বিভ্রাট
বিভ্রাট
শিক্ষক ক্লাসে এসেই হাজিরা খাতাটা খুলে নাম ডাকা শুরু করলেন।রোল ১,রোল ২,রোল,৩...........রোল ২৩ এ এসেই আটকে গেলেন। চশমাটা খুলে একবার মুছে নিলেন।
স্যারঃ এই যে পল্টু কাল স্কুলে আসিস নি কেন?
পল্টুঃ গতকাল আসলে স্যার একটা সমস্যা হয়ে গিয়েছিল।
স্যারঃ কি সমস্যা শুনি? আমার এখানে কোনো ফাঁকিবাজি চলবে না।
পল্টুঃ স্যার গতকাল সূর্য আমার থেকে বেশ তাড়াতাড়ি উঠে গিয়েছিল।আমি বুঝলাম না আমার সাথে তার কীসের সমস্যা যে আমার সাথে প্রতিযোগিতা করে তাড়াতাড়ি উঠে গিয়েছিল।
স্যারঃ এই ছেলে,আমার সাথে ফাইজলামি হচ্ছে? হুম? কোনো ফাইজলামি চলবে না।তাড়তাড়ি উঠবি। মোরগ ডাকার আগে উঠবি।
"আমড়া কাঠের ঢেকি" একটা!
পল্টুঃ স্যার আমি তো মানুষ।আমড়া গাছের কাঠ এর ঢেকি যে কি হয় আমি তা জানি না। আমি তো কাঠ হতে পারি না!
স্যারঃ আরে, আমড়া কাঠের ঢেকি হচ্ছে একটা বাগ ধারা।এই বাগ ধারার মানে হচ্ছে "অপদার্থ"!
পল্টুঃ ইয়ে মানে......
স্যারঃ কি হয়েছে?
পল্টুঃ স্যার,বাগ মানে বাগান জানতাম।কিন্তু বাগানের ধারা আবার কি জিনিস? এসব কি বলছেন স্যার আমি তো কিছুই বুঝতে পারছি না!
স্যারঃ হায় রে কপাল! ধুর এসব কি বিভ্রাট সৃষ্টি হলো! এ কি গাধার পাল্লায় পড়লাম! এইজন্যই বলেছিলাম পড়াশোনাটা করতে।এমন ৩,৪ বার ফেল করে প্রত্যেক ক্লাসে উঠলে হবে কিভাবে?
পল্টুঃ এখানে গাধা আসল কোথায় স্যার? আমি তো দেখতে পারছি না!
স্যারঃ আরে হইছে! বাবা,তুই বস!
পল্টুঃ স্যার, আপনার বাবার নাম ও কি পল্টু ছিল নাকি!
স্যারঃ হায় রে,আজ ঘুম থেকে উঠে কার মুখ যে দেখেছিলাম.......
(স্যার এর হঠাৎ মনে পড়ল যে সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে তিনি প্রথম আয়নার সামনেই দাঁড়িয়েছিলেন। এটা মনে পড়ায় বেশ একটা লজ্জ্বিত বোধ করলেন তিনি!)