Sampa Maji

Inspirational Others

3  

Sampa Maji

Inspirational Others

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ

2 mins
641



প্রথম ও দ্বিতীয় পেরিয়ে বর্তমানে আমরা তৃতীয় বিশ্বের বাস করছি , আর এই বিশ্ব এই সময় এক ভয়াবহ যুদ্ধের মুখোমুখি দাঁড়িয়ে।যুদ্ধ শুরু হয়েছে বিশ্বের মানুষ V করোনা নামক মহামারীর মধ্যে। এই যুদ্ধের সুত্র পাত চীনের উহান প্রদেশের এক মাংসের বাজার থেকে । প্রতিপক্ষ করোনার প্রধান অস্ত্র COVID-19 নামক ভাইরাস, 

যে কিনা চীনের মানুষ কিছু বোঝার আগেই সাইলেন কিলারের মতো একে একে পরাস্ত করে নিহত করে দিয়েছে। বিদ্যুৎ এর মতো দ্রুত গতিতে একের পর এক কে হামলা করেছে। এখন এর নিশানায় বিশ্বের প্রতিটি দেশের প্রতিটি মানুষ। প্রথমে ইতালি এই শত্রু কে হালকা করে নিয়েছিল তাই চীনের সাথে ইতালিকে ও কিছু বুঝতে না দিয়ে আঘাত জর্জরিত করে দিয়েছে ।এতো উন্নত প্রযুক্তি থেকেও চীন এবং ইতালি প্রতিপক্ষ শত্রু কে ধ্বংস করতে পারল না। প্রথম প্রথম সব দেশ দর্শকদের আসন নিয়ে চীন ও ইতালির সাথে করোনার যুদ্ধ দেখেছিল কিন্তু শত্রু তো থেকে থাকার নয় , তাই দূত গতিতে কাউকে কিছু বুঝতে না দিয়ে একের পর এক দেশের ওপর হামলা করতে থাকে, এতোদিন যারা দর্শকের আসন নিয়ে ছিল আজ তারাও অংশগ্রহণ কারী হয়েছে। সব দেশের মতো ভারত ও একদিন দর্শক ছিল কিন্তু শত্রু যে কখন গোপনে প্লেনে চড়ে ভারতে এসে উপস্থিত হয়েছে সেটা ভারত ভাবেনি । ভারতবাসী শত্রু কে আটকানোর আগেই শত্রু ভারতবাসীর ওপর হামলা করেছে, কয়েক জনকে আহত ও নিহত করে দিয়েছে। তবে ভারতবর্ষ উন্নত না হলেও উন্নতত্তর দেশ ,সহজে হার মানতে শেখেনি ।এর আগেও অনেক শত্রু কে দেশ ছাড়া করিয়ে ছেড়েছে, এবারেও তাই হাল ছাড়েনি। ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষ নিজেও লড়তে জানে অন্যকেও লড়াইয়ে অংশ নেওয়ার মানসিক শক্তি যোগাতে জানে। তাই সমস্ত ভারতবাসী এক জোট হয়ে করোনা নামক শত্রুর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ ঘোষণা করেছে। 


মজার ব্যাপার এই বিশ্বযুদ্ধ , এক দেশের সাথে অন্য দেশের না ,গোটা বিশ্বের সাথে করোনা নামক মহামারীর , যার প্রধান অস্ত্র COVID-19 নামক ভাইরাস , এই অস্ত্রের আঘাতে মানুষের দেহ থেকে ঝরছে না কোনো রক্ত, ঝরছে শুধুই প্রান। পূর্ববর্তী যুদ্ধের সময় মানুষ একজোট হয়ে অংশ গ্রহণ করে মুখ মুখি লড়াই করেছিল কিন্তু এই যুদ্ধে অংশ গ্রহণ করতে হবে অন্যভাবে প্রতি মানুষ কে নিজেদের কে নিজেরাই গৃহবন্দী করলে তবেই অংশগ্রহণ করতে পারবে,আর ভারতবর্ষের প্রতিটি মানুষ কে সমান ভাবে অংশ নিতে হবে ‌। যদি সবাই এইভাবে গৃহবন্দী হয়ে থাকে তবেই এই শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারবে । এখন শুধু ভারতবাসী নয় বিশ্বের প্রতিটি দেশের দেশবাসীই এই সময় নিজেদের গৃহবন্দী করে এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে মোকাবিলা করছে ।এই মহামারী করোনার যেমন প্রধান অস্ত্র COVID-19 ঠিক তেমনি মানুষের প্রধান এবং অন্যতম অস্ত্র নিজেকে গৃহবন্দী রাখা। নিজেদের কে গৃহবন্দী করে এই যুদ্ধের বিরুদ্ধে লড়াই করে নিজের দেশ এবং দেশবাসীকে রক্ষা করতে হবে এবং আমরা ভারতবাসী তা পারবোই।


চিন্তা নেই আমাদের এই লড়াই বৃথা যাবে না, আমরাও একদিন ইতিহাস হবো , আমাদের কথা ও ইতিহাসের পাতায় পাতায় লেখা থাকবে । ঠিক 50 বছর কিংবা তার ও আগে আমাদের এই করোনার বিরুদ্ধে তৃতীয় বিশ্বের এই লড়াইয়ের কাহিনী স্কুলের ছেলেমেয়েরা পড়বে ইতিহাসের বইয়ের পাতায়।


Rate this content
Log in

Similar bengali story from Inspirational