হিমু রুপার কথোপকথন
হিমু রুপার কথোপকথন
রূপা: আচ্ছা হিমু আমাদের কি কখনো দেখা হবে ?
হিমু: না আমাদের কখনো দেখা হবে না আর কখনো না , অচেনা শহরের তুমি আমি
তবে হঠাৎ এক গভীর রাতে তোমার , আমার কথা খুব মনে পরবে , খুব বেশি অনুভব করবে , নিস্তব্ধ রাতে জানালার পাশে দাড়িয়ে আমার কথা ভাবতে ইচ্ছে করবে , তোমার কাজল কালো চোখ বেয়ে কয়েক ফোঁটা জল গড়িয়ে পরবে তুমি চোখ বন্ধ করে আমার কথা ভাব্বে , আমার দেওয়া নীল কাঁচের চুড়ি গুলো টুং টাং আওয়াজ করবে আর তুমি খানিকটা অভিমান করেই হাতের চুড়ি গুলো ভেঙ্গে ফেলবে আর তোমার হাত থেকে টপটপ করে ফোঁটায় ফোঁটায় রক্ত গড়িয়ে পরবে , রক্তাক্ত হাতে তুমি মেঝে থেকে চুড়ির টুকরো গুলো খুব যত্ন করে হাতে তুলে নিবে , তোমার হাতে সেদিন খুব যন্ত্রণা করবে আর চোখ দিয়ে অঝোড়ে পানি পরতে থাকবে
আমাকে এক মুহুর্ত দেখার জন্য মন ছটফট করবে ,
দৌরে গিয়ে তুমি সেই নীল শাড়ি পরে সুন্দর করে সেজেগুজে আবার বারান্দাতে এসে অপেক্ষা করবে ঠিক তখনি টেলিফোনের শব্দ তোমার কানে যাবে তুমি দূরে টেলিফোনের পাশে আসতেই লাইন টা কেটে যাবে এবার তুমি টেলিফোনের পাশে বসে অপেক্ষা করবে
আমি আর কল করবো না , আমি জানি তুমি আমার ফোনের অপেক্ষা করবে
তুমি অপেক্ষা করতে করতে একটা সময় স্থির হয়ে ঘুমিয়ে পরবে , জানো তোমাকে তখন অনেক মায়াবী লাগবে , খুব ইচ্ছে করছিল তোমার মায়াবী মুখটা দেখতে কিন্তু না আমি তোমার সামনে যাব না আমি জানি তুমি অপেক্ষার প্রহর গুনবে
জানো আজকাল নিজেকে বদলাতে খুব ইচ্ছে করে অনুভব অনুভূতি আমার জন্য হয়তো নয়
আমি জানি তুমি আমার সেই ময়ূরাক্ষী নদী দেখতে চাও আমার সাথে , তুমি কিছুটা পথ আমার হাতটা ধরে হাঁটতে চাও আমি জানি তুমি নীল পদ্মের আশায় এখনো অপেক্ষা করো
জানি তোমার অপেক্ষার অবসান হবে না ।
তারপর ও আমি তোমাকে একটা নীল কাগজে ছোট্ট চিরকুট দিবো , আমি আবার তোমাকে নীল শাড়ি আর চুড়ি পরে সেজে বারান্দায় দাঁড়িয়ে থাকতে বলবো জানি তুমি আমার কথা বিশ্বাস করবে না
তারপরও তুমি সাজাবে সুন্দর করে অপেক্ষা করবে আমার জন্য
আবার হঠাৎ অভিমান করে চুড়ি ভেঙে ফেলবে হাত রক্তাক্ত করে চোখের কোণে জল গড়িয়ে পরবে
তবু আমি আসবো না কারন হিমুরা কখনো কাছ থেকে ভালোবাসতে জানে না ।