তোমায় ভালোবাসি প্রিয় ❤
তোমায় ভালোবাসি প্রিয় ❤
অধরং মধুরং বদনং মধুরং
নয়নং মধুরং হসিতং মধুরম |
হৃদয়ং মধুরং গমনং মধুরং
মধুরাধিপতেরখিলং মধুরম
বচনং মধুরং চরিতং মধুরং
বসনং মধুরং বলিতং মধুরম |
চলিতং মধুরং ভ্রমিতং মধুরং
মধুরাধিপতেরখিলং মধুরম
বেণু-র্মধুরো রেণু-র্মধুরঃ
পাণি-র্মধুরঃ পাদৌ মধুরৌ |
নৃত্য়ং মধুরং সখ্য়ং মধুরং
মধুরাধিপতেরখিলং মধুরম (বাকিটা শুনে নেবেন আপনারা)
গানটা শেষ করে একটা মেয়ে ঠাকুর প্রনাম করল! তারপর পূজোর থালাটা নিয়ে পেছন ঘুরতেই দেখল তার স্বামী অর্থাৎ সৌরভ সেন দাঁড়িয়ে আছে, তা দেখে মেয়েটি বলল,
মেয়েটি- একি তুমি উঠে পরলে যে আরেকটু ঘুমাতে পারতে! অফিসে কাজের চাপ বাড়িতে আমি এতে তো তোমার রেস্ট নেওয়া হয় না আজকে ছুটির দিনে অন্তত ঘুমাতে!
মেয়েটির কথা সৌরভ হেসে বলল,
সৌরভ- কি করবো বলতো ঋত্বি সকাল সকাল তোমার গলায় এই মিষ্টি গান শুনে আর শুয়ে থাকতে ভালো লাগে না যে!
ঋত্বি অর্থাৎ ঋত্বিকা সেন বলল,
ঋত্বিকা- হয়েছে হয়েছে আমার তারিফ করা! উঠে পড়েছো যখন তখন সোফায় গিয়ে বসো আমি তোমার জন্য চা করে আনছি!
এই বলে যেতে গেলে সৌরভ ওর হাত ধরে ফেলে তারপর বলে,
সৌরভ- কোথাও যেতে হবে না তোমার আমি চা করছি তুমি গিয়ে রেস্ট নাও!
ঋত্বিকা- কিন্তু তুমি,,,,
ঋত্বিকা কে কিছু বলতে না দিয়ে সৌরভ বলল,
সৌরভ- কোনো কথা নয়! আচ্ছা ঋত্বি তুমি কি ভুলে গেছো যে তুমি আর একা নেই তোমার সাথে আরও দুটো প্রান আছে ওদের তো খেয়াল রাখতে হবে তাই না! এবার চলো গিয়ে চুপটি করে বসবে আসো!
এই বলে সৌরভ ঋত্বিকা কে নিয়ে সোফায় বসালো! (হ্যাঁ আপনারা ঠিক শুনেছেন ঋত্বিকা এখন ৮ মাসের প্রেগন্যান্ট) সোফায় বসে ঋত্বিকা ঠোঁট ফুলিয়ে সৌরভের দিকে তাকিয়ে বলল,
ঋত্বিকা- আমি জানি আমি এখন একা নেই কিন্তু আমি তোমাকে সাহায্য করতে চাই! তুমি অফিসের কাজ করে আবার আমার দেখাশোনা করো আমি তো তেমন কিছুই করতে পারি না তোমার জন্য।
ঋত্বিকার কথায় সৌরভ ওর পাশে বসে বলল,
সৌরভ- তোমাকে কিছু করতে হবে না এখন তুমি শুধু রেস্ট করবে আর আমার বেবিদের খেয়াল রাখবে বুঝেছো, এখন আমি যাই চা বানিয়ে আনি!
এই বলে সৌরভ রান্না ঘরে যেতে লাগলো আর ঋত্বিকা ওর যাওয়ার দিকে তাকিয়ে মনে মনে বলল,
ঋত্বিকা- এত খেয়াল কেন রাখো রভ!
হয়তো ঋত্বিকার মনে মনে বলা কথা সৌরভ শুনতে পেয়েছে তাই ও পেছন ঘুরে বলল,
সৌরভ- কারণ ভালোবাসি তোমায় প্রিয় তাই এটুকু খেয়াল তো রাখতেই হয়!
এই বলে সৌরভ চলে গেল আর ঋত্বিকা সৌরভের কথা শুনে অবাক হয়ে গেল ও ভাবছে যে সৌরভ ওর মনের কথা শুনলো কি করে? কিছুক্ষণ পর সৌরভ চা নিয়ে আসল, তারপর ঋত্বিকার পাশে বসল। তারপর দুজনে মিলে গল্প করতে করতে চা খেল।
