বঙ্কুবাবুর ভ্রমণ
বঙ্কুবাবুর ভ্রমণ


মায়ের ইচ্ছা একবার জগন্নাথ দর্শন । তাই পুজোর সময় কেরানী বঙ্কুবাবু পুরী যাবেন ঠিক করলেন । এক সপ্তাহের ছুটি । বাজারে গিয়ে বাক্স, বেডিং,মশারি, চাদর, সবার জামা কাপড়,জুতো কিনলেন । কিছু শুকনো খাবার চিঁড়ে, মুড়ি, বাদাম,ছোলা, বিস্কুট, কিনে বাড়ি ঢুকলেন ।
বাবা বেড়াতে নিয়ে যাবে তাই বকুল ও বুলা খুব খুশি । সব গোছানো চলছে । বঙ্কুবাবু লিস্ট মিলিয়ে নিচ্ছেন কিছু বাদ গেল কিনা ।
পঞ্চমীর দুপুরে পাড়া কাঁপিয়ে লটবহর নিয়ে ট্রেকারে রওনা দিলেন । স্টেশনে ঢুকতেই জগন্নাথ এক্সপ্রেসের আগমন । পড়িমড়ি করে কুলিরা মাল চাপালো , মোট ত্রিশটা । সিটের নীচে বাঙ্কারে সব রাখলেন ।
বকুল ও বুলা জানালার পাশে বসে গাইছে । কো–প্যাসেঞ্জার ছোকরাটি ভারী মিশুকে ।
――' দাদা পুরী নাক
ি ? '
――' হ্যাঁ ভাই । এই প্রথম সপরিবারে ।'
――' তা বেশ । মাসীমাকে নিয়েছেন খুব ভালো । প্রণাম মাসীমা । '
――' বেঁচে থাকো বাবা ।'
সন্ধ্যা হয়ে গেছে । সকলের খিদেও পেয়েছে । বঙ্কুবাবুর স্ত্রী সবাইকে লুচি আলুরদম দিলেন । খাওয়া শেষ হলে জমিয়ে গল্প করলো ছোকরা । হঠাৎ বলে ' দাদা চা খাবেন তো ?'
――' হ্যাঁ, মন্দ হবে না ।'
――ছোকরা সবাইকে চা খাওয়ালো ।
কিছুক্ষণের মধ্যে ঘুমে সকলের চোখ জড়িয়ে এলো । সকলে তাড়াতাড়ি শুয়ে পড়লো । রেলগাড়ির দুলুনিতে গভীর ঘুম ।
'এ বাবু উঠো জগন্নাথ আসি গেছি । ধাঁঁইকিড়িকিড়ি ধাঁঁইকিড়িকিড়ি ।' বঙ্কুবাবু ধড়মড়িয়ে উঠে । ' একি ! আমার স্যুটকেশ, বাক্স,বেডিং, হাতঘড়ি সব গেল কোথায় ? ' ছোকরাও নেই । বাকিরাও ঘুম থেকে উঠে হতবাক । মাসীমা কপাল ঠুকছে ―― ' জগন্নাথ তুমি একি করলে । '
~~~◆~~~