নীল মেঘ মাসে
নীল মেঘ মাসে


(১)
অন্তরা, প্রতিদিনের মতো আজও দূর থেকে ইমতাকে দেখে নিয়ে, ইচ্ছা করেই হোঁচট খেলো। সঙ্গে সঙ্গে হ্যাংলা চেহারার বছর সতেরোর ইমতাজ বেরিয়ে এলো সিঁড়ির আড়াল থেকে হাতে এক জোড়া গোলাপ নিয়ে ...
প্রিয় ম্যাম কে আজ গোলাপ দুটো দিতে চেয়েছিল সে....বলতে চেয়েছিল,
'হ্যাপ্পী রোজ ডে ম্যাম' !
(২)
বছর তিনেক অপেক্ষা করেছে সরকারী হাসপাতালের জি ডি আর অনিমেষ। আজ ঠিক করেছে প্রোপোজটা করেই দেবে জুনিয়র ডাঃ অনিন্দিতা কে!
উচ্চমাধ্যমিকের পর হঠাৎ করে বাবা মারা না গেলে ও কী এই চাকরীটা করতো! স্টার মার্কসের খবরটা একমাত্র ডাঃ অনিন্দিতাই জানেন,সাইকোলজির হবু ডাঃ বলে।
(৩)
তুতুল জানে সবটাই তার একতরফা চিন্তা ভাবনা! তবুও নীলকে খেলার মাঠ থেকে পাঠিয়েছিল লেকের ধারে---যেখানে একটা বড় বটগাছের তলায় দাঁড়িয়ে নীলকে ডেয়ারি মিল্ক(সিল্ক)টা হাতে তুলে দিয়ে বলবে,
'তোর সব খেলার সাথী হতে চাই , আমাকে নিবি তোর দলে!'
হাঁফাতে হাঁফাতে টম বয় নীল এসে বলল,
'আবার তুই চকলেট নিয়ে এসেছিস,জানিস না মোটা হয়ে গেলে উম্যানস-ফুটবলে চান্স পাবো না!'
(৪)
স্পীচ থেরাপীতে নতুন ভর্তি হয়েছে জয়নাল। মোটামুটি প্রায় ছয় ফুটের উপর লম্বা। বয়স বছর কুড়ি। অসাধারণ চোখ দুটো। এখানে সবার টিফিন দিতে আসে রোজ বছর পনেরোর শ্রী। জয়নালের জন্য ও ফিদা। অবশ্য প্রকাশ করেনি কোনদিন!
আজ একটা সফ্ট টয় টেডি নিয়ে এসেছে জয়, সেটা দিল ,ম্যাম অগ্নিমিত্রা কে!
(৫)
পদ্মা এবার মাধ্যমিক পাশ করলো। বাড়ির সবাই একবার করে পদ্মাকে আদর করে গেলো, সকলেই প্রশংসা করছে পদ্মার, কিন্তু পদ্মা চায় শুধু একজনের একটু উষ্ণ আলিঙ্গন।।
চিন্তা হচ্ছিল তার, তাহলে দাদুর নাতি কি তবে চিঠিটা পায়নি ?
(৬)
কলিং বেলটা দু বার বজলো, রান্নাঘর থেকে একটা পুরুষ কণ্ঠ ভেসে এলো "আইই'....
দরজা খুলতেই উত্তাল এক সমুদ্র আছড়ে পড়লো মানুষটির গায়ে... তারপর ডিপ কিস, লিপ লক, কানের লতি থেকে গলা, পিঠ সব সওব জায়গাতেই চলল একমাসের সুদ-আদর।
বাইরের নেম প্লেটে লেখা আছে মিস্টার সুনন্দ রাজ এন্ড মিসেস প্রতীক রাজ!
(সমাপ্ত)