লাবণ্য
লাবণ্য


-জানলার পাশে দাঁড়িয়ে কফির কাপে চুমুক দিয়ে রাতুল ওর ফেলে আসা জীবনের কথা ভাবছিল।
আজ দিনটা একটু আলাদা। আজ নতুন ভাবে আরও একবার স্কুল জীবনে ফিরে যাবার দিন।কারণ আজ যে রাতুলদের স্কুলের পূর্ণমিলন উৎসব।
-সব পুরোনো বন্ধুদের সাথে দেখা হবে,আড্ডা হবে।সেই পুরোনো স্মৃতি...
উফ্ ! ভেবেই ভালোলাগছে রাতুলের।
-আজ হয়তো মৃদুলার সাথে দেখা হতে পারে।ওর বিয়ের কথা শুনেছিলাম যদিও কিন্তু তারপর...
-হঠাৎ ফোনটা বেজে উঠল।স্ক্রিনে দেবু।দেবজিত ঘোষ।রাতুলের প্রাণের বন্ধু।
-হ্যালো
-ঠিক বারোটা নাগাদ রেডি হয়ে বাড়ির সামনে দাঁড়াবি।এক মিনিট লেট হলে কিন্তু নিজের ব্যবস্থা নিজেকে করতে হবে ।
-কিছু বলার আগেই কেটে দিল।বাপরে!!
-কলেজ ছাড়ার পর আর তেমন কারোর সাথে যোগাযোগ নেই। ওই হোয়াটস অ্যাপ একমাত্র ভরসা।
-ঘড়িতে সাড়ে দশটা দেখে ফোনটা রেখে সোজা চলে গেল স্নানে।
- স্কুলে পৌঁছাতে পৌঁছাতে বারোটা দশ হয়ে গেছি।
স্কুলেরই দুজন ছাত্র আমাদের বলল 2010 ব্যাচের ছাত্রছাত্রীদের সবাই নাকি 4নম্বর ঘরে আছে।
- দেবু, এটা তো আমাদের ক্লাস টেনের ঘর।
-আরে রাতুল যে।অভ্র দেখতে পেয়ে জড়িয়ে ধরল।
-প্রায় সবাই এসেছে। সবাই সবার সাথে কথা বলছে,মাঝে মাঝে গ্রুপি উঠছে বিভিন্ন ফোনে।
-আজ তাহলে মৃদুলা ফাইনালি ট্রিট দিচ্ছে।কি রে রাতুল যাবি তো? সৌম বলল।
-কিসের treat?
- যে মেয়েটাকে তুই বহেনজি , ওয়ারথলেস বলেছিলি সেই আজ এখানকার সবচেয়ে বড় রেস্তরাঁর মালিক।ওই সবাই কে ইনভাইত করেছে।তোকেও যেতে বলেছে লাবণ্যতে।