নির্বাচন
নির্বাচন


সুমন বাবু আজ পর্যন্ত যত গুলি মিটিং মিছিলের শরিক হয়েছিলেন তাতে এটাই প্রমাণ পেয়েছেন এবার তার দলই ই জিতছে। নইলে এই পরিমান লোকজনের ভিড় হয়! সুমনবাবু বক্তৃতা দিয়েছেন অনেক গরম গরম প্রসঙ্গ নিয়ে। এই যেমন ধরুন কৃষকের আত্মহত্যা, রাজ্য সরকারী অফিস থেকে অনাদায়ী মহার্ঘ্য ভাতা, স্বাস্থ্য ব্যবস্থায় ডাঃ, নার্সদের উপর অত্যাচার ইত্যাদি ইত্যাদি বিষয়ে। হাততালির পর হাততালি চলেছে কেবল
দলের সিদ্ধান্তে ঘুঘনি আর পাওরুটি খাওয়ানো হয়েছে প্রতিটি মিটিং এ আগত সকল নাগরিক কে। মানুষের হাত তালির ঐশ্বর্য দেখে সুমনবাবু একথা স্বীকার করতে বাধ্য হয়েছিলেন গণতন্ত্রের আসল শ্লোগান.... ডেমোক্রাসি ইজ অ্যা গভর্নমেন্ট অফ দ্য পিপিল.. বাই দ্য পিপল ....ফর দ্য পিপিল "
বিরোধী পক্ষের শিবিরে সুমনবাবুর মতোন শিক্ষিত মানুষ আর একটিও নেই। ভাবতেই সুমন বাবুর সারা শরীরে রোমাঞ্চ হতে লাগলো।
আসন্ন ভোটপুজোর দিন সকাল সকাল সুমনবাবু ভোট দিয়ে আসলেন। বাড়ির সকলেই গেলেন ভোট দিতে, মহা সমারহে। এখন শুধু ভগবান ভরসা। দু দিন পর যখন ব্যালোট বক্স গনণা হবে।
সারাদিন স্যোসাল নেট ওয়ার্কিং সাইটে এবং টেলিফোনে শুভেচ্ছা বার্তাতে ভরে থাকছে সুমনবাবুর দলের ছোট ছোট জোকস। বেলা গড়াতে না গড়াতেই সুমনবাবুর দলের অস্বাভাবিক বিশ্রি ধরণের ফল প্রকাশ হতে থাকে। সকলে একবার করে যাওয়া আসার পথে সুমনবাবুর বাড়ির দিকে তাকিয়ে থুতু ফলে চলে যাচ্ছেন। সুমনবাবু মনে মনে ভাবলেন ভাগ্যিস আমার নিজের ভোটটা বিরোধী দলেই দিয়ে এসেছি। রোজ রোজ দিল্লী ছুটতে আর হবে না এই বয়সে।