সিঁড়ির_তলার_বন্ধুরা
সিঁড়ির_তলার_বন্ধুরা


-ও, মোহন দা, সকাল হয়ে গেছে। ঘুম থেকে ওঠো এবার!
-হুম? কটা বাজে রে সুভাষ?
-৭ টা মত। পেপার ওয়ালা পেপার দিয়ে গেল। ও তো ৭ টা নাগাদ ই দ্যায়।
-সে কি রে! এতক্ষন ডাকিস নি কেন! ঠিক করিস নি কিন্তু ব্যাপার টা।
- কি করে বুঝবো বলো মোহন দা! আসলে ঘড়িও নেই কোথাও। তুমি জানো তো সব। দরজার তলা দিয়ে আলোর রশ্মি আসে। সেটা দেখে বুঝি সকাল হলো কিনা। আজ বোধহয় মেঘলা। তাই বুঝতে পারিনি গো।
- ঠিকাছে। বিবেক দা ওঠেনি এখনো?
-কাল রাতে বিবেকদার ঠিক মতো ঘুম হয়নি।
-কেন রে?
-আরে মালিক কাল রাতে মদ্য পান করে বেরোনোর সময়ে বিবেক দার গায়ে লেগে হোঁচট খেয়েছে। তাই আর কি!
-ইস।
-এ আর নতুন কি বলো! কাল বিবেকদার সাথে হলো। আজ আমার সাথে হয়তো হবে। কাল হয়তো তোমার সাথে।
-সেই। সয়ে গেছে আর কি।দ্যাখ না , ভানুদার জন্মদিনের দিন ওরা যে লস্যি খেতে গিয়ে আমার গায়ে ফেললো, সেটার পরিষ্কার করার নাম আছে!যাক গে, ভানুদার কাঁধের ব্যাপার টার কি খবর রে?
-এখনো শোকায় নি।আসলে এতটা কাঁচ ফুটে গ্যাছে না!
- নিয়ে যাওয়ার সময় বুধবার ভাব, কত্ত আয়োজন, উৎসব । ফুল, চন্দন পরিয়ে নিয়ে গেল।
-আর! ফিরিয়ে আনার সময় এমনভাবে রাখলো সিঁড়ির তলায় ! কাঁচ ই ফুটে গেল!
- কি আর বলবো বলো!
-এ কি রে! কে? এমন সময় দরজা খুলল?
-সত্যিই তো! এমন সময় কে এলো?
- সুভাষ, দ্যাখ, ওরা কাকে একটা দড়ি দিয়ে বেঁধে নিয়ে আসছে?
- কাজী না?
-হ্যাঁ, কাজী-ই তো!
-তার মানে কাজী এখন থেকে আমাদের সাথেই থাকবে মনে হচ্ছে।
-আমাদের দলে আরো একজন বাড়লো তবে। হে হে।
-যা বলেছ!
----------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------------
-এই পল্টু, সোন, ২৫ তারিক কিন্তু নজরুল জয়ন্তী। গতবার অজ্ঞদূত ক্লাব কিন্তু নজরুল জয়ন্তী পালন করেছে বস। এবার আমাদের ও কততে হবে।নজরুল এর ছবি টা সিঁড়ির তলায় রাখ এখন।
-এ কি গো, রোবিন্দনাথের ছবি টায় ক্যাঁচ টা ভেঙে গ্যাছে গো।
- আরে হ্যাঁ, সেদিন রাখতে গিয়ে।আবার ওটা পরের বছর লাগবে। তখন সারিয়ে নেব ক্ষণ। নে, বের হ এখন। দজ্জা টা তালা মেরে বন্ধ করে দিস।