখভাল করছে।মধুছন্দা বেঁচে থাকতে,অনেক অন্যায় করেছি।ওর ভালোবাসাকে তাচ্ছিল্য করে আরেকটা বিয়ে করে আলাদা থেকেছি।নিজের সন্তানকে অবহেলা করে বোর্ডিংস্কুলে পাঠিয়েছি।যার মন পাওয়ার জন্য এরকম করেছিলাম,আরেক স্ত্রী রুমা,সেই সম্পত্তির লোভে আমায় খুন করতে চেয়েছিল।ভাগ্যিস ধরা পড়ল!দশবছর পর নীলাদ্রি বোস নিঃস্ব।মধুছন্দার ইচ্ছে ছিল,গরীব ছেলেমেয়েদের জন্য একটা স্কুল খোলার।ভাবছি,এই বাড়িটাকেই স্কুলের জন্য দান করবো।মেয়েটাকেও নিয়ে আসব কাছে।ঝুলকালি মাখা ভাঙ্গা চেয়ার-টেবিলের ওপরে ঝোলানো খাঁচাটায় রুগ্ন টিয়াপাখিটা চুপ করে দুলছে।ওর পাখার জৌলুস নেই,আওয়াজও নেই বেশী,ডানার ঝটপটানিও কম,শুধু টিকে আছে।ওকে বন্দীদশা থেকে মুক্ত করলাম,ও ওর ইচ্ছেতে বাঁচুক।আশা করি,আসছে বছরই,স্কুলের কাজটা হয়ে যাবে।নাম হবে 'স্বপ্ন উড়ান'।