সেদিন দেখা হয়েছিল
সেদিন দেখা হয়েছিল
সারা ঘরময় একটা মেয়ে একটা বাচ্চার পেছনে দৌড়াচ্ছে, হাতে দুধের গ্লাস নিয়ে (আচ্ছা পরিচয় করাই এরা কারা মেয়েটি যে দুধের গ্লাস নিয়ে দৌড়াচ্ছে সে হল ঋত্বিকা সেন আর বাচ্চাটি হল তিন্নি ওরফে সিন্ধুজা)।
ঋত্বিকা তিন্নির পেছনে দৌড়াতে দৌড়াতে বলল,
ঋত্বিকা- তিন্নি সোনা দাঁড়া মা দুধটা খেয়ে নে।
তিন্নি- না না তাবো না আমি দুদ পতা খেতে তাবো না।
ঋত্বিকা- তিন্নি সোনা মা কিন্তু কষ্ট পাবে তুমি যদি দুধ না খাও।
ওদের কথার মাঝে হঠাৎ একজন সুদর্শন যুবক ঘরে ঢোকে, আর তাকে দেখে তিন্নি দৌঁড়ে তার কোলে উঠে পড়ে। আর সেও তিন্নি কে কোলে তুলে আদর করে, সেটা দেখে ঋত্বিকা বলল,
ঋত্বিকা- বাহবা কি ভালোবাসা বাপ বেটির আর আমি এখানে মরছি; এই রেখে গেলাম দুধের গ্লাস টা খাওয়াও মেয়েকে।
এই বলে রেগে ব্যালকনিতে চলে গেল। আর এদিকে ঋত্বিকা কে রেগে চলে যেতে ছেলেটি তার মেয়েকে বলল,
ছেলেটি- কি হয়েছে প্রিন্সেস তোমার মাম্মা রেগে আছে কেন?
তিন্নি- কালন আমি দুদ তাইনি বলে মাম্মা লেগে গেতে।
(ছেলেটির পরিচয় করাই ছেলেটি হলো সৌরভ সেন সেন ইন্ড্রাস্ট্রির কর্ণধার)
সৌরভ- প্রিন্সেস এটা কিন্তু তুমি ভুল করেছো, তুমি যদি দুধ না খাও তাহলে মাম্মা খুব কষ্ট পাবে।
তিন্নি- মাম্মা কত্ত পাবে।
সৌরভ- হ্যাঁ তো খুব কষ্ট পাবে।
তিন্নি- থিকাতে আমি দুদ তাবো।
এই বলে তিন্নি সৌরভের কোল থেকে নেমে দুধের গ্লাস টা হাতে নিয়ে দুধ খেতে শুরু করল। দুধ খাওয়া হয়ে গেলে তিন্নি সৌরভের কাছে গিয়ে বলল,
তিন্নি- পাপা দুদ তেয়েছি টুমি আমাতে নিয়ে মাম্মার কাতে তলো।
তিন্নির কথা শুনে সৌরভ তিন্নি কে কোলে নিয়ে ব্যালকনিতে গেল। ব্যালকনিতে গিয়ে তিন্নি সৌরভের কোল থেকে নেমে আস্তে আস্তে ঋত্বিকার কাছে গেল, তারপর ঋত্বিকার শাড়ির আঁচল টেনে বলল,
তিন্নি- মাম্মা আমি দুদ তেয়েছি টুমি আল লাগ কোলো না।
ঋত্বিকা তিন্নি কে দেখে তিন্নি কে কোলে নিয়ে বলল,
ঋত্বিকা- না সোনা আমি রাগ করিনি আমি কি আমার সোনার ওপর রাগ করতে পারি?
তিন্নি দুদিকে মাথা নাড়িয়ে ঋত্বিকার গালে কিস করল, ঋত্বিকা ও তিন্নি কে আদর করল। এসব দেখে সৌরভ বলল,
সৌরভ- বাহবা আমাকে তো কেও দেখতেই পাচ্ছে না আমাকে কেও ভালোবাসে না;
বলেই দুখি দুখি মুখ করলো, তা দেখে তিন্নি বলল,
তিন্নি- না না পাপা আমি তোমাতেও ভালোবাতি।
তিন্নির কথা শুনে সৌরভ বলল,
সৌরভ- জানি তো সোনা পাপাও তোমাকে খুব ভালোবাসে।
এই বলে সৌরভ তিন্নি কে কোলে নিয়ে আদর করে।
কিছুক্ষণ চুপ থেকে সৌরভ বলল,
সৌরভ- জানো ঋতু আমি ঠাকুরের কাছে কৃতজ্ঞ।
সৌরভের কথা শুনে ঋত্বিকা বলল,
ঋত্বিকা- কেন?
সৌরভ- ভাগ্যিস "সেদিন দেখা হয়েছিল" তাই তো তোমাকে আর প্রিন্সেস কে পেয়েছি।
ঋত্বিকা- আমিও খুব খুশি তোমাকে পেয়ে আর তারপর আমাদের মেয়েকে পেয়ে।
সৌরভ- আই লাভ ইউ।
ঋত্বিকা- আই লাভ ইউ টু।
ওদের কথার মাঝে তিন্নি বলল,
তিন্নি- আই নাভ ইউ পাপা মাম্মা।
ওর কথা শুনে সৌরভ ঋত্বিকা হেসে ফেলল তারপর একসাথে বলল,
সৌরভ ঋত্বিকা- আই লাভ ইউ সোনা।
💕সমাপ্ত💕

