"বেকার ছেলে_
"বেকার ছেলে_
কৃষ্ণ হিনা রাধিকা যেমন,ফুল পল্লব বিরহিত পুষ্প তরু, অনিরুদ্ধ হীন অনুরাধা ঠিক তেমনই,ওরা দুজনেই ছিল সমবয়সি, দীর্ঘ পাঁচ বছরের সম্পর্ক তাদের,,আজ গোধূলি লগ্নে অনুরাধার বিয়ে,তবে অনিরুদ্ধ এর সঙ্গে নয়, এই শহরের নাম করা ধনী ব্যক্তির ছেলের সঙ্গে,
অনুরাধা অনিরুদ্ধ এর কথা তার পরিবার কে জানিয়ে ছিলো কিন্তু কোনো লাভ হয়নি,কারণ অনিরুদ্ধ বেকার ছেলে,। তার পরিবারের ইচ্ছা অনুযায়ী অনুর বিয়ে ঠিক হল,
অনুরাধা অনিরুদ্ধ কে কত টা ভালোবাসতো সেটা কারোর পক্ষে আন্দাজ করা সহজ হলো না,অনিরুদ্ধ কে সে বলেছিল "আমি তোমাকে ছাড়া বাঁচব না অনিরুদ্ধ,তুমি বেকার টো কি হয়েছে,তুমি যদি আমার পাশে থাকো তবে আমি ভিক্ষা করেও জীবন টা কাটিয়ে দিতে পারবো," কিন্তু অনিরুদ্ধ এইসব কিছু চায়নি,সে ভাবত সে কোন মুখে তার বাড়িতে অনুরাধার কথা বলবে,সে যে বেকার, আর বেকার ছেলেদের বিয়ে করার সপ্ন দেখতে নেই,সে ভেবেছিল অনুরাধার কস্ট হচ্ছে ঠিকই কিন্তু সময়ের সাথে সাথে ঠিক অনিরুদ্ধ কে সে ভুলে যাবে,,,এই ভেবেই সেদিন অনুরাধা কে ফিরিয়ে দেয়,তারপর থেকে অনিরুদ্ধ নেশা করতে শুরু করে অনুরাধা কে ভুলে থাকার জন্য,অনুরাধা ফোন করলে ফোন কেটে দিত, তাদের আর কথা হতো না,এই ভবে ছয় মাস কেটে যাওয়ার পর নির্ধারিত দিনে আজ গোধূলি লগ্নে অনুরাধার বিয়ে,সেদিন বিকাল থেকেই অনিরুদ্ধ নিজেকে একটা ঘরে বন্ধ করে রেখে ছিল, সন্ধ্যে হল, ছেলেদের নাকি কান্না করতে নেই,কিন্তু অনিরুদ্ধ সেদিন খুব কান্না করছিল ,খুব ভেঙে পরে সে, হটাৎ তার বন্ধু মিঠুনের ফোন এলো,অনিচ্ছা থাকা সত্বেও ফোন টা রিসিভ করলো,,,
একি শুনছে অনিরুদ্ধ!নিজের কান কেই বিশ্বাস করতে পারছে না,তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়লো,সে তো এই সব চায়নি,সে শুধু তার অনু কে একটু সুখী দেখতে চাইত,মিঠুনের কাছে জানতে পারলো অনুরাধা বিয়ের সেই রাতে আত্মঘাতী হয়,এই খবর শোনার পর,,অনিরুদ্ধ এর আর কোনো সাড়া পাওয়া যায়নি,পরদিন সকালে তার বাড়ির লোক দরজা ভেঙে দেখে অনিরুদ্ধ আত্মহত্যা করেছে তার হাতে একটি কাগজ তাতে লেখা"আমি বেকার ছেলে , এটাই আমার দোষ,আমাকে ক্ষমা করো,ইতি তোমাদের অনি,"